NewsOne24

‘বালির বাদশাহ’ নিয়ে ফাঁপরে সৌদি রাজতন্ত্র

ফিচার ডেস্ক

নিউজওয়ান২৪.কম

প্রকাশিত : ১১:২০ এএম, ৪ মে ২০১৪ রোববার | আপডেট: ১২:০৪ পিএম, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৫ বৃহস্পতিবার

রূপালি পর্দায় `কিং অফ দ্যা স্যান্ড` বা ‘বালির বাদশাহ’ শীর্ষক ছায়াছবি প্রচারের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। 

সৌদি আরবের  সৌদ বংশের প্রথম রাজার ছেলে ও দেশটির ক্ষমতাসীন রাজ-পরিবারের প্রবীণ সদস্য  তালাল বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ বলেছেন, তাদের সরকার ‘বালির বাদশাহ’ শীর্ষক এই ছায়াছবি প্রচারের বিরুদ্ধে এরইমধ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এবং এই ছায়াছবিকে তারা ‘সৌদি রাজতান্ত্রিক সরকারের’ প্রতিষ্ঠাতার প্রতি বড় ধরনের অবমাননা বলে মনে করছেন। 

তালাল এই ছায়াছবির পরিচালক নাজদাত আজনুর-এর কঠোর সমালোচনা করেছেন এবং তাকে ‘ যৌন জিহাদের’ পরিচালক বলে অভিহিত করেছেন। 

সাবেক সৌদি রাজার ছেলে আরো বলেছেন, আমরা সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সঙ্গে এরইমধ্যে যোগাযোগ করেছি আমাদের এক অভিন্ন বন্ধুর মাধ্যমে যাতে এই আরব  দেশটিতে এই ছায়াছবির প্রদর্শন বন্ধ করা হয়। 

খ্যাতনামা সিরিয় চলচ্চিত্রকার নাজদাত আজনুর পরিচালিত  ‘বালির বাদশাহ’ ছায়াছবি এরইমধ্যে আরব বিশ্বে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। 

এই ছায়াছবিতে সৌদি রাজতান্ত্রিক সরকারের প্রতিষ্ঠাতা আবদুল আজিজ আল সৌদ তথা ইবনে সৌদকে আরব বিশ্বের ভুঁই-ফোঁড় বা  হঠাত আঙ্গুল ফুলে কলাগাছে পরিণত হওয়া ব্যক্তিত্ব হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। কুয়েতের একজন অখ্যাত গোত্রীয় সর্দার থেকে তিনি আরব উপদ্বীপ ও হিজাজ অঞ্চলের কেন্দ্রীয় শাসকে পরিণত হন।  

এই ছায়াছবিতে এটাও তুলে ধরা হয়েছে যে,  ব্রিটেনের মদদপুষ্ট ইবনে সৌদ ছিলেন একজন অবিবেচক ও দুর্নীতিবাজ, রক্ত-পিপাসু ও মাত্রাতিরিক্ত নারী-আসক্ত।

নাজদাত আজনুর সম্প্রতি বলেছেন, ইবনে সৌদ যে ধর্মান্ধতার বিকাশ ঘটিয়েছেন তা তুলে ধরাই এ ছায়াছবি নির্মাণের উদ্দেশ্য এবং আধুনিক যুগে সন্ত্রাসবাদের বিস্তারে এই ধর্মান্ধতার ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে। 

বিশ্লেষক ও সমালোচকদের অনেকেই  বলছেন, ‘বালির বাদশাহ’ শীর্ষক ছায়াছবি সৌদি রাজতান্ত্রিক সরকারের মূল ভিত্তিগুলোকে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি করেছে। (সূত্র: রেডিও তেহরান)