ভারতে ধর্ষণ শেষে পুড়িয়ে হত্যা: ‘এনকাউন্টারে’ ৪জনই খতম
নিউজ ডেস্ক
নিউজওয়ান২৪
প্রকাশিত : ০৯:৫৯ এএম, ৬ ডিসেম্বর ২০১৯ শুক্রবার
অভিযুক্ত ৪ ধর্ষক ও হত্যাকারী -ফাইল ফটো
তেলেঙ্গানা রাজ্যের রাজধানী হায়দারাবাদে গণধর্ষণের পর তরুণী পশু-চিকিৎসক হত্যায় অভিযুক্ত চারজনই পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছে। টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, পুলিশের কাছ থেকে পালাতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে (এনকাউন্টারে) মৃত্যু হয় গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত এই চারজনের। এতে আরো বলা হয়, অভিযোগ তদন্তের জন্য ঘটনাস্থলে অভিযুক্তদের নিয়ে গিয়েছিল পুলিশ। সেখান থেকেই পালানোর চেষ্টা করে তারা। তখন পুলিশের গুলিতে তাদের মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন হায়দরাবাদের পুলিশ কমিনশনার।
হায়দারাবাদ পুলিশের শীর্ষ সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে যে অভিযুক্ত মোহাম্মদ আরিফ, নবীন, শিব এবং চেন্নাকসভুলু পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, যে জায়গাটিতে পশু-চিকিত্সকের মরদেহ পুড়িয়ে হয় সেখান থেকে কয়েক মিটার দূরে এ ঘটনা ঘটে।
রাতে কর্মস্থল থেকে ফেরার পথে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ তেলেঙ্গানার ওই তরুণী চিকিৎসককে চার ট্রাকচালক ও ক্লিনার কৌশলে নিজেদের ফাঁদে ফেলে গণধর্ষণ করে। পরদিন সকালে ওই তরুণীর আগুনে পুড়ে যাওয়া মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নির্মমতর ওই ঘটনাটি ঘটেছে তেলেঙ্গানার রাজধানী হায়দরাবাদের অদূরে। শাদনগর নামক এলাকা দিয়ে স্কুটারে করে যাচ্ছিলেন ওই তরুণী চিকিসৎক। মাঝ রাস্তায় স্কুটারের টায়ার ফেটে গেলে তিনি অভিযুক্তদের মধ্যে দুই ট্রাকচালকের সাহায্য চেয়েছিলেন।
প্রাথমিক তদন্ত শেষে স্থানীয় পুলিশ বলেছে, ধর্ষণের শিকার ২২ বছর বয়সী ওই তরুণী পশু-চিকিৎসককে হায়দরাবাদের অদূরের মফস্বল এলাকা শামশাবাদের তন্দুপল্লি টোল প্লাজার কাছে খুন করা হয়। তারপর প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে শাদনগরের চাতানপল্লী সেতুর কাছে তরুণীর মরদেহ পুড়িয়ে ফেলে ধর্ষকরা।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তার ধর্ষকদের জনতার হাতে তুলে দেয়ার দাবিতে বিক্ষোভ করে তেলেঙ্গানার হাজার হাজার মানুষ। ওঠে ফাঁসির দাবিও। গত শনিবার প্রদেশের রাজধানী হায়দরাবাদ থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে শাদনগর থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ করে তারা। এছাড়া ধর্ষকদের মায়েরাও ক্রুদ্ধ প্রতিক্রিয়া জানান নিজ নিজ সন্তানদের বিরুদ্ধে। কেউ তাদের সন্তানকে গুলি করে, কেউ পুড়িয়ে হত্যার দাবি জানিয়েছিলেন।
নিউজয়ান২৪.কম/এসএল