‘পরিবার পরিকল্পনার ধান্ধা ছেড়ে সন্তান উৎপাদনে মনোযোগী হোন’
বিশ্ব সংবাদ ডেস্ক
নিউজওয়ান২৪.কম
প্রকাশিত : ১০:৪০ এএম, ৩১ মে ২০১৬ মঙ্গলবার | আপডেট: ১০:৩৯ পিএম, ২ জুন ২০১৬ বৃহস্পতিবার

এরদোয়ান -ফাইল ফটো
কিছুদিন আগে বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়ে দুনিয়াজুড়ে সমালোচনার জন্ম দিয়েছিলেন তিনি। এবার আরও একবার সমালোচনার মুখে পড়লেন তিনি। তার নিজদেশ তুরস্কের এবং একই সঙ্গে মুসলিম বিশ্বের প্রতি জন্মনিয়ন্ত্রণ না করার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।
গত সোমবার টিভিতে সরাসরি সম্প্রচারিত এক অনুষ্ঠানে এরদোয়ান বলেন, আমি প্রকাশ্যেই এ কথা বলছি। আমরা আমাদের সন্তানের সংখ্যা বাড়াবো। তারা পরিবার পরিকল্পনা আর জন্মনিয়ন্ত্রণের কথা বলে। কোনো মুসলিম পরিবারের এ ধরনের বিষয়ে সামিল না হওয়াই উচিৎ। খোদার কর্মকাণ্ডে দখলদারি দেওয়ার অধিকার কারও নেই। এজন্য বলা যায়, একাজে (জন্মনিয়ন্ত্রণ না করা) প্রথম জিম্মাদারিটা হচ্ছে মায়েদের।
এদিকে, তুর্কি রাষ্ট্রপতির এ ধরনের বক্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে তার বিরোধী পক্ষ ও নারী সংগঠনগুলো।
তাদের বক্তব্য হচ্ছে, কোন নারী কয়টা বাচ্চা জন্ম দেবেন বা কোন দম্পতি পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি গ্রহণ করবে কি না তা ঠিক করে দিতে পারেন না রাষ্ট্রপতি।
যেমন মানুষ এরদোয়ান
১২ বছর প্রধানমন্ত্রী থাকার পর ২০১৪ সালের আগস্টে রাষ্ট্রপতি হন এরদোয়ান। একে পার্টির এই নেতার নির্দয় শাসক এবং ‘স্বৈরাচার’ হিসেবে কুখ্যাতি আছে। তবে চার সন্তানের জনক এরদোয়ান যা বলেন সোজাসুজিই বলেন। জন্মনিয়ন্ত্রণের বিরুদ্ধে তার অবস্থান আগে থেকেই। ২০১৪ সালে এক বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত এরদোয়ান জন্মনিয়ন্ত্রণ করাকে ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
চলতি বছরের গোড়ার দিকে জার্মানির এক টিভি চ্যানেলের লেটনাইট কমেডি শোতে এরদোয়ানকে নিয়ে একটি ব্যঙ্গ কবিতা পরিবেশন করেন জান বোহমেরমান নামে এক তরুণ কমেডিয়ান। এতে তুরস্ক তথা এরদোয়ানের তীব্র প্রতিক্রিয়ার জেরে ওই অনুষ্ঠানই শুধু বন্ধ করেনি জার্মানি, চ্যান্সেলর মের্কেলের অনুমোদনে ওই কৌতুকাভিনেতাকে বিচারের মুখেও দাঁড় করানো হয়। তার আগে তাকে নিতে হয় পুলিশ প্রটেকশন।
সাংবাদিক, সমালোচক, বিদ্রোহী কুর্দিস্তান ওয়ার্কাস পার্টি আর গৃহযুদ্ধরত প্রতিবেশী সিরিয়ার সঙ্গে নানান জটিলতায় তুরস্কের এই দোর্দণ্ড প্রতাপশালী প্রেসিডেন্ট (যদিও পদটি আলঙ্কারিক প্রায়) প্রায়ই সংবাদ শিরোনাম হন তার নানা বক্তব্যের কারণে।
সম্প্রতি তিনি প্রধানমন্ত্রী আহমেদ দাভুতোগলুকে অপসারণ করেন। পরে দীর্ঘদিনের অনুগত বিনালি ইলদিরিমকে ওই পদে বাছাই করেন। সমালোচকরা বলেন- নয়া প্রধানমন্ত্রীর কাজ একটাই, সারাক্ষণ নিজের ক্ষমতাকে রাষ্ট্রপতির চেয়ে খাটো করে দেখা। মূলত আলঙ্কারিক (রাষ্ট্রপতি) পদের অনুগত হয়েই থাকতে হবে মূল ক্ষমতার অধিকারী প্রধানমন্ত্রীকে। বিবিসি, এনবিটি
নিউজওয়ান২৪.কম/এসএল