NewsOne24

আম্পায়ারের সঙ্গে দুর্ব্যবহার: ‘ভদ্র খেলা’ ক্রিকেটেও হবে লালকার্ড!

খেলা ডেস্ক

নিউজওয়ান২৪.কম

প্রকাশিত : ১২:০৫ পিএম, ৮ ডিসেম্বর ২০১৬ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০১:১১ এএম, ১১ ডিসেম্বর ২০১৬ রোববার

সাম্প্রতিক এক বৈঠক শেষে মেরিলিবোর্ন ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট কমিটি (এমসিসি) যে প্রস্তাবনা এনেছে তাতে করে আগামী বছরের অক্টোবরেই ক্রিকেট খেলায় নয়া কিছু নিয়ম-কানুনের সাক্ষী হতে পারে দুনিয়া। বড় ধরনের এই পরিবর্তনের মধ্যে অন্যতম হবে ফুটবলের মতো ক্রিকেটেও অখেলোয়াড়সুলভ আচরণের জন্য ‘লালকার্ড’ প্রচলন!

এনবিটি জানায়, এমসিসির সুপারিশমালার প্রথমেই আছে ‘লালকার্ড’ প্রথা প্রবর্তনের কথা। এরপরের সুপারিশটি হচ্ছে ব্যাটসম্যানদের জন্য ব্যাটের সাইজ নির্ধারণ করে দেওয়া।

বুধবার ভারতের মুম্বাইর ওয়ানখেড়ে স্টেডিয়ামে আয়োজিত এক প্রেস কনফারেন্স এসব বিষয়ে কথা বলেন এমসিসি চেয়ারম্যান মাইক ব্রিয়ারলে। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন কমিটির অপর দুই গুরুত্বপূর্ণ সদস্য অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ক্যাপ্টেন রিকি পন্টিং ও সাবেক পাকিস্তানি গ্রেট রমিজ রাজা।

মাইক ব্রিয়ারলে সাংবাদিকদের বলেন, সম্প্রতি ইংল্যান্ডে চালানো এক জরিপে দেখা গেছে খেলোয়াড়দের অশোভন আচরণে ত্যক্ত-বিরক্ত হয়ে শতকরা ৪০ ভাগ আম্পায়ার শিগগিরই আম্পায়ারিং ছেড়ে দেওয়ার কথা ভাবছেন। এ কারণে আম্পায়ারদের ক্ষমতা বাড়ানো এবং খেলোয়াড়দের অধিক অনুশাসনের আওতায় আনার জন্য ফুটবল ও হকির মতো ক্রিকেটেও ‘লাল-কার্ড’ নিয়ম চালুর বিবেচনা চলছে।

ব্যাটের সাইজ নির্ধারণ করে দেওয়ার সমর্থনে রিকি পন্টিং বলেন, ব্যাটের আলাদা আলাদা আকারের কারণে ব্যাটসম্যানরা কেউ কেউ বাড়তি সুবধা পেয়ে থাকেন।

এজন্য ব্যাটের একটি আকার নির্দিষ্ট করে দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। বিশ্বের ৬০% পেশাদার ক্রিকেটার এ বিষয়ে একমত বলে জানান পন্টিং।

প্রস্তাবিত নয়া নিয়মের মধ্যে আরেকটি হচ্ছে, ব্যাটসম্যানের পিটানো বল উইকেটকিপার বা ফিল্ডারের হেলমেটে লাগার পরও ‘কট আউট’ ধরা যাবে।

এদিকে, ক্রিকেটেও লালকার্ড প্রসঙ্গে রসিক ক্রিকেটভক্তরা কেউ বিষয়টিকে অন্যভাবে দেখছেন। বাংলাদেশি একজন ভক্ত এ বিষয়ে বললেন, ‘ভদ্রলোকের খেলা’ ক্রিকেটকে ভদ্রস্থ রাখার চূড়ান্ত চেষ্টা চালাচ্ছে এর মুরব্বীরা। তবে আম্পায়ারদের দুর্নীতি আর চালিয়াতির বিষয়ে তারা কিছু ভাবছে কি না- এটাও হবে দেখার বিষয়।

প্রসঙ্গত, খেলোয়াড়দের পরস্পর অশোভন আচরণ, ম্যাচ পাতানো, জুয়াবাজী, আম্পায়ারদের ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত ভুল সিদ্ধান্ত ক্রিকেট খেলায় প্রায়ই অমঙ্গলের কলঙ্ক লেপন করে দেয়। গত বিশ্বকাপে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচে পাকিস্তানি আম্পায়ার আলিম দার ও ইংল্যান্ডের ইয়ান গৌল্ডের একাধিক অনৈতিক সিদ্ধান্ত বাংলাদেশকে নিশ্চিত জয় থেকে বঞ্চিত করে।

তবে এসবের জন্য আলিণম দার বা গৌল্ডকে কোনো শাস্তির মুখে পড়তে হয়নি। উল্টো আলিম দারকে আইসিসি বারবার বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ম্চেযা আম্পায়ার হিসেবে রেখেছে। যদিও আইপিএলে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের দায়ে অপর পাকিস্তানি আম্পায়ার আসাদ রৌফকে আইপিএলসহ সব ধরনের ভারতীয় ক্রিকেটীয় কর্মকাণ্ড থেকে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়। স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকার দায়ে আগেও শাস্তি পেয়েছেন আসাদ রউফ। ২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) এলিট প্যানেল থেকে বাদ দেয়া হয় এই পাকিস্তানিকে।    

নিউজওয়ান২৪.কম/একে