NewsOne24

নরহত্যার দায়ে তিন সিংহের যাবজ্জীবন!

বেড়ানো-পরিবেশ ডেস্ক

নিউজওয়ান২৪.কম

প্রকাশিত : ১২:৪৫ পিএম, ১৭ জুন ২০১৬ শুক্রবার | আপডেট: ১১:০১ এএম, ২৫ জুলাই ২০১৬ সোমবার

বনের গভীরে বিশ্রামরত গির অভয়ারণ্যের একটি সিংহ         -ফাইল ফটো

বনের গভীরে বিশ্রামরত গির অভয়ারণ্যের একটি সিংহ -ফাইল ফটো

মানুষ হত্যা ও ভক্ষণের দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে তিন সিংহকে। উত্তর ভারতের গুজরাট রাজ্যের এক অভয়ারণ্যে ওই সিংহদল কয়েকজন গ্রামবাসীকে হত্যা করে খেয়ে ফেলে বলে বনবিভাগ সূত্রে জানা যায়।

তদন্ত ও সাক্ষপ্রমাণ শেষে ওই অভয়ারণ্যের তিন সিংহকে যাবজ্জীবন দণ্ড দেন বনসংরক্ষণ কর্মকর্তারা।

বৃহস্পতিবার বন কর্মকর্তারা জানান, ওই তিন সিংহকে খাঁচায় বন্দি করা হয়েছে এবং মৃত্যুপর্যন্ত তাদের আর কখনোই বনের উন্মুক্ত পরিবেশে ছেড়ে দেওয়া হবে না।

দণ্ডিত তিন সিংহের দুইজন নারী ও একজন পুরুষ। এরা গুজরাটের গির জাতীয় উদ্যান অভয়ারন্যের বাসিন্দা।
খুনীদের ধরতে বন থেকে মোট ১৭টি সিংহকে বন্দি করা হয়।

জানা গেছে, অভয়ারণ্যের কাছাকাছি নিজ বাড়ির বাইরে ১৪ বছরের এক বালক ঘুমিয়েছিল। সিংহদল তাকে কামড়ে-ছেচড়ে জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে খেয়ে ফেলে। গত এপ্রিল থেকে ওই এলাকায় সিংহের হাতে মারা পড়া তৃতীয় ব্যক্তি ছিল বালকটি। এ ঘটনায় এলাকার লোকজন বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে এবং সরব হয়ে ওঠেন স্থানীয় আইনপ্রণেতারা। তারা মানুষখেকো খুনী সিংহগুলোকে শিকারের দাবি জানিয়ে আসছিল।

যেভাবে চিহ্নিত করা হয় খুনী সিংহদের
ঘটনাস্থলে কোনো ক্যামেরা ছিলা না বা অন্য কোনো কায়দা ছিল না যা দিয়ে সরাসরি খুনীদের চিহ্নিত করা যায়। তাই ওই ১৭ সিংহের মধ্যে অপরাধী কারা এটা নির্ণয় করা কঠিন হয়ে পড়ে। তবে সমস্যার সমাধান করা হয় অন্য কায়দায়। এ প্রসঙ্গে গুজরাটের প্রধান বন সংরক্ষক এপি সিং জানান, সিংহগুলোর মুখ পরীক্ষা করা হয়। তাতে দেখা যায় তিনটি সিংহের মুখে মানুষের মাংসের চিহ্ন লেগে আছে।

পরে আরও জানা গেছে, পুরুষ সিংহটি মানুষগুলোকে আক্রমণ ও হত্যা করেছে আর খেয়েছে সিংহী দুটি।

গুজরাটের ওই অভয়ারন্যটির সিংহ ধারণ ক্ষমতা ২৭০টি হলেও তা সেই সীমা ছড়িয়েছে। ২০১৩ সালে গুজরাট রাজ্য সরকারকে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল কিছু সিংহকে অন্যান্য রাজ্যে পুনর্বাসন করতে। এত করে যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে বা মহামারী রোগে তাদের সদলবলে মারা পড়া থেকে বাঁচানো যাবে।

তবে গুজরাট এর বিরোধিতা করে জানায়, অন্য রাজ্যগুলো এই বৃহৎবিড়ালগুলোকে ঠিকমতো দেখভাল করতে পারবে বলে তারা বিশ্বাস করে না।

নিউজওয়ান২৪.কম/একে