NewsOne24

‘উরু সৌন্দর্য্যই’ শ্রীদেবীকে সুপারস্টার বানিয়েছে!

শোবিজ পর্যবেক্ষক

নিউজওয়ান২৪.কম

প্রকাশিত : ১২:০৬ এএম, ৫ ডিসেম্বর ২০১৫ শনিবার | আপডেট: ১১:৪৫ এএম, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৫ সোমবার

রামু মানে রামগোপাল ভার্মা নামের সঙ্গে বিতর্ক যেন অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে গেছে। আর এই বিতর্কের একটি বড় অংশ জুড়ে থাকে অবশ্যই তার ‘স্বপ্নকন্যা’ শ্রীদেবীকে ঘিরে করা কর্মকাণ্ড আর বাতচিতে।

এর আগে ভগবান গণেশ আর বিগ বি অর্থাৎ বলিউড শাহেনশাহ অমিতাভ বচ্চনকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে তুমুল শোরগোল ফেলে দিয়েছিলেন রামু।

তো রামু আবারও মাঠ গরম করেছেন শ্রীদেবীকে নিয়ে। তার মতে, শ্রীদেবীর তিলোত্তমাসম দেহসৌষ্ঠব বা আরও নিশ্চিতভাবে বলতে গেলে তার বহুল আলোচিত মখমলি ‘উরু সৌন্দর্যই’ তাকে এক সময়ে বলিউড সম্রাজ্ঞীর আসনে বসিয়েছিল। শ্রীদেবীর অপাপবিদ্ধ শিশুসুলভ সরলতার মায়াভরা মুখশ্রীর, ভাইটাল স্ট্যাটিকসের আর মোহময় নারীত্বের অর্গলহীন প্রশংসা অনেকেই করেছেন। কিন্তু রামু সেসব বাদ দিয়ে কেন যে শুধু শ্রী’র উরু নিয়ে পড়লেন- তা ঈশ্বরই জানেন।

রামু নিজে অনেকবার বলেছেন, শ্রীদেবীকে সেই স্কুল বয়স থেকেই কামনা করে আসছেন তিনি। এ নিয়ে অনেক কাণ্ডও ঘটিয়েছেন মেধাবী এই পরিচালক। ঘটনা শ্রীদেবীর স্বামী বনি কাপুর পর্যন্ত গিয়েও ঠেকে।

এদিকে, এক সময়ের বলিউড উর্বশীদের দেবীজীকে নিয়ে রামুর নয়া এই স্পেলের শুরুটা হয়েছে তার লেখা বই ‘গানস অ্যান্ড থাইজ’ এর প্রকাশনাকে কেন্দ্র করে। আলোচিত বইয়ে রামু তার স্বপ্নপ্রেয়সী শ্রীদেবীকে নিয়ে একটি আলাদা রচনা লিখেছেন। এ কারণে শ্রীদেবীর স্বামী বনি কাপুর বেশ নাখোশ হন রামুর ওপর। তিনি তাকে বিকৃত রুচির ব্যক্তি বলে গালমন্দ করেন। বিষয়টি প্রকাশ পায় টুইটারে। তবে ‘রঙিলা’ রামুও তো চুপ করে বসে থাকার পাত্র নন।

তিনিও পাল্টা টুইটে জবাব দেন, বনিকে আমার পরামর্শ হচ্ছে আমার ওপর বিষোদগারের আগে তার উচিৎ আমার লেখা বই ‘গানস অ্যান্ড থাইজ’-এ শ্রীদেবীজীকে নিয়ে আর্টিকেলটি পুরো পড়ে নেওয়া। বনি স্ত্রী হিসেবে তাকে যতটা মর্যাদা দিয়ে থাকেন আমি ফ্যান (ভক্ত) হয়েও শ্রীদেবীজীকে তার চেয়ে বেশি ইজ্জত করি। এই বিষয়টি শুধু শ্রীদেবীজী-ই হৃদয়ঙ্গম করতে পারবেন।

তবে বনিকে শুধু ‘সৎ পরামর্শ’ দিয়েই থেমে যাননি রামু। এরপর স্বভাবসুলভভাবে শ্রী-বন্দনাও করেছেন সুযোগমতো। টুইটে তিনি লেখেন, শ্রীদেবীজীর বিখ্যাত হওয়ার পেছনে শুধু তার অভিনয়ই মূখ্য ভূমিকা রাখেনি। এর জন্য তার ‘থান্ডার থাইজও’ সমান কৃতিত্বের দাবিদার।

রামু তার এমন তত্ত্বের পেছনে মোক্ষম যুক্তিও দাঁড় করিয়েছেন। তার মতে, যদি অভিনয় প্রতিভা দিয়েই শোবিজে সাফল্যের শিখর স্পর্শ করা যেত তবে শ্রীদেবীর চেয়ে বেশি জনপ্রিয় স্টার হতেন স্মিতা পাতিল। এটা আসলে তার (শ্রীদেবীর) ‘থান্ডার থাইজের’ কেরামতি ছিল। আমি শ্রীদেবীজীকে তার উরু দুটির জন্য, তার মুচকি হাসির জন্য, তার সংবেদনশীলতার জন্য এবং বনি কাপুরের জন্য তার ভালবাসার কারণে সম্মান করি।

মাদ্রাজি নায়িকা শ্রীদেবীর বলিউড অভিষেকের দিব্তীয় ছবি হিম্মতওয়ালা। এতে সমুদ্রের বালুকাবেলায় বেগুনি সুইমস্যুটে অপ্সরিসম শ্রীদেবীর রূপের প্রভা দর্শক-নির্মাতাদের চোখ ধাঁধিয়ে দিয়েছিল। সেই দৃশ্যে তার মসৃণ উরুর মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্য যারা দেখেছে তারাই নির্বাক হয়েছে। কদলিবৃক্ষের ন্যায় সেই পেলব উরুর আভায় মুগ্ধ আস্তিকরা প্রশংসা করেছে সৃষ্টিকর্তার আর নাস্তিকরা প্রকৃতির। শ্রীদেবীর প্রথম হিন্দি ছবি সোলভা সাল সুপার ফ্লপ করার পর দ্বিতীয় ছবি হিম্মতওয়ালা সুপারহিটের পেছনে ওই সুইমস্যুট তথা উরু প্রদর্শনকে মুখ্য বলে মানেন অনেকে। এরপর শ্রীদেবীকে আর কিছুই আটকাতে পারেনি বলিউড সম্রাজ্ঞীর মুকুট মাথায় তুলে নিতে।

নিউজওয়ান২৪.কম/এসডি