‘গণভোটের চেয়ে আলুর ন্যায্যমূল্য পাওয়া অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ’
নিউজওয়ান২৪ ডেস্ক
নিউজওয়ান২৪
প্রকাশিত : ০১:২৮ এএম, ১৩ নভেম্বর ২০২৫ বৃহস্পতিবার
বুধবার ঢাকায় বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি। ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে বিএনপি আয়োজিত এ সভায় লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন তারেক রহমান।
উৎপাদন ও সংরক্ষণ ব্যয়ের অর্ধেক দামেও চাষিরা আলু বিক্রি করতে পারছেন না বলে বক্তব্যে উল্লেখ করেন তারেক রহমান। তিনি বলেন, ‘আলু চাষ করে আলুচাষিরা এবার প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা লোকসানের আশঙ্কা করছেন। অপরদিকে আমরা দেখি দু-একটি রাজনৈতিক দলের আবদার মেটাতে গিয়ে কথিত গণভোট যদি করতে হয়, রাষ্ট্রকে প্রায় সমপরিমাণ টাকা গচ্চা দিতে হবে। এমন পরিস্থিতিতে লোকসানের মুখোমুখি এসব আলুচাষির কাছে এই সময়ে গণভোটের চেয়ে মনে হয় আলুর ন্যায্যমূল্য পাওয়াটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’ তাঁর এই বক্তব্য দেশবাসীর কাছে উপস্থাপনের জন্য সাংবাদিকদের সহায়তা প্রত্যাশা করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
এ প্রসঙ্গে আলোচনায় দেশে পেঁয়াজ সংরক্ষণের সুষ্ঠু ব্যবস্থা না থাকায় প্রতিবছর পেঁয়াজ আমদানির ওপর নির্ভর করতে হয় বলেও উল্লেখ করেন তারেক রহমান। তিনি বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়, জনগণের হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে কথিত গণভোট উৎপাদনের চেয়ে সেই টাকায় পেঁয়াজ সংরক্ষণাগার বা কোল্ডস্টোরেজ যদি স্থাপন করা হয়, তবে সেটি কৃষকদের কাছে বেশি গ্রহণযোগ্য হবে।’
গণভোটের দাবিতে আন্দোলনের আড়ালে পতিত শক্তিকে রাজনীতিতে পুনর্বাসনের সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে কি না, সেই প্রশ্ন রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। গণভোটের সময়সহ সংস্কার বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর বিপরীতমুখী অবস্থানের প্রেক্ষাপটে তারেক রহমান আরও বলেন, ‘আজকে যারা আমরা রাজপথের সঙ্গীরা বসে আছি, কেউ হয়তো রাজপথের সঙ্গী ছিল, সে রকম কিছু দলকে আমরা দেখছি বর্তমানে বিভিন্ন শর্ত দিয়ে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে বাধা সৃষ্টি করতে চাইছে। জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে জটিলতা সৃষ্টির অর্থ একদিকে নির্বাচন না করে হয়তো রাষ্ট্রের খবরদারির সুযোগ গ্রহণ করা, অপর দিকে রাজনৈতিকভাবে যদি বলতে হয়—পতিত, পরাজিত, পলাতক স্বৈরাচারের পুনর্বাসনের পথকে সুগম করে দেওয়া।’
