স্বাসরুদ্ধকর অভিযানে গ্রেপ্তার কক্সবাজারের ত্রাস বিরাট কলি
জেলা সংবাদদাতা
নিউজওয়ান২৪.কম
প্রকাশিত : ১২:৫১ পিএম, ১৭ জানুয়ারি ২০১৭ মঙ্গলবার
তার নাম অনেকটা ভারতীয় ক্রিকেট ক্যাপ্টেন বিরাট কোহলির সঙ্গে মিলে যায়। তবে ইনি ক্রিকেট খেলেন না- তার খেলা ছিল আতঙ্ক নিয়ে- জনমনে ভয়ভীতি ছড়ানোর কাজে কুখ্যাত সে। তার নাম বিরাট কলি। অবশেষ ধরা পড়েছে সে।
কক্সবাজারের দুর্ধর্ষ ডাকাত সর্দার ও মোস্ট ওয়ান্টেড ক্রিমিনাল কলি বাহিনী প্রধান কলিমউল্লাহ ওরফে কলি ওরফে ডাকাত কলি ওরফে ব্লেড কলি ওরফে বিরাট কলি (৩০)। অনেক নামের ছদ্মাবরণে থাকা এই জঘন্য অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেছে কক্সবাজার মডেল থানা পুলিশ।
পুলিশের নিয়োজিত চরদের (ইনফর্মার) থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গত বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) বিকালে কলিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মাদক উদ্ধার অভিযানের সময়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে কক্সবাজার মডেল থানার আওতাধীন বাংলাবাজার এলাকা থেকে পাকড়াও করা হয়। পুলিশের তথ্যে জানা যায়, বিরাট কলি ওরফে কলি ডাকাত ২৪টি নিয়মিত মামলা ও ১৪টি গ্রেপ্তারি পরোয়ানার পলাতক আসামি।
গ্রেপ্তারের পর এসআই আবুল কালাম বাদী হয়ে কলির বিরুদ্ধে আদালতে একটি এজাহার দায়ের করেন।
জানা গেছে, কলিকে গ্রেপ্তারের অভিযান অনেকটাই ছিল সিনেমার গল্পের মতো।
এজাহারের বয়ান মতে- সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে কলি ডাকাত বাংলাবাজার এলাকায় অবস্থান করে পরবর্তী ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। গোপনে এ খবর পেয়ে কক্সবাজার মডেল থানার এসআই আবুল কালাম ও অপর কয়েকজন অফিসার ডাকাতদের অবস্থানস্থলে অভিযান চালায়। এসময় ডাকাত দল বিষয়টি টের পেয়ে সটকে পড়ার চেষ্টা করে। কলি ডাকাত পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ারও চেষ্টা করে। তবে ঘটনাক্রমে তার ওই পিস্তলের ম্যাগজিন গুলিশূন্য ছিল। উপায় না দেখে সে পালানোর ফন্দিতে দ্রুত পাশের পুকুরে ঝাঁপ দিয়ে পড়ে। এসময় পিস্তলে গুলি ভরে পুনরায় পুলিশের দিকে গুলি ছোড়ার চেষ্টা করে। তবে এবার তার হাতের পিস্তলটি পানিতে পড়ে যায়। কলি পানি থেকে উঠে জঙ্গলের দিকে পালিয়ে যেতে চেষ্টা করে। তবে পুলিশ পিছু ছাড়েনি। প্রায় এক কিলোমিটার কাদামাখা পথ ধাওয়া করে কাছের একটি পাহাড়ের পাদদেশ থেকে শেষপর্যন্ত থেকে আটক করা সম্ভব হয়।
অভিযানে এসআই এসআই আবুল কালাম ছাড়াও আবদুর রহিম (সেকেন্ড অফিসার) এসআই রাজীব কান্তি নাথ, এএসআই জাহাঙ্গীর-২ অংশ নেন।
কলিমউল্ল্যাহ ওরফে কলি ডাকাতের শরীর তল্লাশি হলে একরাউন্ড গুলি ভর্তি একটি ম্যাগাজিন ও একটি বিদেশি পিস্তল পাওয়া যায়। পরে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী আরও তিন রাউন্ড গুলি ভর্তি অপর একটি ম্যাগাজিন ও ১০ রাউন্ড বন্দুকের কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায়, কক্সবাজার সদর থাকার তাহের মোহাম্মদের ঘোনার কবির আহমেদের ছেলে কলি ডাকাতি ছাড়াও অবৈধ অস্ত্র কেনাবেচার ব্যবসা করতো। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনেও মামলা করা হয়।
তবে গ্রেপ্তার হওয়া কলির বক্তব্য জানা যায়নি।
নিউজওয়ান২৪.কম/একে
