NewsOne24

বুঝে শুনে অ্যাকশন

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিউজ ওয়ান২ ৪

প্রকাশিত : ০৯:৪৫ এএম, ২৮ নভেম্বর ২০১৮ বুধবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

নির্বাচনের দিন কোনো ধরণের অপ্রীতিকর পরিস্থিতির উদ্ভব হলে ধৈর্য্য সহকারে ঘটনা পর্যবেক্ষণ করে বুঝে শুনে অ্যাকশনে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। পাশাপাশি উদ্ভুত পরিস্থিতি থেকে ভোটের পরিবেশ শান্তিপূর্ণ করতে চরম অ্যাকশন যেটা বলা হয়, সেটাকে যতদূর সম্ভব নিয়ন্ত্রণ করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এসময় ভোটারদের নিরাপত্তার বিষয়টিতেও খেয়াল রাখতে বলা হয়েছে। 

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনো সংঘাত, রক্তপাত অথবা প্রাণহানি যাতে না ঘটে সে বিষয়েও সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়ে ম্যাজিস্ট্রেটদের উদ্দেশ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেন, যে কোন মূল্যে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে হবে। অবাধ মানে ভোটার ভোটকেন্দ্রে যাবে, পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নিরাপদে বাড়িতে যাবে এবং বাড়িতে গিয়ে নিরাপদে বসবাস করবে। আর চারদিকের পরিবেশ নিরাপদ রাখার দায়িত্বে সকলে সতর্ক থাকবেন।

তিনি বলেন, নির্বাচনের দিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন। সে দিনটা আপনাদের অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্বপালন করতে হবে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অনেক সময় বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়। আপনাদেরকে বিচলিত করে, অনেক সময় উসকানিমূলক পরিস্থিতিতে ফেলে দেয়া হয়। আপনাদেরকে মিসগাইডিংয়ের মধ্যে ফেলে দেয়া হয়। সেই অবস্থাগুলো আপনাদেরকে বুদ্ধিমত্তা, দক্ষতার মাধ্যমে বুঝতে হবে। 
কোনো ঘটনা সত্য বা মিথ্যা তা আপনাদের বুঝতে হবে। আধুনিক এই যুগে কেন্দ্র, প্রিজাইডিং অফিসার, আপনাদের সহকর্মী যারা থাকবেন তাদের সঙ্গে আপনাদের যোগাযোগ থাকতে হবে। যাতে তাৎক্ষণিকভাবে সেই এলাকার অবস্থা জানতে পারেন।

সিইসি বলেন, কখনো ধৈর্য্যচ্যুত হলে চলবে না। কোনো বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়লে সহনশীল থাকতে হবে এবং বুঝে, জেনে, শুনে অ্যাকশনে যেতে হবে। চরম অ্যাকশন যেটা বলা হয়, সেটাকে যতদূর পারেন আপনারা নিজেদের বিবেচনায় সেগুলো নিয়ন্ত্রণ যদি করতে পারেন তাহলে পরিবেশ পরিস্থিত শান্ত হবে। তিনি বলেন, আমরা চাই একটি সুষ্ঠু নির্বাচন। আমরা চাই একটা নির্বাচন। আমরা চাই না সেই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনো সংঘাত হোক এবং সেখানে কোনো রকম রক্তপাত হোক অথবা প্রাণহানি হোক। এগুলোকে সামলানো ও দেখভাল করাই আপনাদের দায়িত্ব। নির্বাচনের দিন, নির্বাচনের পূর্বে এবং পরে এই সময় আপনাদের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে থাকতে হবে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নির্বাচনী আচরণবিধি ভালোভাবে রপ্ত করার নির্দেশ দিয়ে সিইসি বলেন, আচরণবিধি প্রয়োগ করতে গিয়ে এমন কোনো কাজ করবেন না, যাতে একটা নিয়ন্ত্রণহীন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। আপনারা বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট। সেই বিজ্ঞতা এবং অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে আপনাদের কাজ করতে হবে। যাতে কখনো নির্বাচনের পরিবেশ পরিস্থিতি ব্যাহত না হয়। 

তিনি বলেন, এবারের নির্বাচনে সকল রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করবে। নিরপক্ষতা থাকতে হবে এবং ক্ষিপ্রতা থাকতে হবে। কখনো নিজেদের আইনকানুনের অবস্থান থেকে চ্যুত হবেন না এবং সব থেকে বড় কথা হলো আপনাদের ধৈর্য্য সহকারে সমস্যাগুলো সমাধান করতে হবে। কাউকে বিরক্ত বা বিভাজন করা যাবে না।

ব্রিফিংয়ে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বলেন, এবারের নির্বাচন আমাদের আত্মমর্যদা সমুন্নত রাখার নির্বাচন। শুধু দেশবাসী নয়, বিশ্ববাসী এই নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছে। সকল প্রতিকূলতা সত্ত্বেও বাংলাদেশ একটি সুষ্ঠু, স্বাভাবিক, শুদ্ধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে পারবে না, তা হতেই পারে না। আমরা কোনো প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন করে কলঙ্কিত হতে চাই না। নির্বাচনে যে কেউ জয়ী বা পরাজিত হতে পারে। দেশবাসী যেনো পরাজিত না হয়।

নিউজওয়ান২৪/জেডএস