NewsOne24

আল্লাহ যেদিকে নেয়, সেইদিকেই যাবেন শিক্ষক শ্যামল কান্তি!

জেলা সংবাদদাতা

নিউজওয়ান২৪.কম

প্রকাশিত : ০৯:১১ এএম, ১০ জুন ২০১৬ শুক্রবার | আপডেট: ১১:৫৭ এএম, ১১ জুন ২০১৬ শনিবার

শ্যামল কান্তি ভক্ত           -ফাইল ফটো

শ্যামল কান্তি ভক্ত -ফাইল ফটো

নারায়ণগঞ্জ: জেলার বন্দর উপজেলার পিয়ার সাত্তার লতিফ স্কুলের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্ত ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল চিকিৎসা শেষে নারায়ণগঞ্জে ফিরে গেছেন। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে চিকিৎসকদের পরামর্শে তিনি হাসপাতাল ছাড়েন।


এসময় ‘কোথায় যাচ্ছেন’ এমন প্রশ্নের জবাবে শ্যামল কান্তি সাংবাদিকদের বলেন, “আল্লাহ যেদিকে নেয়, সেইদিকেই যাবো।”

পুলিশ পাহারায় বাসায় ফেরা শ্যামল কান্তির সঙ্গে স্ত্রী সবিতা হালদার ছিলেন।
বৃস্পতিবার বিকেল তিনটার দিকে ঢামেক হাসাপাতাল থেকে পুলিশ পাহারায় শ্যামল কান্তিকে নারায়ণগঞ্জের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

সবিতা হালদার বলেন, বিকেল চারটার দিকে নারায়ণগঞ্জে পৌঁছেছি। পুলিশ পাহারা দিয়ে আমাদেরকে পৌঁছে দিয়েছে। যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আওয়ালের নেতৃত্বে শ্যামলকান্তিকে নারায়ণগঞ্জ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সেখান থেকে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ তাকে বাসায় পৌঁছে দেয়।

অপরদিকে, বিকেল ৪টার পরে শ্যামল কান্তি ভক্ত ও তার স্ত্রী সবিতা হালদার নারায়ণগঞ্জ শহরের নগর খানপুর মোকরবা সড়কে ভাড়া ফ্ল্যাট বাসায় গিয়ে ওঠেন।

তবে সাংবাদিকরা সাড়ে ৪টায় মোকরবা রোডের ওই বহুতল ভবনে গেলেও ফ্ল্যাটে প্রবেশের অনুমতি মেলেনি কারও। পরে বাসার নিচে অপেক্ষমান সাংবাদিকরা সেলফোনে কথা বলেন সবিতা হালদারের সঙ্গে। ‘বিকেলেই বাসায় পৌঁছেছি’ উল্লেখ করে এসময় সবিতা বলেন, হাসপাতালে যাতিায়াতসহ চিকিৎসা নিতে গিয়ে আমরা সবাই খুব ক্লান্ত। নারায়ণগঞ্জ আসার পর কিছুটা ভয় ও আতংক আছে। তাছাড়া ওনার (শ্যামল কান্তি) আরো রেস্ট দরকার। তাই এখন আমরা কারো সঙ্গে কথা চলতে চাচ্ছি না। দুই একদিন গেলে কথা বলবো। তখন আইসেন।

সবিতা নিজেও একজন সেবিকা (নার্স)। নারায়ণগঞ্জ শহরের খানপুরে অবস্থিত ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের সিনিয়র নার্স হিসেবে কর্মরত। স্বামীর সেবা-পরিচর্যার জন্য এখন তিনি ছুটিতে আছেন।

উল্লেখ্য, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে ১৩মে নারায়ণগঞ্জের পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে লাঞ্ছিত করে জনতা। পরে পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে আসা স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান সবার সামনে তাকে কান ধরে উঠবস করান। এ ঘটনার ভিডিও ক্লিপ তীব্র ক্ষোভ ও আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয়।

ওই ‘কানধরা কাণ্ডের’ সময়ে শ্যামল কান্তিকে বরখাস্ত করে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি। তবে পরে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ তাকে স্বপদে বহাল রাখার সিদ্ধান্ত জানান। এছাড়া স্কুল পরিচালনা কমিটিকে বাতিল ঘোষণা করেন শিক্ষামন্ত্রী।

নিউজ্ওয়ান২৪.কম/এসকে