NewsOne24

সারাদেশে বিএনপির প্রতিবাদ সমাবেশ শনি ও রবিবার  

নিজস্ব প্রতিবেদক 

নিউজওয়ান২৪

প্রকাশিত : ০৯:২৮ পিএম, ১৩ নভেম্বর ২০২০ শুক্রবার

​​​​​​​বিএনপি- ফাইল ফটো

​​​​​​​বিএনপি- ফাইল ফটো


বিএনপি ঢাকা-১৮ ও সিরাজগঞ্জ-১ আসনের উপ-নির্বাচনে কারচুপি, অনিয়ম ও ভোট ডাকাতি এবং নাশকতার মামলায় নেতাকর্মীদের ধরপাকড়ের প্রতিবাদে সারাদেশে সমাবেশ আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।

এর মধ্যে শনিবার (১৪ নভেম্বর) রাজধানী ঢাকায় এবং রবিবার (১৫ নভেম্বর) সারাদেশে প্রতিবাদ সমাবেশ হবে।

আজ (শুক্রবার) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ সিদ্ধান্তের ঘোষণা দেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এই সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত আগের সব নির্বাচনের মতো গতকালের (বৃহস্পতিবার) উপনির্বাচনেও (ঢাকা-১৮ ও সিরাজগঞ্জ-১) ব্যাপক কারচুপি, অনিয়ম ও ভোট ডাকাতি হয়েছে। এদিকে নাশকতার মামলা দিয়ে দুই শতাধিক নেতাকর্মীকে ধরপাকড় করা হয়েছে। এসবের প্রতিবাদে আমরা সমাবেশ করব। শনিবার রাজধানী ঢাকায় ও রোববার সারাদেশে এই প্রতিবাদ সমাবেশ হবে।

গতকাল বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) ঢাকা-১৮ ও সিরাজগঞ্জ-১ সংসদীয় আসনের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা-১৮ উপনির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থী হাবিব হাসান ৭৫ হাজার ৮২০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি’র এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে পান ভোট ৫ হাজার ৩৬৯ ভোট।

অন্যদিকে সিরাজগঞ্জ-১ আসনের উপনির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তানভীর শাকিল জয় ১ লাখ ৮৮ হাজার ৩২৫ ভোট পান। তার প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির সেলিম রেজা ধানের শীষ প্রতীকে পান ৪৮৮ ভোট।

এদিন ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পরই ঢাকা-১৮ আসনে বিএনপি প্রার্থী এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন অভিযোগ করেন, তার এজেন্টদের ভোটকেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হচ্ছে। বেশকিছু ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনের পর নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বলেন, কেন্দ্রগুলোতে তিনি বিএনপির এজেন্টদের দেখতে পাননি।

এদিকে, নির্বাচনে অনিয়ম-কারচুপির অভিযোগ এনে বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর গুলিস্তান-পল্টন এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করে স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল। এর পরপরই গুলিস্তান, শাহবাগ, মতিঝিলসহ রাজধানীর পাঁচটি জায়গায় পাঁচটি বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে রাজধানীর আরও তিনটি স্পটে বাসে আগুন লাগে। এ ঘটনায় রাজধানীর পাঁচ থানায় আটটি নাশকতার মামলা দায়ের করেছে পুলিশ, গ্রেফতার করা হয়েছে ১৮ জনকে। এর মধ্যে বিএনপির একজন নেতাও আছেন।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এ ঘটনা প্রমাণ করে— বিএনপি এখনো আগুন সন্ত্রাস ছাড়তে পারেনি। অন্যদিকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন— বাসে আগুনের পেছনে রয়েছেন সরকারের স্যাবোটিয়ার এজেন্টরা।