NewsOne24

প্রবাসী লাঞ্ছনা

কুয়েত যাচ্ছে তদন্ত দল, মুন্দুবদের অপকর্মেও নজর দিন

কুয়েত সংবাদদাতা

নিউজওয়ান২৪

প্রকাশিত : ০২:৫৮ পিএম, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ বুধবার

অনেকেই জাতীয় পতাকা পাশে নিয়ে ছবি তোলেন, তবে সেই পতাকার মর্যাদা দিতে কী করতে হয় তা ভুলে যান             -ফাইল ফটো

অনেকেই জাতীয় পতাকা পাশে নিয়ে ছবি তোলেন, তবে সেই পতাকার মর্যাদা দিতে কী করতে হয় তা ভুলে যান -ফাইল ফটো

প্রবাসী এক বাংলাদেশিকে কুয়েতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের এক কর্মচারীর দ্বারা লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনা দেশ-বিদেশে তোলপাড় তুলেছিল। ওই ঘটনার জের ধরে কুয়েত থেকে শাহিন নামের ওই সিকিউরিটি গার্ডকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে এরই মধ্যে। কিন্তু প্রবাসীদের সঙ্গে নিরাপত্তাকর্মী শাহিন ও তার  সঙ্গী কাজি জাহিদের অশোভন আচরণে গভীর নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। তাই বাংলাদেশ সরকার ওই ঘটনার আনুষ্ঠানিক তদন্তের উদ্যোগ নিয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আগামী অক্টোবরের প্রথমার্ধে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের লিগ্যাল অ্যাফেয়ার্স অনুবিভাগের মহাপরিচালকের নেতৃত্বে একটি তদন্তদল কুয়েতে আসছে। জানা গেছে, তদন্তদল প্রবাসী বাংলাদেশিকে লাঞ্ছনা ও এর আগে-পরের ঘটনাগুলো বিশ্লেষণ করে সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে দোষীদের চিহ্নিত ও তাদের দায়-দায়িত্ব নির্ধারণ করবে। সাত কার্যদিবসের মধ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তাদের প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এদিকে, এই সংবাদে কুয়েত প্রবাসী বিশেষ করে শ্রমিক শ্রেণির প্রবাসী বাংলাদেশিদের মাঝে সন্তোষ দেখা গেছে। এজন্য তারা সরকারের এবং দূতাবাস কর্তৃপক্ষের প্রশংসা করেছে। তবে একই সঙ্গে কেউ কেউ আশংকা করে বলেছেন, তদন্ত দল যেন একপেশে নামকাওয়াস্তে তদন্তসফর না করে। সরকারি টাকা খরচায় তদন্ত করতে আসা ব্যক্তিরা যেন স্বাধীণভাবে তদন্ত করতে পারেন সেজন্য দূতাবাসের কাছে অনুরোধ করেছেন অনেকেই। আল জাহরার বাসিন্দা ও কুয়েতে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা নাম পকাশ না করার শর্তে বলেন, অনেক সময় নানান কূট-কৌশলী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দুষ্টচক্র তদন্তকারীদের দৃষ্টি অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেয়- ফলে তারা যে কাজে রওনা করেন তা অর্জিত হয় না। 

কুয়েতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিষয়ে আরো পড়তে ক্লিক করুন  অবশেষে কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাসে উড়লো জাতীয় পতাকা

কুয়েতের বিভিন্ন এলাকায় বসবাসকারী প্রবাসী মইনুল, আজহার, রবিন, তুষার, গোবিন্দ, ফাইজুর, রোজারিও এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সজাগ থাকতে বলেছেন। তদন্তে যেন দোষীদের অপকর্মগুলো বেরিয়ে আসে এবং সেই মোতাবেক ব্যবস্থা নিয়ে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়- এই আশা করেন তারা। কুয়েত সিটির মালিয়া থানা এলাকার বাসিন্দা সজিব সাত্তার বলেন, কুয়েত দূতাবাসের মু্ন্দুব নামের কর্মচারীদের দুর্নীতি আর অনাচার নিয়েও তদন্ত হওয়া উচিৎ। তাদের অবৈধ ভিসা ব্যবসা অনেক অসহায় বাংলাদেশি পরিবারের সর্বনাশের কারণ হয়েছে। তদন্ত কমিটির সম্মানিত সদস্যরা যেন এসব বিষয়েও নজর দেন। 
নিউজওয়ান২৪.কম/এলএস