NewsOne24

ক্যাসিনোর রমরমা আয়োজন যেসব দেশে

সাতরং ডেস্ক

নিউজওয়ান২৪

প্রকাশিত : ১১:৩৪ এএম, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ বৃহস্পতিবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

ক্যাসিনোতগুলোতে জুয়ার আড্ডার পাশাপাশি বড় ধরনের ব্যবসাও চলে।  এটি এমনভাবে তৈরি করা হয়, যেন এর সঙ্গে কিংবা পাশাপাশি হোটেল, রেস্টুরেন্ট, শপিংমল, আনন্দভ্রমণ জাহাজ এবং অন্যান্য পর্যটন আকর্ষণের বিষয় থাকে।

ক্যাসিনো -ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বজুড়ে বড় ধরনের ব্যবসা চলে ক্যাসিনো নির্ভর গ্যাম্বলিং বা জুয়াকে ঘিরে। চীনের মূল ভূখণ্ড আর মুসলিম কিছু দেশ ছাড়া পর্যটন নির্ভর অর্থনীতির প্রায় সব দেশ আর বড় শহরগুলোতেই আছে ক্যাসিনোর রমরমা আয়োজন।

যুক্তরাষ্ট্র সবার উপরে:

ক্যাসিনোর কথা উঠলে প্রথমেই আসবে যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাসের নাম, নেভাদায় যার অবস্থান। ৩৬০ টি ক্যাসিনোর অস্তিত্ব শুধু এই এক অঙ্গরাজ্যেই। ইউটাহ, হাওয়াই আর আলাস্কা ছাড়া ক্যাসিনো আছে দেশটির বাকি সব রাজ্যেই। সব মিলিয়ে ১৯৫৪ টি ক্যাসিনো চালু আছে যুক্তরাষ্ট্রে, আছে ৯ লাখের উপর স্লট মেশি। ৫ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান আর বছরে ৭০ বিলিয়ন ডলার আয়ের জোগান দেয় সেখানকার এই শিল্প।

জুয়া ভালোবাসে কানাডার মানুষ:

সংখ্যার দিক থেকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্যাসিনো আছে কানাডাতে। জনগণকে ক্যাসিনোর মালিকানা আর পরিচালনার প্রথম অনুমতি দিয়েছে উদারমনা দেশটি। সেখানে মোট ক্যাসিনোর সংখ্যা ২১৯ টিতে দাঁড়িয়েছে। সবচেয়ে বেশি ৭৩ টি আছে অন্টারিওতে। এরপর তালিকায় আছে আলবার্টা আর ব্রিটিশ কলম্বিয়া। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশটির ৭৬ ভাগ মানুষই কোনো-না-কোনো জুয়ার সঙ্গে জড়িত। বছরে সাড়ে ১৫ বিলয়ন ডলার লেনদেন হয় এর মাধ্যমে।

মেক্সিকোতে কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রিত:

২০৬ টি ক্যসিনো আছে উত্তর আমেরিকার আরেক দেশ মেক্সিকোতে। গেম পরিচালনায় এর কোনোটিরই নিজস্ব কোনো প্রোগ্রাম নেই। সবটাই কেন্দ্রীয় সার্ভারের মাধ্যমে পরিচালিত। কোডারে, বিগ বোলা আর ইমোশন- এই তিনটি প্রতিষ্ঠানের দখলে অবশ্য মেক্সিকোর ক্যাসিনো শিল্পের বড় অংশটাই।

পুরানো ক্যাসিনোর দেশ ফ্রান্স:

উত্তর আমেরিকার দেশগুলোকে বাদ দিলে সংখ্যার দিক থেকে সবচেয়ে বেশি ক্যাসিনো ফ্রান্সে। বলতে গেলে বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো ক্যাসিনোগুলোর দেখা মিলবে এই দেশটিতেই। তবে আমেরিকার মতো জাঁকজমকপূর্ণ না হলেও ঐতিহাসিক দিক থেকে এসব খুব গুরুত্বপূর্ণ। যেমন, ১৯১২ সালে চালু হওয়া ক্যাসিনো ব্যারিয়ো দাভিলা। সব মিলিয়ে ১৮১ টি ক্যাসিনো চালু আছে ফ্রান্সে। এর পরের অবস্থানটি নেদারল্যান্ডসের, ১৬৬ টি আছে সেখানে।

ব্রিটিশরাই জুয়ায় সবচেয়ে এগিয়ে:

লন্ডনের ক্যাসিনোর ভেতরের চিত্র

কথায় কথায় তারা বাজি ধরে। রাজপ্রাসাদ থেকে শুরু করে রাজপথ, বাজি যদি জুয়ার মধ্যে পড়ে তাহলে ব্রিটিশদের চেয়ে এগিয়ে আর কেউ নেই। শুধু লন্ডনেই হাজারের উপর বেটিং শপ আছে। ২০ লাখের বেশি ব্রিটিশ অনলাইনে জুয়া খেলে। এর বাইরে মেফেয়ার আর পিকাডিলির মতো খ্যাতনামা ক্যাসিনোতো আছেই। সব মিলিয়ে বৃটিশদের ক্যাসিনোর সংখ্যা ১৫৮।

ম্যাকাও মানেই ক্যাসিনো:

সংখ্যায় বেশি না হলে নামিদামি ক্যাসিনোর দিক থেকে লাস ভেগাসের পরেই আসে চীনের স্বায়ত্ত্বশাসিত অঙ্গরাজ্য ম্যাকাওয়ের নাম। বলতে গেলে সেখানকার অর্থনীতিই এই শিল্প নির্ভর। যুক্তরাষ্ট্রের উইনস্টারের পর বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্যাসিনো ভেনিটিয়ানের অবস্থানও এখানে। সিটি অব ড্রিমস, পন্টে সিক্সটিন, স্যান্ডস, এমজিএম গ্র্যান্ডও আছে দশের ভিতরে। মাত্র অর্ধশত ক্যাসিনোই ম্যাকাওয়ের সরকারের ৮০ ভাগ রাজস্বের যোগান দেয়।

মুসলিম অধ্যুষিত দেশেও রয়েছে ক্যাসিনো:

বিশ্বের অনেক মুসলমান প্রধান দেশেও বৈধ ক্যাসিনো আছে। সবচেয়ে বেশি ১৭ টি আছে মিশরে, যার ১৪ টি শুধু রাজধানী কায়রোতেই। ৯ টি আছে তুরস্কে। আফ্রিকার মরক্কোতে আছে সাতটি। এছাড়াও মধ্যাপ্রাচ্যের আলজেরিয়া, তিউনিসিয়া, আরব আমিরাত আর এশিয়ার মালয়েশিয়াতেও ক্যাসিনোর অনুমোদন আছে।

দক্ষিণ এশিয়ার চার দেশেও জমজমাট:

দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ২১টি ক্যাসিনো আছে ভারতে। গোয়ার পানাজি, গ্যাংটক, মুম্বাইসহ মোট ১১ টি শহরে সেগুলোর অবস্থান। শ্রীলঙ্কায় আছে ৫ টি ক্যাসিনো, যার সবগুলোই রাজধানী কলম্বোয়। এছাড়া ১১ টি ক্যাসিনো আছে নেপালে আর ৫ টি মিয়ানমারে।

নিউজওযান২৪.কম/এমজেড