NewsOne24

পাঠাও-উবারে বাড়তি ভাড়ার হয়রানি

নিউজ ডেস্ক

নিউজ ওয়ান২ ৪

প্রকাশিত : ০৫:১২ পিএম, ২৮ অক্টোবর ২০১৮ রোববার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি


সড়ক পরিবহন আইনের কয়েকটি ধারা সংশোধনসহ আট দফা দাবিতে সারাদেশে চলছে ৪৮ ঘন্টার পরিবহন ধর্মঘট। আর এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। আর সে জন্য যাতায়েতের একমাত্র মাধ্যম হয়ে ওঠেছে উবার ও পাঠাও। আর সেই সুযোগে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

রাজধানীর গুলিস্তান, যাত্রাবাড়ী, সায়দাবাদ, শাহবাগ, ফার্মগেটসহ বিভিন্ন এলাকায়ও যানবাহন না থাকায় অফিসগামী মানুষকে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। অনেক সময় পর পর দুই-একটি বিআরটিসি বাস আসলেও সেগুলো থাকে ভরা।

অন্যদিকে রিকশা-সিএনজিচালিত অটোরিকশাগুলোও ধর্মঘটের সুযোগ নিয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে যাত্রীদের কাছে। একই অবস্থা রাইড শেয়ারভিত্তিক অ্যাপস কোম্পানি পাঠাও-উবারেরও।

রাইসুল ইসলাম নামের এক পাঠাও ব্যবহারকারী বলেন, আমি প্রতিদিন মোহাম্মদপুর থেকে বনানী যাতায়াত করি, প্রমোকোড ব্যবহার করে আমার ভাড়া আসে ৭৫-৮০ টাকা। অথচ আজ ধর্মঘটের দিন প্রমোকোড থাকার পরও আমার ভাড়া দেখাচ্ছে ১৬০ টাকা।

নাদিম আমিন নামের আরেক পাঠাও ব্যবহারকারী বলেন, প্রমোকোড থাকার পরও সূত্রাপুর থেকে বনানীর ভাড়া দেখাচ্ছে ২২০ টাকা, যেখানে একই প্রমোকোড দিয়ে আমি অন্যান্য দিন যাতায়াত করি ১৭০ বা ১৮০ টাকায়। এখান থেকে বনানীতে প্রমোকোড ছাড়াই ২৫০ টাকা ভাড়া আসে।

সেলিম হায়দার নামের এক উবার ব্যবহারকারী বলেন, গুলিস্তান থেকে আমি প্রায়ই উবারে মিরপুরে যাতায়াত করি, প্রমোকোডে আমার ভাড়া আসে সর্বোচ্চ ২০০ টাকা অথচ আজ ২৪০ টাকা ভাড়া দেখাচ্ছে।

শুধু তাই নয়, রামপুরা- বাড্ডা লিংক রোডে দেখা গেছে বিপুল সংখ্যক পাঠাও- উবার রাইডার অ্যাপস ছাড়া কন্টাক্টে যাত্রী বহন করছেন। পরিবহন ধর্মঘটের সুযোগ নিয়ে তারা বাড়তি ভাড়ায় সরাসরি যাত্রী বহন করছেন।

সাদাত পারভেজ নামের এক যাত্রী বলেন, আমি সার্চ করেও রাইডার পেলাম না। সবাই কন্টাক্টে যাত্রী নিচ্ছেন। লিংক রোড থেকে বাইকে উত্তরার ভাড়া চাইছে ২৫০-৩০০ টাকা। এইভাবে গলা কাটার মানে কী? সিএনজিচালিত অটোরিকশাগুলোতো আরো বেশি ভাড়া চাইছে।

অ্যাপস ব্যবহার ছাড়া রাইড শেয়ারে যাত্রী ও চালকদের সতর্ক করে দিয়ে নাবিলা বলেন, এমন অনেক অভিযোগ আমরা পেয়েছি। এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এতে মারাত্মক ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি রয়েছে। আপনি রাইড শেয়ার করার সময় কোনো বিপদ হলে আমরা জিপিএসের মাধ্যমে আপনাকে ট্র্যাক করতে পারবো, নিরাপত্তাজনিত ব্যবস্থা নিতে পারবো। কিন্তু আপনি যখন অ্যাপস ব্যবহার করবেন না তখন আমরা কিন্তু এর দায় নিতে পারবো না। তাই বিপদ এড়াতে গ্রাহকদের সতর্ক হতে হবে। আর যেসব চালক এমন করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি।

রোববার ভোর ৬টা থেকে ৪৮ ঘন্টার এই পরিবহন ধর্মঘট শুরু হয়, যা শেষ হবে মঙ্গলবার। আর এই সময়ের মধ্যে আট দফা দাবি আদায় না হলে লাগাতার ধর্মঘটের ঘোষণাও দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন।

নিউজওয়ান২৪/এমএম