সিদ্ধেশ্বরীর `অজ্ঞাত লাশ` রুম্পার মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা, চলছে তদন্ত
স্টাফ রিপোর্টার
নিউজওয়ান২৪
প্রকাশিত : ০৪:২২ পিএম, ৬ ডিসেম্বর ২০১৯ শুক্রবার
রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী সার্কুলার রোডের আয়েশা শপিং কমপ্লেক্সের পেছনে দুই বাড়ির মাঝ থেকে উদ্ধার করা অজ্ঞাত পরিচয় লাশটি রুবাইয়াত শারমিন রুম্পার (২১)। সিদ্ধেশ্বরীতে স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী রুম্পার মৃত্যু নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা কাটেনি।
রুম্পাকে আশপাশের উঁচু কোনো ভবন থেকে ফেলে হত্যা করা হয়েছে কি-না, আর সেটা হলে কোন ভবন থেকে ফেলে হত্যা করা হয়েছে এবং মৃত্যুর আগে তিনি ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন কি-না, এসব বিষয়ে এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি গোয়েন্দারা।
তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রুম্পাকে ভবন থেকে ফেলে দিয়ে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। যদিও এই ঘটনায় কে বা কারা জড়িত সে ব্যাপারে পরিবার ও তদন্ত সংশ্লিষ্টরা নিশ্চিত হতে পারেনি।
এদিকে, রুম্পার মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ড. সোহেল মাহমুদ জানান, নিহত তরুণীর হাত, পা, ও কোমরসহ শরীরের কয়েক জায়গায় ভাঙা ছিল। ভবন থেকে পড়ে মারা যাওয়ার আগে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছিল কি-না তা জানতে আলামত সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে রিপোর্ট পাওয়ার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢামেক ফরেনসিক বিভাগ সূত্রের ধারণা, মৃত্যুর আগে ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন ভিকটিম।
এ প্রসঙ্গে শুক্রবার রমনা থানা ওসি মনিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনাস্থলের পাশে তিনটি ভবন আছে। এগুলোর যে কোনো একটা থেকে পড়ে রুম্পা মারা গেছেন। আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে, মামলা তদন্তাধীন। ইনজুরিগুলো দেখে মনে হচ্ছে উঁচু কোনো জায়গা থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছে। তার শরীর থেকে আলামত সংগ্রহ করে ফরেনসিকে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে রমনা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছে।
গত বুধবার (৪ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ১১টার দিকে সিদ্ধেশ্বরীর ৬৪/৪ নম্বর বাসার নিচে ওই ছাত্রীর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। প্রথমদিকে 'অজ্ঞাত পরিচয়' হিসেবে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। যে জায়গায় এ ঘটনা, তার আশপাশে ছেলে ও মেয়েদের বেশকিছু হোস্টেল রয়েছে। ঘটনার পরপরই হত্যার আলামত সংগ্রহ করেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। পরদিন বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) রাতে রমনা থানার ওসি মনিরুল জানান, নিহতের নাম রুবাইয়াত শারমিন রুম্পা। তার বাবার নাম রোকন উদ্দিন হবিগঞ্জ জেলায় পুলিশ ইন্সপেক্টর হিসেবে কর্মরত। রুম্পাদের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলায় হলেও বর্তমানে রাজধানীর মালিবাগ শান্তিবাগ এলাকায় থাকতেন। ময়মনসিংহের বাড়িতে আজ (শুক্রবার) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তার নামাজে জানাজার পর সেখানে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে রুম্পাকে।
নিউজওয়ান২৪.কম/এলডব্লিউ