২২ বছর পর ভারতের বিপক্ষে জয় পেল বাংলাদেশ
স্পোর্টস ডেস্ক
নিউজওয়ান২৪
প্রকাশিত : ১২:৪২ এএম, ১৯ নভেম্বর ২০২৫ বুধবার
আগের ম্যাচে চোটের জন্য দলে ছিলেন না শেখ মোরছালিন। আজকে ভারতের বিপক্ষে একাদশে ফিরেই দেখালেন চমক। ম্যাচের মাত্র ১১ মিনিটে রাকিবের পাস থেকে গোল করেন মোরসালিন। তার এই গোলের লিড পুরো ৯০ মিনিট ধরে রেখেই ম্যাচ জিতে নিল বাংলাদেশ।
আর এতেই ২২ বছর পর ফুটবলে ভারতের বিপক্ষে জয় পেল বাংলাদেশ। সর্বশেষ ২০০৩ সালে এই মাঠেই সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে ভারতকে ২-১ গোলে হারিয়েছিল বাংলাদেশ।
২০২৭ এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বে পঞ্চম ম্যাচে এসে প্রথম জয়ের দেখা পেল বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক ফুটবলে বাংলাদেশ জিতল পাঁচ ম্যাচ পর। আজকের আগে সর্বশেষ গত জুনে প্রীতি ম্যাচে ভুটানকে ২–০ গোলে হারিয়েছিল বাংলাদেশ।
শেখ মোরছালিনের প্রথমার্ধের একমাত্র গোলেই আজ রাতে উল্লাসে ভাসে জাতীয় স্টেডিয়াম। দ্রুতগতির পাল্টা আক্রমণে বাঁ দিক থেকে রাকিবের নিখুঁত পাস পেয়ে দারুণ টোকায় বল জালে পাঠান শেখ মোরছালিন। জাতীয় দলের জার্সিতে এটি তার সপ্তম গোল—এবং আজকের ম্যাচের নির্ণায়ক মুহূর্ত।
গোল খাওয়ার পর থেকেই ভারত আক্রমণে ঝাঁপিয়ে পড়ে। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে দুইবার সমতার খুব কাছে চলে যায় তারা, তবে হাল ছাড়েনি বাংলাদেশ। গোলরক্ষক মিতুল মারমা ভুল করলে ভারত গোলের সামনে দাঁড়িয়ে যায়—তখনই দারুণ হেডে বাংলাদেশকে রক্ষা করেন হামজা চৌধুরী। পুরো ম্যাচে যেন তিনি ছিলেন রক্ষণের দেয়াল।
৩৪ মিনিটে তপু বর্মণ ও ভারতের বিক্রমের সংঘর্ষে মাঠে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। দুই দলই হাতাহাতির পর্যায়ে পৌঁছালেও রেফারি দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং দুজনকে হলুদ কার্ড দেখান।
২৭ মিনিটে চোটে পড়ে মাঠ ছাড়েন ডিফেন্ডার তারিক কাজী। তার জায়গায় আসা শাকিল আহাদ তপু পরে রক্ষণ জমাট রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
৮৩ মিনিটে ভারতের এক ডিফেন্ডারের হাতের পেছনে বল লাগলে পুরো বাংলাদেশ দল পেনাল্টির দাবি তোলে, কিন্তু রেফারি কর্ণপাত করেননি। বাংলাদেশি দর্শকদের মধ্যে তখন উত্তেজনা তুঙ্গে।
নিধারিত ৯০ মিনিট শেষ হলে রেফারি যোগ করেন ৬ মিনিট। এই সময়টায় ভারত মরিয়া হয়ে আক্রমণ চালালেও বাংলাদেশ রক্ষণে ছিলেন ঢালাওভাবে সংগঠিত।অবশেষে ম্যাচশেষে চূড়ান্ত বাঁশি ওখন বাজে তখন স্কোরলাইন বাংলাদেশ ১–০ ভারত।
যদিও গোলটা করেছেন মোরছালিন, পুরো ম্যাচে সবচেয়ে বড় পার্থক্য গড়ে দিয়েছেন হামজা। অসংখ্য ক্লিয়ারেন্স, ট্যাকল এবং রক্ষণে ঠাণ্ডা মাথার সিদ্ধান্ত—বাংলাদেশের এ জয়ের পেছনে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য।
