NewsOne24

মের্কেল ও জেসিন্ডার সঙ্গে শেখ হাসিনার প্রশংসা

নিউজ ওয়ান২ ৪

প্রকাশিত : ০২:১০ পিএম, ২৫ মার্চ ২০১৯ সোমবার

স্বাধীনতা যুদ্ধে নিরস্ত্র বাংলাদেশিদের ওপর পাকিস্তানি বাহিনীর গণহত্যা বিষয়ে রোববার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) আয়োজিত আলোচনায় জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি ও গণহত্যা প্রতিরোধ বিষয়ক বিশেষ উপদেষ্টা আদামা দিয়েং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। 

বর্তমান বিশ্বে সঙ্কটকালে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের জন্য আলোইচত অপর দুই নারী রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে শেখ হাসিনার ব্যাপক প্রশংসা করেন উপদেষ্টা আদামা দিয়েং।

বর্তমানে বাংলাদেশ সফররত এই উপদেষ্টা গতকাল (রবিবার) ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় শক্তিমান রাষ্ট্রনেতা হিসেবে তিন নারী শেখ হাসিনা, জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মের্কেল ও নিউ জিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা অ’ডুর্নের নাম নেন।

নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে সাম্প্রতিক হামলার পর পরিস্থিতি মোকাবেলায় দেশটির প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা অ’ডুর্ন যে অনবদ্য ভূমিকা রেখেছেন, তার প্রশংসা চলছে বিশ্বজুড়ে। আর সিরীয় শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়ে বিশ্ববাসীর প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন এক যুগেরও বেশি সময় জার্মানির চ্যান্সেললের দায়িত্ব পালন করে আসা মের্কেল।

অপরদিকে, দুই বছর আগে মিয়ানমার সরকার ও সেনাবাহিনীর নিপীড়নের শিকার হয়ে দেশত্যাগ করে আসা রোহিঙ্গাদের জন্য নিজ দেশের সীমান্ত খুলে দিয়ে বিশ্ববাসীর প্রশংসায় ভাসছেন টানা তৃতীয় মেয়াদে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়া শেখ হাসিনা।

জাতিসংঘ মহাসচিবের গণহত্যা প্রতিরোধ বিষয়ক উপদেষ্টা দিয়েং সেই প্রসঙ্গ তুলে বলেন, যখন রোহিঙ্গা সঙ্কট এল তখন শেখ হাসিনা তাঁর হাত বাড়িয়ে দিলেন এই নিপীড়িত জনগোষ্ঠীকে গ্রহণ করতে। একইসঙ্গে রোহিঙ্গাদের স্বাগত জানানোয় বাংলাদেশের সাধারণ জনগণের ভূমিকারও প্রশংসা করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, মিয়ানমারে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর আক্রমণকে গণহত্যার সঙ্গে তুলনা করছে জাতিসংঘ। প্রাণ বাঁচাতে ৮ লাখের মতো রোহিঙ্গা এবার বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। আর আগে থেকে এদেশে ছিল ৪ লাখের মতো রোহিঙ্গা।

রোববার বাংলাদেশ ইনস্টিটিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্রাটেজিক স্টাডিজ আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন দিয়েং।

বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি করেও রোহিঙ্গাদের এখনও ফেরত না নেওয়ায় মিয়ানমার সরকারের সমালোচনাও করেন তিনি।

উপদেষ্টা দিয়েং বলেন, রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি তারা যেন নিরাপত্তা ও মর্যাদার সঙ্গে রাখাইনে বসবাস করতে পারে, তা নিশ্চিত করার জন্য মিয়ারমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে হবে বিশ্ববাসীকে।

একাত্তরে বাংলাদেশে সংঘটিত গণহত্যা নিয়ে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে হানাদার পাকিস্তানি বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। তাদের নির্বিচার হত্যাযজ্ঞে ঢাকায় এক রাতেই নিহত হন কয়েক হাজার মানুষ।

সেই রাতকে কালরাত হিসেবে স্মরণ করে বাংলাদেশ। ওই দিনটি সারাবিশ্বে গণহত্যা দিবস হিসেবে পালনে জাতিসংঘের স্বীকৃতিও চাওয়া হচ্ছে। সভায় বক্তারা এ প্রসঙ্গ তুললে জাতিসংঘ মহাসচিবের উপদেষ্টা দিয়েং বলেন, এটা তার এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে না।

নিউজওয়ান২৪.কম/এসএমএস