সব নির্বাচনে ইভিএম চায় ইসি
নিজস্ব প্রতিবেদক
নিউজ ওয়ান২ ৪
প্রকাশিত : ১০:২৮ এএম, ৯ এপ্রিল ২০১৯ মঙ্গলবার

ফাইল ছবি
আগামীতে প্রায় সব নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী বছর অনুষ্ঠেয় ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন ও চট্টগ্রাম সিটিতেও এ মেশিন ব্যবহার করে ভোট নেয়া হবে। এ তিন সিটি কর্পোরেশনের ভোটও একই দিনেই হবে।
সোমবার (৯ এপ্রিল) কমিশনের ৪৭তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় ২৩ এপ্রিল বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এবার ৪ বছরের তথ্য আগাম সংগ্রহ করা হবে।
সভায় নির্বাচন পরবর্তী সময়ে সঠিক দায়িত্ব পালনকারী রিটার্নিং, সহকারী রিটার্নিং ও ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের অহেতুক হয়রানি না করতে সরকারকে চিঠি দেয়ারও সিদ্ধান্ত হয়। কমিশন সভায় অংশ নেয়া কয়েকজন কর্মকর্তা এসব তথ্য জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইসির অতিরিক্ত সচিব মোখলেসুর রহমান বলেন, আগামীতে সব নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের বিষয়টি আমাদের সক্রিয় বিবেচনায় থাকবে। বিষয়টি আমাদের সক্ষমতার ওপর নির্ভর করছে।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদার সভাপতিত্বে বেলা ৩টায় কমিশন সভা শুরু হয়ে চলে সাড়ে ৩ ঘণ্টার বেশি। বৈঠক শেষে সভার আলোচনার বিষয়ে ব্রিফিং করেনি কমিশন। আগামীকাল কমিশন আবার বৈঠকে বসবে।
বৈঠকে যেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে সেগুলো হচ্ছে- ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচি, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের জন্য নতুন পদ সৃষ্টি ও যানবাহন অন্তর্ভুক্ত করা এবং আইডিইএ প্রকল্পের ঠিকাদারের পাওনা পরিশোধ সংক্রান্ত। আরও জানা গেছে, বৈঠকে এজেন্ডার বাইরে সিইসি কিছু প্রস্তাব তুলে ধরেন। সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে- সামনের নির্বাচনগুলোতে ইভিএম ব্যবহার করা হবে। বৈঠকে জানানো হয়, আগামী বছর ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে একই দিন ভোটের সিদ্ধান্ত হয়।
ওই নির্বাচনে সব কেন্দ্রেই ইভিএম ব্যবহার করা হবে। সর্বশেষ ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল ঢাকার দুই সিটিতে সাধারণ নির্বাচন হয়। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রথম সভা ওই বছরের ১৪ মে ও দক্ষিণ সিটির প্রথম সভা ১৭ মে অনুষ্ঠিত হয়। আগামী বছরের মে মাসে এ দুই সিটির মেয়াদ শেষ হবে। এর আগের ১৮০ দিনের মধ্যে ভোটগ্রহণ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে সভায় ভোটগ্রহণের দিন-তারিখ নিয়ে আলোচনা হয়নি।
ইভিএম ব্যবহারের বিষয়ে ইসির ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, কতটি ইভিএম প্রস্তুত করা হয়েছে, কতজন জনবল প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে তার ওপর এ মেশিন ব্যবহার নির্ভর করবে। জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগকে ইভিএম মেশিন প্রস্তুত করতে বলা হয়েছে।