সাবেক স্বামী ও প্রেমিকের ভয়ঙ্কর ফাঁদ: অপহরণ-ধর্ষণ-হত্যা
নিউজ ডেস্ক
নিউজওয়ান২৪
প্রকাশিত : ১০:৪৩ পিএম, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ বৃহস্পতিবার
গ্রেপ্তার মােইক্রো চালক রাসেল
সম্প্রতি ফরিদপুর শহরের পাশের তালতলা থেকে উদ্ধার করা হয় আকলিমা আক্তার সোনিয়ার (৩০) মরদেহ। কে বা কারা তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে ফেলে রেখে যায়। ঘটনাটি বেশ রহস্যের সৃষ্টে করে। তবে শেষ পর্যন্ত সোনিয়া হত্যাকাণ্ডের রহস্য ভেদ করেছে র্যাব-৮। ভয়াবহ ওই হত্যাকাণ্ডে জড়িত রাসেল দেওয়ান নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। জানা গেছে, হত্যার আগে সোনিয়াকে একটি মাইক্রোবাসে তুলে অন্তত দু’জন ধর্ষণ করে। এরপর তাকে হত্যা করে রাত ১১টার দিকে তালতলা এলাকায় ফেলে রেখে যায় খুনি-ধর্ষকরা।
গতকাল (বুধবার) বিকেলে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান ফরিদপুরে দায়িত্বরত র্যাব-৮ এর স্কোয়াড কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার দেবাশীষ কর্মকার। তিনি জানান, সোনিয়ার মরদেহ উদ্ধারের পর থেকেই র্যাব ঘটনাটি নিয়ে ছায়া তদন্ত শুরু করে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে প্রযুক্তির সহায়তায় মাইক্রো চালক রাসেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। রাজবাড়ীর কালুখালী এলাকার পশ্চিম রতনদিয়া গ্রামের বাসিন্দা রাসেল ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। গণধর্ষণ ও হত্যায় ব্যবহৃত মাইক্রোবাসটি জব্দ করা হয়েছে।
জিজ্ঞাসবাদে রাসেলের দেয়া তথ্যসূত্রে র্যাব জানায়, সোনিয়ার প্রেমিক তার সাবেক স্বামীর সঙ্গে যোগসাজশে তাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করে। সেই মোতাবেক গত ১৯ সেপ্টেম্বর সোনিয়ার সঙ্গে দেখা করে প্রেমিক ব্যক্তিটি তাকে নিয়ে একটি মাইক্রোবাসে উঠে। একপর্যায়ে গাড়ির ভেতরে প্রথমে প্রেমিক ব্যক্তিটি তাকে ধর্ষণ করে। এ সময় সোনিয়ার সাবেক স্বামী মাইক্রোবাসের ভেতরই লুকিয়ে ছিল এবং সে সব দেখছিল। এরপর সাবেক স্বামী কাবে ধর্ষণ করে। এ সময় সোনিয়া চিৎকার দেয়। তখন শহরের অম্বিকাপুর এলাকায় গাড়ি থামিয়ে মাইক্রোচালক রাসেলের সহায়তায়, প্রেমিক ও সাবেক স্বামী ছুরি দিয়ে মাথার পেছনে কোপ দিয়ে সোনিয়াকে হত্যা করে।
হত্যার পর সোনিয়ার লাশ গাড়িতে নিয়েই তারা শহরের বিভিন্ন এলাকায় বেশ কিছুক্ষণ ঘুরে বেড়ায় তারা। একপর্যায়ে রাত ১১টার দিকে চরমাধবদিয়া ইউনিয়নের তালতলা এলাকায় মরদেহ ফেলে পালিয়ে যায় তারা। র্যাব জানায়, গ্রেপ্তারের স্বার্থে মূল দুই আসামি সোনিয়অর প্রেমিক ও স্বামীর নাম-পরিচয় গোপন রাখা হয়েছে। গ্রেপ্তারের পর তাদের বিষয়ে জানানো হবে।
গত ২০ সেপ্টেম্বর তালতলা থেকে চরমাধবদিয়া ইউনিয়নের জমাদ্দারডাঙ্গী গ্রামের আব্দুল ওহাব শেখের মেয়ে আকলিমা আক্তার সোনিয়ার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওইদিনই কোতোয়ালী থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন সোনিয়ার বাবা।
নিউজওয়ান২৪.কম/আরকে