NewsOne24

ফায়ার সার্ভিসের জন্য কেনা হচ্ছে বিশেষ হেলিকপ্টার

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিউজ ওয়ান২ ৪

প্রকাশিত : ০৫:৩১ পিএম, ৩ এপ্রিল ২০১৯ বুধবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

ফায়ার সার্ভিসের জন্য বিশেষ ধরনের হেলিকপ্টার কেনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি জানান, এই হেলিকপ্টার দিয়ে উদ্ধার ও আগুন নিয়ন্ত্রণ দুটোই একসঙ্গে করা যাবে।

বুধবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা সম্পর্কিত সভায় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।

বনানীর এফআর টাওয়ারের আগুন নিয়ন্ত্রণ ও উদ্ধারকাজে হেলিকপ্টার ব্যবহার করায় আগুন আরও ছড়িয়ে যায় বলে জানা গেছে- এ বিষয়ে মন্ত্রীর মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সেদিনের অগ্নিকাণ্ডটা একেবারে পিক টাইমে ঘটেছিল। ফায়ার সার্ভিস ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছে।

তখন ছাদের ওপর অনেক লোক উঠে গিয়েছিল। তাই তাদের উদ্ধারের জন্য বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হয়েছিল। সব শক্তি ব্যবহার করে লোকজনকে উদ্ধার করতে চেয়েছিলাম। হেলিকপ্টারে কয়েকজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণের জন্য পানিও ঢেলেছিল।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রীর পরিকল্পনা অনুযায়ী ফায়ার সার্ভিসের জন্য বিশেষ ধরনের হেলিকপ্টার ক্রয় করা হবে, যা দিয়ে উদ্ধার এবং আগুন নিয়ন্ত্রণ দুটোই হবে। এছাড়া ফায়ার সার্ভিসকে আরও আধুনিকায়নের কাজ অব্যাহত রয়েছে। ফায়ার সার্ভিসে কিছু বৈষম্য রয়েছে, এটাও ঠিক করার কাজ অব্যাহত রয়েছে। তাদের এখন ঝুঁকি ভাতাও দেয়া হচ্ছে।’

মন্ত্রী বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণ ও উদ্ধারকাজে ফায়ার সার্ভিস খুব তৎপর ছিল। সময়মতো গাড়ি সেখানে গিয়েছিল। কিন্তু উৎসুক জনতার জন্য উদ্ধারকাজ শুরু করতে ৫ থেকে ১০ মিনিট সময় লেগেছিল। এ ধরনের ঘটনায় উৎসুক জনতা যেন ভিড় না জমায় এজন্য অনুরোধ করেন তিনি।

গত ২৮ মার্চ (বৃহস্পতিবার) রাজধানীর বনানীর এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ২৬ জন নিহত হন। আহত হন ৭৩ জন। ভবনের ইলেকট্রনিক যন্ত্র কিংবা রান্নাঘরের ওভেন থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মনে করেন, আগুনের তীব্রতা বাড়ে উদ্ধারকাজে অংশ নেয়া দুটি হেলিকপ্টারের বাতাসের কারণে।

ঘটনাস্থলে আসা একটি হেলিকপ্টার ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকাজে ব্যাঘাত ঘটায় উল্লেখ করে তারা বলেন, এ ধরনের আগুনে হেলিকপ্টারের ব্যবহার উপকারের চেয়ে অপকার বেশি। কর্তৃপক্ষের চিন্তাভাবনা ছিল যেহেতু অনেকে ছাদে আছেন, তাদের জীবন বাঁচাতে হেলিকপ্টার ব্যবহার করা যেতে পারে। দু-তিনবার হেলিকপ্টার যখন একটু বেশি নিচে নামে তখন প্রচুর বাতাস হয়, আগুনের তীব্রতা তখন বেড়ে যায়। পরে যখন আমরা তাদের বলি যে, আগুন বাড়ছে তখন হেলিকপ্টার চলে যায়। একই ঘটনা ঘটেছিল বসুন্ধরা সিটির অগ্নিকাণ্ডে।

পুরান ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল পিছিয়েছে। আগামী ৮ মে নতুন দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বুধবার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা মহানগরের অতিরিক্ত হাকিম কায়সারুল ইসলাম প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন এ দিন ধার্য করেন।

প্রসঙ্গত, গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে পুরান ঢাকার চুড়িহাট্টার অগ্নিকাণ্ডে ৭১ জন নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হন আরও অনেকে। ওই ঘটনায় চকবাজার মডেল থানায় ওয়াহেদ ম্যানশনের মালিকের ছেলেদের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন আসিফ নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা।

নিউজওয়ান২৪/ইরু