NewsOne24

কুয়েতে বিলম্বে বেতনদাতা ও ভিসা ব্যবসায়ীদের জরিমানা বৃদ্ধি

স্টাফ রিপোর্টার

নিউজওয়ান২৪.কম

প্রকাশিত : ১০:৪৮ এএম, ৯ জুন ২০১৬ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ১০:৫০ এএম, ৯ জুন ২০১৬ বৃহস্পতিবার

কাজ করছে প্রবাসী শ্রমিক             -ফাইল ফটো

কাজ করছে প্রবাসী শ্রমিক -ফাইল ফটো

তেলসমৃদ্ধ দেশ কুয়েতে প্রাইভেট সেক্টরের শ্রমআইন সংশোধনী প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে পাস হয়ছে। এতে যেসব কুয়েতি ভিসা তথা স্পন্সর বাণিজ্যে জড়িত এবং যারা অধীনস্থ বিদেশি শ্রমিকদের ঠিকমতো বেতন দেয় না- তাদের জেল-জরিমানার মাত্রা বৃদ্ধি করা হয়েছে।

শ্রম আইনের এই সংশোধনীর ফলে এখন কোনো মালিক বেতন দিতে দেরি করলে জরিমানার মুখে পড়বে। এছাড়া অবৈধ ভিসা বাণিজ্যে জড়িত কুয়েতিদেরও একই শাস্তি হবে।

কুয়েত ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে গত বুধবার সরকার ও বিরোধী এমপিদের কোনো বিতর্ক ছাড়াই আইনের সংশোধণীটি গৃহীত হয়।

বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে কুয়েত টাইমস জানায়, সংশোধিত আইনে সেসব কুয়েতির জেল-জরিমানার পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে যারা বিদেশ থেকে শ্রমিক এনে তাদের কাজ দেন না বা দিতে পারেন না।

সংশোধনী মোতাবেক (আর্টিকেল নং ১৩৮) যেসব কুয়েতি বিদেশ থেকে বা কুয়েত থেকে বিদেশি শ্রমিক নিয়োগ দিয়েছেন অথচ তাদের কাজ দিচ্ছে না- তাদের জরিমানা নির্ধারণ করা হয়েছে শ্রমিক পিছু ২,০০০কেডি (কুয়েতি দিনার, ১ কেডি= ২৬০.২৩ টাকা) থেকে সর্বোচ্চ ১০,০০০কেডি ও তিন বছর জেল। আগে এ ধরনের অপরাধের জরিমানা ছিল নিম্নে এক হাজার কেডি থেকে সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার কেডি। তবে সংশোধনীতে জেলদণ্ড বাড়ানো হয়নি- এটা আগের মতো তিন বছরই রাখা হয়েছে।

১৪৬ নং আর্টিকেলে একটি নয়া অনুচ্ছেদ যোগ করা হয়েছে। এর ফলে যেসব মালিক শ্রমিকদের বেতন দিতে দেরি করে আদালত তাদের জরিমানা করতে পারবে।

প্রসঙ্গত, অনেক কুয়েতি নাগরিক সরকারের স্পন্সরশির স্কিম পলিসির অবৈধ সুযোগ নিয়ে বড় সংখ্যায় বিদেশি শ্রমিক নিয়োগ দিলেও কাজ দিতে পারে না বা দেওয়া হয় না। ওই শ্রমিকরা বিভিন্ন স্থানে অবৈধ পন্থায় ছুটা কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। এর বিনিময়ে স্পন্সরদাতাকে সর্বোচ্চ বার্ষিক এক হাজার কেডি করে ‘ফি’ দিয়ে থাকে এ ধরনের শ্রমিকরা। এ ধরনের শ্রমিকদের কাজের কোনো নিরাপত্তা থাকে না। অহরহ তাদেরকে পুলিশিসহ নানান ঝামেলার সঙ্গে লড়তে হয়।

দেশটির সমাজকল্যাণ ও শ্রম মন্ত্রণালয় স্পন্সরদাতাদের এ ধরনের শোষণ আর অবৈধ ভিসা ব্যবসা রোধে অনেকদিন যাবত চেষ্টা করেও সফল হচ্ছে না। এ সূত্রে অনেক ‘স্পন্সর-ব্যবসায়ী’ কুয়েতিকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে এর আগে। কিন্তু যথোপযুক্ত আইন বা বিরাজমান আইনের সঠিক প্রয়োগের দুর্বলতায় সমস্যার সমাধান হয়নি।

নিউজওয়ান২৪.কম/এসএআর