NewsOne24

যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগের জবাবে পুরোমাত্রার যুদ্ধের হুমকি ইরানের

নিউজ ডেস্ক

নিউজওয়ান২৪

প্রকাশিত : ০১:২৫ এএম, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ সোমবার

জ্বলন্ত একটি তেলক্ষেত্র          ছবি: সংগৃহীত

জ্বলন্ত একটি তেলক্ষেত্র ছবি: সংগৃহীত

ইরান প্রতিবেশী সৌদি আরবের দুটি তেল স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে- যুক্তরাষ্ট্রের এমন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে তেহরান। একই সঙ্গে উপসাগরীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটি ও যুদ্ধবিমান তেহরানের ক্ষেপণাস্ত্রের আওতায় রয়েছে উল্লেখ করে যুদ্ধের হুমকি দিয়েছে দেশটি। 

সৌদিতে হামলার ঘটনায় ইরানকে দায়ী করার জবাবে রবিবার দেশটি যুদ্ধের এই হুমকি দিল।

গত শনিবার সৌদি আরবের তেল উৎপাদনকারী আরামকো গ্রুপের দুটি তেল ক্ষেত্রে ড্রোন হামলার দায় স্বীকার করেছে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহী গোষ্ঠী। এই হামলার ফলে সৌদি আরবের তেল উৎপাদনের ৫০ শতাংশ বন্ধ হয়ে পড়েছে। এমনকি বিশ্ব বাজারে জ্বালানি তেলের সরবরাহ কমে গেছে প্রায় ৫ শতাংশ। বৈশ্বিক তেল সরবরাহে বিঘ্ন সৃষ্টিকারী এই হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করেছেন আমেরিকান পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। অপরদিকে, ইরানি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আব্বাস মোসাভি দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেয়া সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেন। একইসঙ্গে দেশটির বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর একজন সিনিয়র কর্মকর্তা সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ইরান পুরোমাত্রার যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত আছে।

তিনি বলেন, ‘প্রত্যেকর মনে রাখা উচিত যে, যুক্তরাষ্ট্রের সব সামরিক ঘাঁটি এবং যুদ্ধবিমান আমাদের ক্ষেপণাস্ত্রের নাগালের মধ্যে রয়েছে। আমাদের ক্ষেপণাস্ত্র থেকে এগুলোর দূরত্ব মাত্র ২ হাজার কিলোমিটার।’

এদিকে, সৌদি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বৃহত্তর তেল রপ্তানিকারক কোম্পানি আরামকো বলছে, তেল স্থাপনা আক্রান্ত হওয়ায় দৈনিক ৫ দশমিক ৭ মিলিয়ন তেল উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে; যা সৌদির মোট তেল উৎপাদনের প্রায় অর্ধেক। 
সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত সৌদি প্রেস এজেন্সি জানায়, শনিবার ভোর ৪টার সময় দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় তেলসমৃদ্ধ এলাকার আবকাইক ও খুরাইস এলাকায় ড্রোন হামলার কারণে আগুন ধরে যায়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, দুটি স্থঅনের আগুনই নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। 

নিউজওয়ান২৪.কম/আরকে