NewsOne24

বয়লার বিস্ফোরণ: স্বপ্ন স্বপ্নই রয়ে গেলো ফারজানার

নারীস্থান ডেস্ক

নিউজওয়ান২৪.কম

প্রকাশিত : ১০:১২ পিএম, ৭ জুলাই ২০১৭ শুক্রবার

দু’চোখে অন্ধকার নেমে এসেছে গাজীপুরে বয়লার বিস্ফোরণে নিহত ফেনীর মোহাম্মদ এরশাদ উল্লাহর সন্তান সম্ভবা স্ত্রী ফারজানা আক্তার সাথীর। সংসারের আয়-রোজগারের একমাত্র অবলম্বন স্বামীকে হারিয়ে পাগলপ্রায় হয়ে পড়েছে। বার বার মূর্ছা যেতে দেখা যায় নিহত এরশাদের মা-বাবাকেও।

শুক্রবার বিকেলে ফেনী সদর উপজেলার ধলিয়া ইউনিয়নের মাছিমপুর গ্রামে নিহত মোহাম্মদ এরশাদ উল্লাহর বাড়িতে।

পারিবারিক সূত্র জানায়, ঈদের ছুটি শেষে ৩ জুলাই মা-বাবা ও স্ত্রীকে রেখে গাজীপুরের কাশিমপুরের নয়াপাড়া এলাকার মাল্টি ফ্যাবস লিমিটেড নামক পোশাক কারখানায় যায় এরশাদ উল্লাহ। সেখানে দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে ইলেকট্রিক মেকানিক্যাল পদে চাকরি করতেন তিনি।

চলতি বছরের ৩ মার্চ পাশের নবাবপুর ইউনিয়নের মহদিয়া গ্রামের ফয়েজ আহম্মদ মাষ্টার বাড়ির প্রবাসী মোহাম্মদ হারুনের মেয়ে ফারজানা আক্তার সাথীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাঁর স্ত্রী চার মাসের অন্ত:সত্ত্বা বলেও জানায় স্বজনরা। পরিবারের অন্যতম উপার্জনকারী ছেলেকে হারিয়ে বার বার বাকরুদ্ধ হচ্ছে ষাটোর্ধ মাহমুদুল হক। একই অবস্থা পরিবারের অন্য সদস্যদেরও। শোকে নিথর হয়ে পড়েছেন স্ত্রী ফারজানা আক্তার সাথী।

নিহতের বাবা মাহমুদুল হক অশ্রুসিক্ত নয়নে বলেন, আমার পরিবারের কি হবে। আমি এরশাদ উল্লাহর অনাগত সন্তানকে কি দিয়ে বুঝ দেবো বলে হাউ-মাউ করে কেঁদে উঠেন।

স্ত্রী ফারজানা আক্তার সাথী বিলাপ করতে করতে বলেন, আমারতো সব শেষ হয়ে গেছে। আমার সন্তানকে কে দেখবাল করবে। আমি কি নিয়ে বাঁচবো।

বাড়ি থেকে গিয়েই লাশ হবেন জানা থাকলে তাকে জেতে দিতেন না বলেও কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। এ সময় নিহত এরশাদ উল্লাহ মা-বাবা ও স্ত্রীসহ স্বজনদের কান্নায় আশপাশের এলাকা ভারী হয়ে উঠে।

এর আগে (৩ জুলাই) সোমবার রাতে গাজীপুরের কাশিমপুরের নয়াপাড়া এলাকার মাল্টি ফ্যাবস লিমিটেড নামের পোশাক কারখানায় বয়লার বিস্ফোরণে এরশাদ উল্লাহসহ ১৩ জন নিহত হয়। এ ঘটনার দুইদিন পর বুধবার স্বজনরা তাঁর লাশ এনে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করেন।


নিউজওয়ান২৪.কম