NewsOne24

তিন দশকেরও বেশি সময় পর মার্কিন বন্দরে বাংলাদেশি জাহাজ

ডেস্ক রিপোর্ট

নিউজওয়ান২৪

প্রকাশিত : ১১:৪৩ এএম, ১৬ মার্চ ২০২২ বুধবার

বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ বাংলার অগ্রগতি    -ফাইল ফটো

বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ বাংলার অগ্রগতি -ফাইল ফটো

যুক্তরাষ্ট্রের একটি বন্দরে নোঙর করেছে বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ ‘এমটি বাংলার অগ্রগতি’। জানা গেছে, গত ৫ মার্চ উত্তর আমেরিকার দেশ এল সালভাদর থেকে রওনা হয়ে ২৭ জন বাংলাদেশি নাবিকসহ যুক্তরাষ্ট্রের হিউস্টন বন্দরে পৌঁছায় জাহাজটি। এই ঘটনার মাধ্যমে দীর্ঘ ৩১ বছর পর কোনো বাংলাদেশি বাণিজিক নৌযান যুক্তরাষ্ট্রের বন্দরে ভিড়লো। 

৩৮ হাজার ৯২৮ টন বহন ক্ষমতাসম্পন্ন বাংলার অগ্রগতি নামের জাহাজটি ৬.৮ মিটার নকশাসহ ১৮৫  মিটার দীর্ঘ ও ২৮ মিটার চওড়া। তিন বছর আগে নির্মিত জাহাজটি আগামী ১৬ মার্চ পর্যন্ত হিউস্টন বন্দরে থাকার পর ২১ মার্চ নিউ অরলিয়ন্সের বন্দরে পৌঁছাবে। এরপর প্রায় ৩৩ হাজার টন সয়াবিন তেলের চালান নিয়ে ভারতের কান্ডলা বা হলদিয়া বন্দরের পথে রওনা করবে জাহাজটি।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের আবারও বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচলকে ইতিবাচক অগ্রগতি হিসেবে বিবেচনা করছেন শিল্প-বাণিজ্য বিশেষজ্ঞরা।

বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন (বিএসসি) নির্বাহী পরিচালক (বাণিজ্য) পীযূষ দত্ত জানান, মার্কিন বন্দরে প্রবেশের ক্ষেত্রে জাহাজ বিশ্বমানের হতে হয়। সেখানে অনেক পরিদর্শক আছে। বিএসসির জাহাজের নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ সামগ্রিক গুণমান বর্তমানে খুব ভালো। বিশ্বের যেকোনো শীর্ষমানের বন্দরে প্রবেশের জন্য জাহাজগুলো সব ধরনের সুযোগ-সুবিধায় সজ্জিত।

উল্লেখ্য, ১৯৭৭ সালে “বাংলার মান” জাহাজের মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের পণ্য পরিবহন শুরু হয়।

এরপর, ১৯৯১ সালে  “এমভি বাংলার মমতা” নামের একটি জাহাজ যুক্তরাষ্ট্রের একটি বন্দরে পৌঁছালে জাহাজের ১৪ জন নাবিক গোপনে ও অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে, তাদের ফিরিয়ে আনতে কর্তৃপক্ষ একজন প্রধান প্রকৌশলীকে পাঠালে তিনিও নিখোঁজ হয়ে যান।

জাহাজটি দেশে ফিরিয়ে আনা হলেও ৩১ বছর আগের এই ঘটনাটি আন্তর্জাতিক মেরিটাইম সেক্টরে বাংলাদেশের পাশাপাশি বিএসসিরও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করে। সেই সময়ে জাহাজ থেকে শতাধিক বাংলাদেশি যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে যায় এবং বিএসসি যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে অনানুষ্ঠানিক নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়ে। এ ঘটনার পর গত ৩১ বছরে বাংলাদেশের পতাকাবাহী কোনো জাহাজ আর যুক্তরাষ্ট্রের কোনো বন্দরে যায়নি।