NewsOne24

মাশরাফি হলেন কেমিক্যাল, যার নাম ‘সাহস’

নিউজি ডেস্ক

নিউজ ওয়ান২ ৪

প্রকাশিত : ০২:৩১ পিএম, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৯:১০ পিএম, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ বৃহস্পতিবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

মাশরাফি বিন মর্তুজা। মাঠে তিনি সতীর্থদের বড় অনুপ্রেরণা। তার পরিচয় আলাদা করে দেয়ার কিছু নেই। কেননা তিনি বাঙালির প্রাণ, বাঙালির আশা, বাঙালির গর্ব। মাঠে তার উপস্থিতি মানেই এক জাগ্রত বাংলাদেশ।

দলের প্রয়োজনে কখনো ব্যাট হাতে জ্বলে উঠেছেন কখনো বা বল হাতে ভেঙে দিয়েছেন সেট ব্যাটসম্যানের উইকেট, কখনো কখনো শরীরের মায়া ত্যাগ করে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন ক্যাচ নিতে।

দেশের মাননীয় বড় ভাই ও গুরু সম্মানে খ্যাত মাশরাফি মাঠে থাকা মানেই টাইগারশিবির উজ্জীবিত। এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে উজ্জীবিত হয় পুরো ১৮ কোটি হৃদয়।

আর সেটিরই প্রতিফলন হয়েছে এশিয়া কাপের অঘোষিত ফাইনালে পাকিস্তানের বিপক্ষে বুধবারের ম্যাচটিতে। যেখানে মাঠে জ্বলে উঠা শোয়েব মালিককে সাজঘরে ফিরিয়ে দেয়া ক্যাচটি এখন পুরো বিশ্বের কাছে প্রশংসনীয়।

মাশরাফির আঙুল চেড়া ক্যাচটিই ঘুরিয়ে দিয়েছিল পুরো ম্যাচ। পুরো বিশ্ব সেই ক্যাচের জন্য মাশরাফির নাম দিয়েছে ‘দ্য সুপার ম্যাশ’। তৃতীয় উইকেটে ইমাম উল হককে নিয়ে ৬৪ রানের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দেয়া মালিককে হারানোর পরই পথ হারিয়ে ফেলে পাকিস্তান। আর সেই হারানো পথেই নতুন করে আলো ফিরে পায় বাংলাদেশ।

এই মাশরাফিই বাংলাদেশের প্রথম স্পিডস্টার। এমনকি বাংলাদেশের জন্য একজন প্রকৃতি প্রদত্ত উপহার। বাঙালির ভালবাসা। সর্বকালের সেরা অধিনায়ক, টিম টাইগারদের অভিভাবক।

তিনি আসলে একজন ক্রিকেট যোদ্ধা। নিজের পায়ের সঙ্গে যুদ্ধ করে খেলে যাচ্ছেন দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য। মাশরাফি বলেছিলেন, পা দুটো বেইমানি করলেও ঘাড়ের রগ বাঁকা করে চ্যালেঞ্জ করবো নিজেকেই। শুধু একটা বল করতে চাই বাংলাদেশের হয়ে। আর সেই চ্যালেঞ্জটি প্রতিনিয়তই নিয়ে আসছেন টাইগার এ দলপতি।

পারফরম্যান্স যেমনই হোক না কেনো তাতে বাঙালির কিছুই যায় আসে না। কেননা সবাই চায় শুধু মাশরাফিকে মাঠে দেখতে। কেননা উনি এক ধরনের কেমিকেল। যার নাম ‘সাহস’। আর সেই কেমিকেল দিয়েই বাঙালি স্বপ্ন দেখে একদিন বিশ্ব জয় করার।

নিউজওয়ান২৪/এএস