আগামী নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা রয়েছে: এরশাদ
নিজস্ব প্রতিবেদক
নিউজ ওয়ান২ ৪
প্রকাশিত : ০৪:২৩ পিএম, ২০ অক্টোবর ২০১৮ শনিবার

ছবি সংগৃহীত
আগামী নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তিনি বলেন, নিবাচন হবে কি হবে না আমরা জানি না। একটি দল পাঁচ দফা দিয়েছে। বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী, তা মানা সম্ভব নয়। এই অবস্থায় আগামী দিনগুলো নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।
শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় পার্টির নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত জাতীয় জোটের মহাসমাবেশে এসব কথা বলেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু হলে জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় আসবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন এরশাদ। তিনি বলেন, আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনের নিশ্চয়তা চাই। নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।
জাতীয় পার্টি নির্বাচন পদ্ধতির পরিবর্তন করতে চায় বলে উল্লেখ করে এরশাদ বলেন, দেশের প্রত্যেকটি নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ বলেন, আমি সবচেয়ে বয়োজ্যষ্ঠ রাজনীতিবিদ, আমার ওপরে আর কারো বয়স নেই। আমি ক্ষমতা ছেড়ে যাওয়ার পরে যত নির্যাতন ও অত্যাচার সহ্য করেছি, আর কোনো রাজনীতিবিদ তা সহ্য করেনি। আজ পর্যন্ত আমি শান্তিতে ও আনন্দে ঘুমাতে পারি না।
তিনি আরো বলেন, আগামী নির্বাচন হয়তো আমার শেষ নির্বাচন। আমার শেষ জীবনটাকে দেশ ও জাতীয় জন্য উৎসর্গ করলাম। দেশবাসীর কাছে আমরা একটাই চাওয়া, আমরা দোয়া করবেন যেন জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় আসতে পারে।
সমাবেশে জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ বলেন, জনগণের উৎসাহ ও আগ্রহ দেখে মনে হচ্ছে আমরা আবার ক্ষমতায় যাই। আগামীতে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য যা যা করা দরকার তাই করতে হবে।
এসময় রওশন এরশাদ আরও বলেন, জাতীয় পার্টিকে ক্ষমতায় যেতেই হবে। কারণ জনগণ আরেকবার সুযোগ দিতে চায়। তাই আমরা যদি এই সুযোগ গ্রহণ করতে না পারি, তাহলে অন্য কোনও দল তা পারবে না। আর ক্ষমতায় যেতে হলে দলকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করতে হবে।
এদিকে সমাবেশের এক পর্যায়ে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের মধ্যে কয়েক দফায় চেয়ার ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘটে। এক পক্ষ আরেক পক্ষকে লক্ষ্য করে চেয়ার ছুড়ে মারেন। এতে কয়েকজন নেতাকর্মী আঘাতও পান। এসময় শতাধিক চেয়ার ভাঙচুর করা হয়। তখন মঞ্চ থেকে অনুরোধ করে শান্ত করা হয় কর্মীদের।
রংপুর থেকে সমাবেশে আসা জমিস উদ্দিন বলেন, আমাদের পার্টি। আর আমাদের বলে যে, কোথায় থেকে আসছি। এজন্য ওদের চেয়ার ছুড়ে মেরেছি।
সম্মিলিত জাতীয় জোটের এই সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের, মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য সালমা ইসলাম, ফয়সল চিশতী, আবু হোসেন বাবলা, খেলাফত মজলিশের জোবায়ের আহমদ আনসারী, ইসলামিক ফ্রন্টের এমএ মান্নান, আবু সুফিয়ান, বিএনএ-এর সেকান্দর আলী প্রমুখ। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, জিয়াউদ্দিন বাবলু, কাজী ফিরোজ রশিদ, খেলাফত মজলিশের মাওলানা মাহফুজুল হকসহ জোটের শীর্ষ নেতারা।
এর আগে সারাদেশে দেশ থেকে জোটার নেতাকর্মীরা সমাবেশ স্থলে আসতে শুরু করে। মহাসমাবেশের কারণে শাহবাগ মোড় থেকে হাইকোর্টে মোড় পর্যন্ত দুই পাশের রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ থাকে। সমাবেশকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপিস্থিতি থাকার কারণে বড় ধরনের কোনও সমস্যা হয়নি।
নিউজওয়ান২৪/এমএম