NewsOne24

ভোটের তারিখ জোড় না বিজোড়?

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিউজ ওয়ান২ ৪

প্রকাশিত : ০৬:১৮ পিএম, ৮ নভেম্বর ২০১৮ বৃহস্পতিবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

নির্বাচন কমিশন (ইসি) এর আগে তফসিল ঘোষণার তারিখ জানিয়ে দিলেও ভোটগ্রহণ কবে হবে তা জানা যাবে শুধু মাত্র তফসিল ঘোষণার পরেই। তবে, তফসিল ঘোষণার দিন থেকে ভোটগ্রহণ পর্যন্ত মাঝখানে যে ৪৫ দিনের কাছাকাছি সময় ব্যবধান থাকবে এটা সবারই জানা। আর গত ৪ নভেম্বর কমিশনার শাহাদাত হোসেন চৌধুরী সাংবাদিকদের এমনটাই জানিয়েছিলেন।

কমিশনার শাহাদাত হোসেনের এই তথ্যের ভিক্তিতে ভোটগ্রহণের তারিখ নিয়ে জল্পনার যেন কোন কমতি নেই। ক্যালেন্ডার ধরেও যেন চলছে রাজনীতিবিদ ও গণমাধ্যমকর্মীদের হিসাব নিকাশের এক অধ্যায়। ৪৫ দিন বা তার কাছাকাছি ব্যবধানে কোনটি ভোটের উপযুক্ত দিন, তা নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। 

৪৫ দিনের ব্যবধানে যে দিনটি পড়বে সেটি হচ্ছে ২৩ ডিসেম্বর (রবিবার)। এর দুদিন বাদে ২৫ ডিসেম্বর আবার খ্রিস্টান ধর্মবলম্বীদের বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব বড়দিন। আর সেদিন ভোট না হওয়ার সম্ভাবনা বেশি বলে ধারণা করা হচ্ছে। ৪৫ দিনের আগে দুটি সাপ্তাহিক ছুটি শুক্র ও শনিবার। সাধারণত ছুটির দিনে কমিশন ভোটের দিন নির্ধারণ করে না। সেই হিসাবে আগের উপযুক্ত দিনটি হয় ২০ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার)। 

সেই হিসাবে মোটামুটি ধরেই নেওয়া হচ্ছে ২০ বা ২৩ ডিসেম্বর হতে পারে একাদশ সংসদ নির্বাচন। ফলে গণমাধ্যমকর্মী, রাজনীতিবিদ ও ইসি কর্মকর্তাদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা এই দুটি দিনের মধ্যে কোনটি ভোটের তারিখ?  

এমনি আলোচনায় এমনো প্রশ্ন উঠছে যে, ভোটের তারিখ জোড় না বেজোড়? গাণিতিক হিসাবে ২০ সংখ্যাটি হচ্ছে জোড় আর ২৩ হচ্ছে বিজোড়। ফলে ভোটের তারিখ জানতে জোড়-বেজোড় সংখ্যাবাচক শব্দটি এখন রাজনৈতিক অঙ্গনসহ নির্বাচন কমিশনেও গত তিন/চারদিন ধরে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে।

এদিকে, গণমাধ্যমকর্মীরা ভোটের সঠিক তথ্যটি জানতে ইসির দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের কাছে কৌশল অবলম্বন করছেন। কর্মকর্তাদের কাছে সরাসরি ভোটের তারিখ জিজ্ঞাসা না করে জোড় না বেজোড়, সেই প্রশ্ন করা হচ্ছে। ইসিতে দায়িত্বপালনকারী সরকারের বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তারাও একই পদ্ধতি গ্রহণ করছেন।

নিউজওয়ান২৪/এএস