একজন জাফরুল্লাহর উত্থান
নিজস্ব প্রতিবেদক
নিউজ ওয়ান২ ৪
প্রকাশিত : ০১:১৫ পিএম, ১৭ অক্টোবর ২০১৮ বুধবার

ফাইল ছবি
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ২নং সেক্টরে সেক্টর কমান্ডার খালেদ মোশাররফ ও সেক্টর কমান্ডার হায়দারের নেতৃত্বে ডা. মোবিন চৌধুরী, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ডা. মেজর আখতার আহমেদ বীর প্রতীক, ক্যাপ্টেন সিতারা বেগম বীর প্রতীক, ডা. সুলতানা কামালসহ অনেক ডাক্তারের তত্ত্বাবধানে আগরতলার মেলাঘরের বিশ্রামগঞ্জে হাবুল ব্যানার্জির বাগানে যুদ্ধে আহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা দেয়ার জন্য গড়ে উঠে বাংলাদেশ হাসপাতাল।
মুক্তিযুদ্ধের পরে হাসপাতালটি সাভারে স্থানান্তর করা হয়। পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধাসহ যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছিল হাসপাতালটি। বিশ্ববিখ্যাত ডাক্তার গাস্টসহ অনেক ডাক্তার বাংলাদেশে এসে আহত মুক্তিযোদ্ধাদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দেন। ডা. মোবিন চৌধুরী, ডা. জাফরুল্লাসহ মেলাঘরের সে সময়ের ডাক্তারদের সমন্বয়ে একটি ট্রাস্ট যেটি পরবর্তিতে ‘গণস্বাস্থ্য সংস্থা’ করে পরিচালিত হচ্ছিল।
বঙ্গবন্ধু সরকার এ চিকিৎসা কেন্দ্রের জন্য উদারভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের পরে সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসেন।
আর তারপরেই ২নং সেক্টর কমান্ডার খালেদ মোশাররফ ও হায়দার বাদ পরেন। যাদের নেতৃত্বে তৈরি হয়েছিল বাংলাদেশ হাসপাতাল। পরে সেক্টর কমান্ডার খালেদ মোশাররফ ও হায়দারের রক্ত মাড়িয়ে ডা. জাফরুল্লাহ এগিয়ে গেলেন। সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান থেকে খালেদ মোশারফ ও হায়দারের হত্যার উপঢৌকন হিসেবে স্বাধীনতা পদকসহ গণস্বাস্থ্যের নামে গ্রহণ করলেন নানাবিধও সুবিধা। ধীরে ধীরে নামকা ওয়াস্তে ট্রাস্ট রেখে নিজে দখল করলেন ‘গণস্বাস্থ্য সংস্থা’।
নিউজওয়ান২৪/এমএস