ঢাকা, ২৯ মার্চ, ২০২৪
সর্বশেষ:

ধর্ষকের কল্পনাতীত শাস্তি: প্রকাশ্যে কুকুর দিয়ে খাওয়ানো হল...

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৮:২৮, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

ভিডিও ফুটেজটি ভয়াবহ। অনেকের চিন্তাশক্তি অবশ করে দিতে পারে। এতে দেখা যায়, হ্যান্ডকাফ পরা এক ব্যক্তিকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে একদল সন্ত্রাসী। পরে পাঁচজনের একটি দল তাকে রাস্তার পাশে মাটিতে ফেলে মারধর শুরু করে। একপর্যায়ে নগ্ন করে ফেলা হয় তাকে। ভয়াবহ নির্যাতকদল নগ্ন যুবকের দুই পা দুই দিক থেকে টেনে ধরে এরপর। এবার সাদা রঙের পিটবুল জাতের একটি কুকুর লেলিয়ে দেওয়া হয়। ওই কুকুরটি লোকটির গোপনাঙ্গ কামড়ে-আঁচড়ে ক্ষতবিক্ষত করে ফেলতে থাকে। লোকটির পুরুষাঙ্গ ও অণ্ডকোষ ছিঁড়ে খেয়ে ফেলে কুকুরটি।

প্রকাশ্য দিবালোকে রোমহর্ষক এই ঘটনার সময় আক্রান্ত যুবকটি স্প্যানিশ ভাষায় চিৎকার করে কুকুরের হামলা থেকে তাকে বাঁচানোর করুণ মিনতি করছিল। ওই যুবক চিৎকার করে বলছিল, প্লিজ আমাকে ছেড়ে দাও, আমাকে ছেড়ে দাও। কিন্তু তার সাহায্যে কেউ এগিয়ে আসেনি। উল্টো তার চিৎকার বন্ধ করতে ওই গ্যাংয়ের এক সদস্য তার মুখে কাপড়ের দলা ঢুকিয়ে দেয়। 

জানা গেছে ঘটনার শিকার যুবকটি সন্দেহভাজন একজন ধর্ষক। পোষা কুকুরকে দিয়ে কথিত ওই ধর্ষকের পুরুষাঙ্গ খাওয়ানোর ভয়াবহ ওই কাণ্ডটি ঘটিয়েছে মেক্সিকান একটি গ্যাং। দেশটির রাজধানী মেক্সিকো সিটিতে এক নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে ৩০ বছর বয়সী ওই কথিত ধর্ষকের পুরুষাঙ্গ জনসম্মুখে কুকুরকে দিয়ে খাওয়ায় তারা।

গত মাসের এই ঘটনার ভিডিওটি প্রকাশ করার পর ওই গ্যাংয়ের সদস্যরা জানিয়েছে, অন্য ধর্ষকদের সতর্কতা হিসেবে এই শাস্তির ভিডিওটি প্রকাশ করা হলো। তবে নির্মম এই শাস্তির পর ওই ব্যক্তি বেঁচে আছে কিনা তা অজ্ঞাত। প্রকাশিত খবরে জানা গেছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মেক্সিকোতে সংঘবদ্ধ অপরাধী সংগঠনগুলোর নিষ্ঠুরতার মাত্রা অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়েছে। নিজেরা সন্ত্রাসী হয়েও অন্য অপরাধীদের ধরে এনে এ ধরনের শাস্তিদানের ঘটনাও বারবার ঘটাচ্ছে সশস্ত্র সংগঠনগুলো। তবে এদের অনেকেরই জনসমর্থন রয়েছে এলাকাভিত্তিক।

এদিকে, গত মাসে দেশটির রাজধানীর রাস্তায় হাজার হাজার নারী যৌন হয়রানি ও সহিংসতার বিরুদ্ধে আন্দোলন-বিক্ষোভ করে। গত ৩ আগস্ট মেক্সিকো সিটির আজক্যাপোতজ্যালকো এলাকায় ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে চার দেশটির পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে। আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যদের দ্বারা ধর্ষণের এই ঘটনায় চরম ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে জনমনে। এরপর ওই আন্দোলন শুরু করেন দেশটির নারীরা। এসময় বিক্ষোভকারী নারীদের হাতে ‘সব ধরনের সহিংসতার বিরুদ্ধে সব নারী’ এবং ‘যদি তুমি নারীদের লঙ্ঘন করো, তাহলে আমরাও তোমার আইন লঙ্ঘন করবো’ প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।

এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, মেক্সিকোতে প্রত্যেক দিন গড়ে অন্তত ১০জন নারী খুন হন। এছাড়া এ ধরনের আরো অনেক হত্যাকাণ্ডের ও অপরাধের খবর অনেক সময় অপ্রকাশিত থেকে যায়। স্থানীয় মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোর মতে, পুলিশের ওপর মেক্সিকোর মানুষের আস্থা একেবারেই কম। এ কারণে অনেক নারী ধর্ষণের শিকার হলেও তারা পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন না।

ইন্দ্রিরা স্যান্দোভাল নামের এক নারী ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকাকে বলেছেন, প্রত্যেকদিন মেয়েরা নিখোঁজ হচ্ছে, নারীরা নিখোঁজ হচ্ছেন, নারীরা সহিংসতার শিকার ও ধর্ষিত হচ্ছেন। আমরা এর প্রতিরোধে একটি রাজনৈতিক আন্দোলন চাই।

প্রসঙ্গত, বিভিন্ন প্রতিবেদন ও পরিসংখ্যান মতে, বিশ্বে সবচেয়ে বেশি মানুষ হত্যাকাণ্ডের শিকার হয় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেশী দেশ মেক্সিকোতে। চলতি বছরের প্রথমার্ধে দেশটিতে অন্তত ১৭ হাজার মানুষ খুন হয়েছে; যা ওই দেশটির ইতিহাসেও সর্বোচ্চ।

নিউজওয়ান২৪.কম/এসএস

আরও পড়ুন
অপরাধ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত