NewsOne24

রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে প্রস্তুত: জেনারেল আজিজকে মিয়ানমার সেনা

ডেস্ক রিপোর্ট

নিউজওয়ান২৪

প্রকাশিত : ০৮:৩৬ পিএম, ১০ ডিসেম্বর ২০১৯ মঙ্গলবার

কুতুপালং শরণার্থী শিবিরে রোহিঙ্গা শিশু-কিশোর                   -ফাইল ফটো

কুতুপালং শরণার্থী শিবিরে রোহিঙ্গা শিশু-কিশোর -ফাইল ফটো

মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে প্রস্তুত আছে বলে জানিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী।  আজ মঙ্গলবার ইরাবতি.কম জানিয়েছে, মিয়ানমার ডিফেন্স সাভিসের  ডেপুটি কমান্ডার-ইন-চিফ ভাইস-সিনিয়র জেনারেল সোই উইন সফররত বাংলাদেশি সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদকে বলেছেন যে মিয়ানমার রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সেদেশে ফিরিয়ে নিতে জন্য প্রস্তুত।  জেনারেল আজিজ মিয়ানমারের সামরিক প্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইংয়ের আমন্ত্রণে সরকারি সফরে মিয়ানমার গিয়েছেন।

মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে প্রস্তুত আছে বলে জানিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী।  আজ মঙ্গলবার ইরাবতি.কম জানিয়েছে, মিয়ানমার ডিফেন্স সাভিসের  ডেপুটি কমান্ডার-ইন-চিফ ভাইস-সিনিয়র জেনারেল সোই উইন সফররত বাংলাদেশি সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদকে বলেছেন যে মিয়ানমার রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সেদেশে ফিরিয়ে নিতে জন্য প্রস্তুত।  জেনারেল আজিজ মিয়ানমারের সামরিক প্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইংয়ের আমন্ত্রণে সরকারি সফরে মিয়ানমার গিয়েছেন।

এ বিষয়ে মিয়ানমার সামরিক মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জাও মিন তুন বলেন, বাংলাদেশি পক্ষ রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন বিষয়ে তাদের প্রচেষ্টা ব্যাখ্যা করেছে।  আমরা (মিয়ানমার) সরকার যে প্রস্তুতি নিয়েছে তার ব্যাখ্যা দিয়েছি। 

বাংলাদেশি সেনাপ্রধান গত রবিবার ইয়াঙ্গুন পৌঁছেন।  সেখানে তাকে অভ্যর্থনা জানানো হয়।  পরের দিন তিনি রাজধানী নেপিতোয় মায়ানমার সামরিক বাহিনীর নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাত করেন।  সোমবার উপ-সিনিয়র জেনারেল সোই উইন বাংলাদেশি জেনারেলকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানান।

মিয়ানমার সামরিক কর্মকর্তারা জানান, এসময় দু'দেশের সীমান্তরক্ষা, কীভাবে দুই দেশের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের উন্নতি করা যায় এবং উত্তর রাখাইন থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়া শরণার্থীদের প্রত্যাবাসন সম্পর্কে আলোচনা করেছেন।

জেনারেল আজিজের নেতৃত্বে বাংলাদেশি সামরিক প্রতিনিধিরা নেপিতায় মিয়ানমার ডিফেন্স সার্ভিস মিউজিয়ামও পরিদর্শন করেছেন।

গত সেপ্টেম্বরে রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমারের সামরিক অভিযানের কারণে আট লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।  তখন থেকে মিয়ানমারের সামরিক ও রাজনৈতিক নেতারা মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে আন্তর্জাতিক চাপে রয়েছেন।  
নিউজওয়ান২৪.কম/এসএমএস