শেখ হাসিনার যেসব উন্নয়নে জনগণের চোখ
নিজস্ব প্রতিবেদক
নিউজ ওয়ান২ ৪
প্রকাশিত : ০৭:৪৬ পিএম, ১৯ নভেম্বর ২০১৮ সোমবার

ফাইল ছবি
বন্ধুর পথ পাড়ি দিয়ে সব সূচকে অগ্রগতি, সাফল্য আর উন্নয়নের ফানুস উড়িয়েই টানা দ্বিতীয় বার ক্ষমতার পাঁচ বছর পূর্ণ করল শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার। ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি দ্বিতীয় এবং ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ১২ জানুয়ারি তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।
এই সময়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুত্তি, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী-সহ বিভিন্ন খাতের উন্নয়ন দেশের ভেতর-বাইরে প্রশংসিত হয়েছে। বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ এখন শুধু উন্নয়নের রোল মডেলই নয়, একটি মানবিক রাষ্ট্র হিসেবেও প্রশংসিত। কথিত তলাবিহীন ঝুড়ির বাংলাদেশ আজ ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয়ার পাশাপাশি খাদ্য, বস্ত্র-চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছে।
বর্তমান সরকারের সময়ে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ, যোগাযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি, ক্রীড়া, পরিবেশ, কৃষি,খাদ্য, টেলিযোগাযোগ, সংস্কৃতি, সামাজিক নিরাপত্তা, মানবসম্পদ উন্নয়ন -- এমন কোনও খাত নেই যে খাতে অগ্রগতি সাধিত হয়নি। দেশে পরিকাঠামো উন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন, পুষ্টি, মা ও শিশুর স্বাস্থ্য, প্রাথমিক শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন প্রভৃতি ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে যা দেশের গণ্ডি পেরিয়ে প্রশংসিত হয়েছে আন্তর্জাতিক মহলেও।
বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক সূচকসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রত্যাশাজনক সাফল্য অর্জন করেছে এবং মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি-সহ এখন মেগা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের কাজ অব্যাহত ভাবে এগিয়ে যাচ্ছে।
নিজস্ব অর্থে পদ্মার ওপর ৬.১ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতু নির্মাণ করার সাহস দেখাচ্ছে বাংলাদেশ। এক লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকা খরচ করে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করছে বাংলাদেশ। দেশের প্রথম উপগ্রহ বঙ্গবন্ধু-২ মহাকাশে উৎক্ষেপণ করেছে। ২,৯৬৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ উপগ্রহ সফল ভাবে মহকাশে উৎক্ষেপনের মধ্য দিয়ে বিশ্বের ৫৭তম দেশ হিসেবে নিজস্ব উপগ্রহের মালিক হয়েছে বাংলাদেশ।
এছাড়া মেট্রোরেল, এলিভেটেট এক্সপ্রে-সহ আরও কয়েকটি বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সরকার। দেশের আইটি খাতের নতুন সম্ভাবনা যশোরে শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করেছেন। মাতারবাড়িতে ১২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম তাপ-বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। বর্তমান সরকারের শাসন আমলেই কোনও রকম যুদ্ধ-সংঘাত বা বৈরিতা ছাড়াই দুই প্রতিবেশী ভারত ও মিয়ানমারের বিপক্ষে সমুদ্র বিজয় নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। বঙ্গোপসাগরে এক লাখ ১৮,৮১৩ বর্গকিলোমিটারের বেশি টেরিটরিয়াল সমুদ্র, ২০০ নটিক্যাল মাইল এলাকায় একচ্ছত্র অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং চট্টগ্রাম উপকূল থেকে ৩৫৪ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত মহীসোপান এলাকার প্রাণিজ ও অপ্রাণিজ সম্পদের উপর সার্বভৌম অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
এছাড়া স্বাধীনতার পরপর ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে যে স্থল সীমান্ত চুক্তি হয়েছিল সম্প্রতি তা বাস্তবায়নের মাধ্যমে ছিটমহল সমস্যার সমাধান করা বাংলাদেশের বড় সাফল্য অর্জন বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। এসব কারণে বিশ্লেষকরা মনে করেন ভোটাররা আবার বেছে নেবে আওয়ামী লীগকেই।
নিউজওয়ান২৪/এমএস