NewsOne24

নিহত বেড়ে ৫, ধোঁয়া ও আগুনে স্বজনদের আহাজারি

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিউজ ওয়ান২ ৪

প্রকাশিত : ০৫:৫১ পিএম, ২৮ মার্চ ২০১৯ বৃহস্পতিবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

রাজধানীর বনানীতে ১৭ নম্বর রোডে কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউয়ে এফআর টাওয়ারে লাগা আগুনে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৫ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে এক শ্রীলঙ্কার নাগরিক রয়েছে। 

নিহতরা হলেন- মনির, মামুন, মাকসুদুর রহমান, ফারুক ও শ্রীলঙ্কার নাগরিক ইন্ডিকা মারাসিংগে (৪৬)। 

এর মধ্যে তিনজন ইউনাইটেড হাসপাতালে ও অপর দু’জন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। 

এদিকে আগুন লাগার পরপরই প্রাণ বাঁচাতে ভবন থেকে লাফিয়ে, ক্যাবলে তার বেয়ে নামতে গিয়ে অনেকেই আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকা মেডিকেল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল ও ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। আহতদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। অনেকের শরীরের অনেক অংশ পুড়ে গেছে। 

এর আগে বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেল বেলা পৌনে ১টার দিকে রাজধানীর বনানীর বহুতল এফআর টাওয়ারে ভয়াবহ আগুন লাগে। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা সেখানে আগুন নিয়ন্ত্রণ ও ভেতরে আটকাপড়াদের উদ্ধারে তৎপরতা শুরু করে।

এর পর বিকেল ৩টার দিকে ভেতরে আটকা পড়াদের ক্রেন দিয়ে এক এক করে আটকাপড়াদের নামাচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের দল। আগুন নিয়ন্ত্রণ ও আটকাপড়াদের উদ্ধারে তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে সেনাবাহিনীর ফায়ার ইউনিট, নৌবাহিনীর ফায়ার ইউনিট ও বিমান বাহিনীর ফায়ার ইউনিট। 

আগুনে আটকাপড়াদের ক্রেন দিয়ে ও এয়ার লিফটে করে এক এক উদ্ধার করে নামিয়ে আনা হচ্ছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ভবনটি থেকে প্রায় অর্ধশতাধিক লোককে উদ্ধার করা হয়েছে। বেসরকারি বাণিজ্যিক এই ভবনটিতে প্রায় হাজারখানেক লোক বিভিন্ন অফিসে কর্মরত বলে জানা গেছে। 

হেলিকপ্টারে এয়ার লিফটের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ভেতরে হতাহতের বিষয়টি এখনও জানা যায়নি। পুরো ভবনটি ধোঁয়ার কুণ্ডলীতে ছেয়ে গেছে।  

এদিকে ক্রেন দিয়ে নামানোদের মধ্যে বেশিরভাগই ধোঁয়ায় শ্বাসকষ্টে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। চিকিৎসার জন্য তাদের রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে। আহতদের জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসা দিতে রাজধানীর সব হাসপাতালকে নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। 

আহতদের নামিয়ে আনার সময় অপেক্ষমাণ স্বজনদের আহাজারি করতে দেখা যাচ্ছে। 

ভবনের আশেপাশে এখনও যাওয়া যাচ্ছে না। আগুনের খবর শুনে স্বজনরা এসে উপস্থিত হয়েছেন ঘটনাস্থলে। তাদের সঙ্গে ভেতরে আটকেপড়া স্বজনদের কারও কারও কথা হয়েছে। ভেতর থেকে হাত নাড়িয়ে ও জামা নীচে ফেলে বাঁচার আকুতি জানাচ্ছেন অনেকেকে। ভেতরে চিৎকার ও কান্নার রোল পড়েছে। উৎসুক হাজারো মানুষ সেখানে ভিড় করেছে। অনেকেই উদ্ধারকাজেও সাধ্যমত সহায়তা করছেন।