‘এমন যুদ্ধ কখনও দেখিনি’
বিশ্ব সংবাদ ডেস্ক
নিউজওয়ান২৪.কম
প্রকাশিত : ০৩:৪১ পিএম, ৩ মার্চ ২০১৭ শুক্রবার

নব্বই বছর বয়সী খাতলা আলি আব্দাল্লাহ উত্তর ইরাকেই কাটিয়েছেন জীবনের অধিকাংশ সময়। চোখের সামনে একটার পর একটা যুদ্ধ দেখেছেন। গত সপ্তাহে মসুল থেকে পালিয়ে আসার পর তিনি জানান, এরকম ভয়াবহ যুদ্ধ তিনি আগে কখনও দেখেননি।
ইরাকের মরুভূমি নিজের নাতনির কোলে পার হয়েছেন খাতলা। পথে পড়েছে বন্দুকের গুলি, মর্টার। তিনি সেই হাজার মানুষের মধ্যে একজন যিনি মসুল থেকে পালিয়ে আসতে পেরেছেন।
ইরাকি সেনাবাহিনীর শরণার্থী ক্যাম্পে বসে খাতলা বলেন, আমি নব্বই বছর বয়সী একজন নারী। কখনই এমন যুদ্ধ দেখিনি।
খাতলা সাদ্দাম হোসেনের শাসনকালে ইরান ও কুয়েতের সঙ্গে যুদ্ধ সামনে থেকে দেখেন। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ ও সাদ্দাম হোসেনের উৎখাতও দেখেন। তার মতে সাদ্দামের সময়ও এত ভয়াবহ ছিল না পরিস্থিতি।
তিনি বলেন, সাদ্দামের সময় আমরা হত্যা ও যুদ্ধের নৃশংসতা নিয়ে ভয়ে থাকতাম। কিন্তু এখনকার মতো এত ভয়ঙ্কর ছিলো না তখন।
গত অক্টোবরে যখন মসুলকে আইএসের হাত থেকে উদ্ধারের অভিযান শুরু হয় তখন খাতলা ইরাকের আল-মামুন জেলায় ছিলেন। বর্তমানে তিনি মার্কিন সহযোগিতায় স্থাপিত ইরাকি সৈন্যের ক্যাম্পে আছেন।
মসুলে থাকার সময় তিনি তার ঘরের নিচের বেজমেন্টে অবস্থান করছিলেন। সাথে ছিলো ২০টি মুরগি। তরুণ বয়সে তিনি ভেড়ার পাল চরিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমি কোনও মুরগি হারাইনি। আমরা বেজমেন্টে আটকে ছিলাম। মুরগির ঘরের চালার ওপর মুহুর্মুহু বুলেটের আঘাত শুনতে পেতাম। আমরা এ যুদ্ধের অবসান চাই। এই যুদ্ধ পরবর্তী প্রজন্মের জন্য ইতিহাস তৈরি করে দিয়েছে।
নিউজওয়ান২৪.কম