১৮০ ডিজিটের সংখ্যায় ভোগান্তি
নিউজওয়ান২৪ ডেস্ক
নিউজওয়ান২৪
প্রকাশিত : ১২:০৮ পিএম, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ শুক্রবার
সংগৃহীত ছবি
তৌফিকুর রহমান। পেশায় ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশ ব্যবসায়ী। দীর্ঘদিন ধরে নিজ গ্রামের বাড়ি ও তার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে প্রি-পেইড মিটার ব্যবহার করছেন। তাছাড়া ব্যবসায়ী হিসেবে তার কাছে প্রি-পেইডের অসংখ্য গ্রাহক তার কাছ থেকে সেবা নেন। কয়েকদিন আগে প্রি-পেইড মিটারের টাকা শেষ হয় তার। পরে স্থানীয় বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ থেকে প্রি-পেইড মিটারের জন্য পাঁচশ টাকা রিচার্জ করেন। তখন দেখতে পান নতুন করে ১৮০ ডিজিট সংখ্যার লম্বা এক টোকেন সিরিয়াল নাম্বার।
এরপর বাড়ি ফিরে প্রি-পেইড মিটারে ওই ১৮০ ডিজিটের টোকেন নাম্বার মিটারের বাটন চাপতে থাকেন। হঠাৎ করে একটি সংখ্যা ভুল হয়। তখনি শুরু হয় ভোগান্তি। পর পর ২-৩ বার চেষ্টা করার পর সঠিক ডিজিট তুলে মিটারে টাকা রিচার্জে সক্ষম হন অবশেষে। এতে তার কমপক্ষে ১০-১২ মিনিট সময় লেগেছে। আগে যেখানে মাত্র ২০ ডিজিটের সংখ্যা ওঠাতে সময় লাগত ১ মিনিট। ১০ গুণ ভোগান্তি শিকার হতে হয়েছে তাকে।
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার উপজেলার অলোয়া ইউনিয়নের ভারই গ্রামের বিদ্যুৎ ব্যবহারকারী প্রি-পেইড মিটার গ্রাহক তৌফিকুর রহমানের ক্ষেত্রে এই ভোগান্তির ঘটনাটি ঘটেছে।।
তৌফিকুর রহমানের মতো ভোগান্তির শিকার একই গ্রামের প্রি-পেইড গ্রাহক মিনা বেগম বলেন, প্রি-পেইড মিটার লাগানোর শুরু থেকেই ঝামেলাপূর্ণ ও বিরক্তিকর। ২০ ডিজিটের পরিবর্তে নতুন করে ১৮০ ডিজিটের টোকেন নাম্বার উঠাতে গিয়ে কয়েকবার ভোগান্তিতে পড়েছি। টোকেন নাম্বার উঠানো শেষে মিটারে টাকা দেখালেও ঘরে বিদ্যুৎ যায়নি। পরে কয়েকজনের কাছে বিষয়টি বললে তারা জানায় মিটারে লক পড়েছে। এনিয়ে লক ছাড়াতে গেলেও অনেক ভোগান্তিতে পড়তে হয় ।
ভূঞাপুর বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ভূঞাপুরে প্রায় ৪৭ হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহক রয়েছে। এরমধ্যে মিটার ২৫ হাজার গ্রাহক প্রি-পেইড মিটার ব্যবহার করছেন। প্রি-পেইড মিটার ব্যবহারকারি গ্রাহকরাই এ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
এ বিষয়ে ভূঞাপুর বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ারুল ইসলাম জানান, যখন বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি হয় তখন অটোমেটিকভাবে এ প্রি-পেইড মিটারে অতিরিক্ত ডিজিট যোগ হয়। এটি একবারই হবে। পুনরায় মূল্য বৃদ্ধি না হওয়া পর্যন্ত আগের ২০ ডিজিটি থাকবে। ১৮০ ডিজিটের টোকেন নাম্বার উঠাতে যাতে কোনো সমস্যায় না পড়তে হয় সে লক্ষ্যে গ্রাহকদের বাসায় গিয়ে সহযোগিতা করা হচ্ছে।
সূত্র: আরটিভি
নিউজওয়ান২৪.কমিআরএডব্লিউ