NewsOne24

সিংহ পোষার ভয়াবহ পরিণতি এবং মেয়রের মন্তব্য...

ইত্যাদি ডেস্ক

নিউজওয়ান২৪

প্রকাশিত : ১২:৩৩ পিএম, ৫ এপ্রিল ২০১৯ শুক্রবার

প্রিয় পোষা সিংহের সঙ্গে পাসিক যখন বেঁচে ছিলেন   -ফাইল ফটো

প্রিয় পোষা সিংহের সঙ্গে পাসিক যখন বেঁচে ছিলেন -ফাইল ফটো

বিড়াল-কুকুর বা খরগোশ-কবুতর নয়, হিংস্র বন্য পশুকে পোষ মানাতে অনেকেই পাগলপারা হয়ে থাকেন। তেমনি একজন ছিলেন চেক প্রজাতন্ত্রের জিকভ শহরের বাসিন্দা ৩৩ বছর বয়সী মাইকেল প্রাসিক। তার মন চাইলো একবার সিংহ পোষ মানানোর। 

২০১৬ সালের একদিন মাইকেল প্রাসিক বাড়িতে নিয়ে আসলেন এক সিংহ। পড়শীরা বেঁকে বসলেন- আবাসিক এলাকায় অমন ভয়াবহ হিংস্র পশুর অবস্থান মেনে নেওয়া যায় না। কিন্তু সবাইকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে তিনি বাড়ির খোলা জায়গায় সিংহের জন্য একটি খাঁচা বানালেন। জেদি স্বভাবের প্রাসিক শুধু প্রতিবেশী নয়, দেশের প্রচলিত আইনকেও তোয়াক্কা করলেন না। পুষতে লাগলেন প্রিয় সিংহ শাবককে। 

এরপর ২০১৮ সালে একটি সিংহী নিয়ে আসেন তার পোষা সিংহের সাথী হিসেবে। তার আশা ছিল সিংহ-সিংহীর সংসারে জন্ম নেবে একের পর এক শাবক। আনন্দের সঙ্গে আসবে অর্থও। স্থানীয় প্রশাসন তাকে অনুমতি দেয়নি লোকালয়ে অমন ভয়াবহ হিংস্র পশু পোষার। এজন্য তাকে জরিমানাও করা হয়। কিন্তু বরাবরের মতো সেসবে কোনো পাত্তাই দেয়নি সে।

আপাত দৃষ্টিতে সিংহ আর সিংহীর প্রতিপালনে বেশ ছিলেন প্রাসিক। এতদিনে সিংহটির বয়স ৯ বছরে দাঁড়ায় এবং তার সঙ্গে বেশ বন্ধুত্ব হয়ে যায় তারা। দু’দিন আওে সবকিছু এমন ঠিকঠাকই ছিল।

কিন্তু এরপর সেদিন পুলিশ একটি জরুরি কল প্রায় প্রাসিকের বাবার কাছ থেকে। তিনি জানান সিংহের খাঁচার ভেতরে প্রাসিক পড়ে আছেন। ভেতরে সিংহরাও আছে।

পুলিশ ছুটে এসে দেখে খাঁচা ভেতর থেকে তালা দেওয়া আছে। শেষতক গুলি করে সিংহদের হত্যা করে পরে খাঁচায় ঢুকে পুলিশ। এরপর প্রাসিকের লাশ উদ্ধার করা হয়। 

গত গ্রীষ্মেও সিংহ নিয়ে সংবাদ শিরোনাম হয়েছিলেন প্রাসিক। শেকলে বাঁধা সিংহিটাকে নিয়ে হাঁটতে বেরিয়েছিলেন তিনি। এসময় একজন সাইকেল আরোহীর সঙ্গে সংঘর্ষ হয় তাদের। হাতাহাতি মারামারি বেঁধে যায়। খবর পেয়ে আসে পুলিশ। তবে এ ঘটনাকে সাধারণ সড়ক দুর্ঘটনা বলে বিষয় ধামাচাপা দেওয়া হয়। 

সর্বশেষ নিজের পোষা সিংহের খাঁচায় সেই সিংহদের দ্বারা প্রাসিক নিহত হওয়ার পর জিকভ শহরের মেয়র সংবাদ মাধ্যমে অদ্ভূত মন্তব্য করেন যাতে কিছু আইনভাঙ্গা বেপরোয়া মানুষদের নিয়ে প্রশাসনের অসহায়ত্ব ফুটে উঠেছে। 

মেয়র থমাস কসুইরেক্স বলেন-  আজকের ঘটনা সম্ভবত দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা এই সমস্যার সমাধানে ভূমিকা রাখবে!

নিউজওয়ান২৪.কম/কেএন