NewsOne24

‘সংসদ ভেঙে’ নির্বাচন দেয়া প্রসঙ্গে ড. শাহদীন মালিক যা বললেন

নিউজ ডেস্ক

নিউজ ওয়ান২ ৪

প্রকাশিত : ১১:৪০ এএম, ২৫ অক্টোবর ২০১৮ বৃহস্পতিবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

বিশিষ্ট আইনজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক বলেছেন, সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে নির্বাচন করার বিষয়টি সংবিধানে রয়েছে। বিএনপিসহ অনেকই বলেছেন সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে নির্বাচন দেয়ার জন্য। কিন্তু তারা কেন এটা বলছেন না, সংবিধানের ১২৩ এর ৩(খ) অনুচ্ছেদে বলা আছে সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচন করা যাবে। সংসদ ভেঙে দেয়ার দাবিটা উদ্ভট দাবি নয়। এতদিনে এটি জনগণের কাছে অনেক যৌক্তিক মনে হতো।

গত মঙ্গলবার রোকসানা আনজুমান নিকোলের সঞ্চালনায় একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে এসে এসব কথা বলেন ড. শাহদীন মালিক। আলোচনার বিষয় ছিলো-‘কেমন সরকারে নির্বাচন’।

তিনি বলেন, সবকিছু সংবিধানে লেখা থাকবে না। নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচন নিয়ে সংবিধানে মাত্র দুই পৃষ্ঠার ৯টা অনুচ্ছেদ আছে। যুক্তরাষ্ট্রে আছে ৭টি ধারা। ১৫ পৃষ্ঠার। অর্থাৎ মূল দাগে বড় কিছু লেখা আছে। আপনি যেটা করতে চাইবেন সেটা তার আলোকে করতে হবে।

সংসদ ভেঙে দিলে স্বাভাবিকভাবে ওই সময় যে সরকার ছিলো সেটি না থাকাটাই স্বাভাবিক জানিয়ে তিনি বলেন, অন্যান্য দেশে যেখানে সংসদীয় গণতন্ত্র রয়েছে সেখানে প্রথা রয়েছে, সংসদ ভেঙে দেয়া। আর ওই সময় অন্তর্বতীকালীন সরকারের অধীনে দেশ পরিচালিত হবে। 

ড. শাহদীন মালিক বলেন, ১২৩ এর ৩ (ক) এবং (খ) অনুচ্ছেদে সংবিধানে দুইটা বিকল্প আছে। সংবিধানে ১২৩ (ক) অনুচ্ছেদে বলা আছে, সংসদ রেখে নির্বাচন করা যাবে। ১২৩ (খ) অনুচ্ছেদে বলা আছে, সংসদ ভেঙে নির্বাচন করা যাবে। সরকার বলছে সংসদ রেখে নির্বাচন করবে। অন্যরা বিকল্পটা চাচ্ছে। অন্যান্যা সংসদীয় গণতন্ত্রের দেশে কিন্তু এই ধরণের দাবিতে সংসদ ভেঙে দেয়া হয়।

নির্বাচনকালীন সরকারের মন্ত্রীসভার আকার নিয়ে ড. শাহদীন মালিক বলেন, প্রধানমন্ত্রী যতজন নির্ধারণ করবেন ততজন থাকবেন। এখন ধরেন ৬০ জন আছে। প্রধানমন্ত্রী চাইলে ১০০ জন করতে পারেন। আইনগত কোনো বাঁধা নেই এবং সেটা সংবিধান সম্মত।

তবে প্রথা হলো-বাড়িয়ে নয় কমিয়ে দেবেন। ১২৬ অনুচ্ছেদে নির্বাচন কমিশনের অনেক ক্ষমতা আছে। কমিশন তার ক্ষমতাগুলো প্রয়োগ করবে। সেক্ষেত্রে বিরোধীদের সব দাবি পূরণ হবে না কিন্তু নির্বাচনের জন্য সহনীয় লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হবে।

নির্বাচনকালীন সরকারের মন্ত্রীরা কী কী করতে পারবেন আর কী কী করতে পারবেন না জানতে চাইলে ড. শাহদীন মালিক বলেন, সংবিধান তো উচুস্তরের মানুষদের জন্য। মন্ত্রীদের সাধারণ মানুষের একটা স্বাভাবিক প্রত্যাশা আছে। 

তবে তাদের নিরাপত্তার কথাও বিবেচ্য। মন্ত্রী হিসেবে জীবনের ঝুঁকি বেশি থাকতে পারে। এর বাইরে তাদের কোনো ধরনের সুযোগ-সুবিধা ব্যবহার করা উচিত না।

নিউজওয়ান২৪/জেডএস