NewsOne24

পদ্মা সেতুর বিষয়ে সুর পাল্টে উচ্ছ্বসিত বিশ্বব্যাংক

নিউজওয়ান২৪ ডেস্ক

নিউজওয়ান২৪

প্রকাশিত : ০৯:৩৬ পিএম, ২৫ জুন ২০২২ শনিবার

ফাইলে ফটো

ফাইলে ফটো


দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে যে বিশ্বব্যাংক সরে গিয়েছিলো পদ্মা সেতু প্রকল্প থেকে, তারপর নিজস্ব অর্থায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একক দৃঢ়তায় পদ্মা সেতু উদ্বোধনের ক্ষণে এখন বিশ্বব্যাংক নিজেই উচ্ছ্বসিত।

অর্থায়ন গুটিয়ে নেওয়া বিশ্বব্যাংক কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন বলেছেন, ‘বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের উন্নয়ন সঙ্গী হিসেবে বিশ্বব্যাংক স্বীকার করে যে, পদ্মা সেতু বাংলাদেশের জনগণ ও অর্থনীতির জন্য বহুমাত্রিক সুবিধা বয়ে আনবে।

এই সেতু দেশে সমন্বিত প্রবৃদ্ধি অর্জনে গতি সঞ্চার এবং দারিদ্র্য কমাতে ভূমিকা রাখবে। ’

সংস্থাটি এখন বলছে, পদ্মা সেতু বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়াতে বিশাল অবদান রাখবে।

বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতু প্রকল্প থেকে সরে যাওয়ার পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা করেন, ‘আমরা নিজস্ব অর্থায়নেই পদ্মা সেতু করবো। ’

এরপর বাংলাদেশ সরকার নিজস্ব অর্থায়নে প্রকল্প শুরু করে। ধীরে ধীরে গড়ে উঠতে থাকে পদ্মা সেতুর অবকাঠামো। এরপর সুর বদলাতে থাকে বিশ্বব্যাংকের। সম্প্রতি সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এক অনুষ্ঠানে জানান পদ্মা সেতু থেকে সরে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে এখন আক্ষেপ করছে বিশ্বব্যাংক। তিনি বলেন, ‘শেষ পর্যন্ত বিশ্বব্যাংক বলেছে, পদ্মা সেতু থেকে সরে যাওয়া ভুল হয়েছে। ’

বিশ্বব্যাংকসহ চারটি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের ঋণের ওপর ভর করে ২০১১ সালের জানুয়ারিতে পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প চূড়ান্ত করে আওয়ামী লীগ সরকার।

সেতুর নির্মাণ কার্যক্রম এগিয়ে যাওয়ার মধ্যে ওই বছরের সেপ্টেম্বরে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়ে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তোলে বিশ্বব্যাংক। টানাপড়েনের মধ্যে সংস্থাটি অর্থায়ন স্থগিত করলে তদন্ত শুরু করে দুদক।

ওই তদন্ত পর্যবেক্ষণে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সাবেক প্রধান আইনজীবী ওকাম্পোর নেতৃত্বে ২০১২ সালে দুই দফায় বাংলাদেশে আসে তিন সদস্যের বিশ্বব্যাংকের পর্যবেক্ষক প্যানেল।

পর্যবেক্ষক দলের পরামর্শে ২০১২ সালের ডিসেম্বরে দুদকের করা মামলায় জেল খাটতে হয় সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়াকে। পরে অবশ্য দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া যায়নি উল্লেখ করে অভিযোগপত্র দেয় দুদক।

২০১৭ সালে কানাডিয় আদালত জানায়, বিশ্বব্যাংকের আনা দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের অভিযোগের প্রমাণ পায়নি।

২০১২ সালের ৪ জুলাই জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দেন, ‘পদ্মা সেতু করার জন্য দেশে আমাদের ১৬ কোটি মানুষ আছে, ৮০ লাখ প্রবাসী আছে। বাংলার মানুষ সারা জীবন কি অন্যের সাহায্যে চলবে? নিজের পায়ে দাঁড়াবে না? আত্মনির্ভরশীল হবে না? পদ্মা সেতু আমরা করবই। ’

নিউজওয়ান২৪.কম/রাজ