ঢাকা, ২৮ মার্চ, ২০২৪
সর্বশেষ:

আতঙ্কে জি কে শামীমের পোষা ১০১ সুন্দরী 

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৯:২০, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

রত্না ও মিষ্টি                -ফাইল ফটো

রত্না ও মিষ্টি -ফাইল ফটো

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গ্যাঁরাকলে একে একে অনেক কেচ্ছা-কাহিনীই সামনে আসছে সাবেক যুবলীগ ও যুবদল নেতা জি কে শামীমের। জানা গেছে, টেন্ডার বাগানোসহ বিভিন্ন কাজে ব্যবহারের জন্য শতাধিক সুন্দরী পুষতেন তিনি। জানা গেছে, গোয়েন্দা সদস্যদের কাছে এমন একটি এসেছে যাতে ১০১ জন ওই ধরনের তথাকথিত মডেল ও নায়িকার রয়েছে। মূলত টেন্ডার বাগাতে এসব সুন্দরীকে কাজে লাগাতেন যে কোনোভাবে কাজ আদায়ে পারদর্শী টেন্ডার মাফিয়া জি কে শামীম। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে এই তালিকার সন্ধান পায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তালিকায় থাকা ১০১ জনের মধ্যে এক ডজনেরও বেশি হচ্ছেন পরিচিত নায়িকা ও মডেল। একইসঙ্গে আতঙ্কে আছেন এইসব সুন্দরীরা যাদের বিছানায় যেতেন সেইসব ভিআইপি ব্যক্তিরাও। 
টেন্ডারবাজ শামীম জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন, ভিআইপি, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের কাছে এই ললনাদের পাঠানো হতো। এদিকে, অপর যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া র‌্যাবের হাতে আটক হওয়ার (১৮ সেপ্টেম্বর) পর তার মোবাইল ফোনে বেশ কিছু নায়িকা ও মডেলের ফোন নম্বর পাওয়া যায়। মিডিয়ায় এই তথ্য প্রকাশের পর থেকে শোবিজ অঙ্গনে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা। তবে এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কেউ নাম প্রকাশ করে কোনো তথ্য দিতে রাজি হননি। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে শোবিজপাড়ায় চলছে চাপা গুঞ্জনিআর আতঙ্ক। 
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সূত্র জানিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদে এই ছদ্মবেশি মাফিয়ারা অন্যান্য তথ্যের পাশাপাশি শোবিজের বেশ কয়েকজন নারী তারকার তথ্যও দিয়েছেন। এদের কেউ কেউ আবার জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। বড় বড় টেন্ডার বাগিয়ে আনতে নানা কৌশল ব্যবহার করেছেন গুঁটিবাজ কৌশলী শামীম। অনেক ক্ষেত্রে বস্তাভর্তি টাকায়ও কাজ না হলে সুন্দরী দেহের ফাঁদ পাততেন। এ কারণে তার ডেঁরায় সারাক্ষণ সুন্দরী তরুণীদের আনাগোনা দেখা যেত। নাটক, সিনেমার পরিচিত মুখ, নায়িকা ও মডেলকে মনোরঞ্জন থেকে শুরু করে টেন্ডার বাগিয়ে নিতে অব্যর্থ অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতেন তিনি। জানা গেছে, তার কাছে উচ্চপদস্থ বিভিন্ন কর্মকর্তার নিয়মিত আবদার ছিল, শুধু টাকা দিলেই হবে না, চাই উঠতি বয়সের নায়িকার সঙ্গ। কর্মকর্তাদের কাছে দীর্ঘ তালিকা পাঠাতেন শামীম। ধূরন্ধর শামীম এক্ষেত্রেও ছিলেন এককাঠি সরেস। কিনি ছবিসহ সেই তালিকা দেখেই বাছাই করে নিতে বলতেন মডেল, নায়িকা কার কি চাই? একইভাবে প্রভাবশালী নেতাদের খুশি করতেও মডেল, নায়িকাদের পাঠানো হতো ফ্ল্যাটে বা তারকা হোটেলে। হয় একদিনের জন্য কক্সবাজারে, নয়তো দেশের বাইরের কোনো স্থানে নিয়ে যাওয়া হতো তাদের। 
রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের কাছে এসব চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে জি কে শামীম ও যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া। তারা জানান, অনেকেই টাকার সঙ্গে নারীসঙ্গ চাইতো। পাঁচ তারকা হোটেলে কক্ষের ব্যবস্থাও করতে হতো। পুলিশের তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, তালিকায় থাকাদের মধ্যে কেউ কেউ লাভ স্টেশন, চিনি বিবি, তুই আমার, তুই আমার রানী, সারাংশে তুমি, ভালোবাসা ডটকম ও রূপ নামক ছবিতে কাজ করেছেন। জি কে শামীমের কথামতো কাজ করার বিনিময়ে অল্প দিনেই নায়িকা থেকে অনেকে প্রযোজকও হয়েছেন। মালিক হয়েছেন কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা ও সম্পত্তির। হাঁকিয়ে বেড়ান দামি দামি গাড়ি। গুলশান ও বনানীর একটি তারকা হোটেল ও কাকরাইলের একটি হোটেল ব্যবহার করা হতো ক্ষমতাবান ও প্রভাবশালী ভিআইপিদের একান্তে সময় কাটানোর জন্য। টেন্ডার পাওয়ার পর সাফল্য উদযাপনের পার্টিও দেওয়া হতো। পার্টি হতো দেশে ও বিদেশে। এসব পার্টিতে নিজ দলের নেতা, সরকারি কর্মকর্তা ও সহযোগিরা উপস্থিত থাকতেন। পার্টিতে পশ্চিমা পোশাকে হাজির হতেন সুন্দরীরা। থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়াতেও হয়েছে এ ধরনের কয়েকটি পার্টি। কাকরাইল ও ক্যাসিনো
প্রসঙ্গত, দেশের ফিল্মপাড়া হিসেবে খ্যাত রাজধানীর কাকরাইল মোড়। তারই আশপাশে মতিঝিল, আরামবাগ, ফকিরাপুলে জুয়া ও ক্যাসিনোর অবাধ সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছে অন্ধকার জগতের কর্ণধার গডফাদাররা। এসব ক্যাসিনোতে যাতায়াত ছিল অনেক উঠতি মডেল ও অভিনেত্রীর। অনেক মডেল ও নায়িকারা আলোচিত তা এসব নেতা-ব্যক্তিদের বান্ধবী হিসেবেও পরিচিত ছিলেন। সেই সম্পর্কের প্রভাব খাটিয়েছেন তারা শোবিজে।
তবে এর আগে এসব অভিযোগে আলোচনায় আসা শোবিজ তারকা মিষ্টি জান্নাতসহ অন্যরা নিজেদের সম্পৃক্ত থাকার কথঅ অস্বীকার করেছেন। যেমন মিষ্টি বলেন, আমি কোনোভাবেই এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নই। আমাকে ইঙ্গিত করে একটি পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। এটা আমার ইমেজ নষ্ট করা ছাড়া আর কিছুই নয়। আর এই শামীমের সঙ্গে আমার কোনও পরিচয় নেই। অনেকেই বলেছেন আমাকে বিষয়টি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত বলার জন্য। দেখুন, আমি কেন সংবাদ সম্মেলন করতে যাব! আমি তো কোনও অপরাধ করিনি। আর অপরাধের সঙ্গে জড়িতও নই।
প্রসঙ্গত, ঢালিউডের এই নায়িকা ভারতের ভোজপুরি একটি ছবিতে অভিনয় করেছেন। গেল কয়েক মাস ধরে মুম্বাইয়ে অবস্থান করতে দেখা গেছে তাকে। এদিকে, এসব অভিযোগ সম্পর্কে শিরিন শিলা ও রাহা তানহা খানের বক্তব্য জানার জন্য তাদের সেলফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি। নায়িকা রত্না জি কে শামীমের দরবারে তার চলাফেরার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। 
এ বিষয়টিতে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানের মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, দেখুন একজন শিল্পী হওয়া সাধনার ব্যাপার। একটি গণমাধ্যমে আমি সংবাদ পড়েছি। সেখানে কোনও শিল্পীর নাম সরাসরি বলা হয়নি। আমার কথা হলো উপযুক্ত প্রমাণ ছাড়া আমাদের কোনও শিল্পীকে হেয় করবেন না। আর কেউ যদি সত্যি অপরাধী হয়ে থাকে সেক্ষেত্রেও শিল্পী সমিতির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শিরিন ও রাহা

কাকরাইল ও ক্যাসিনো
প্রসঙ্গত, দেশের ফিল্মপাড়া হিসেবে খ্যাত রাজধানীর কাকরাইল মোড়। তারই আশপাশে মতিঝিল, আরামবাগ, ফকিরাপুলে জুয়া ও ক্যাসিনোর অবাধ সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছে অন্ধকার জগতের কর্ণধার গডফাদাররা। এসব ক্যাসিনোতে যাতায়াত ছিল অনেক উঠতি মডেল ও অভিনেত্রীর। অনেক মডেল ও নায়িকারা আলোচিত তা এসব নেতা-ব্যক্তিদের বান্ধবী হিসেবেও পরিচিত ছিলেন। সেই সম্পর্কের প্রভাব খাটিয়েছেন তারা শোবিজে।
তবে এর আগে এসব অভিযোগে আলোচনায় আসা শোবিজ তারকা মিষ্টি জান্নাতসহ অন্যরা নিজেদের সম্পৃক্ত থাকার কথঅ অস্বীকার করেছেন। যেমন মিষ্টি বলেন, আমি কোনোভাবেই এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নই। আমাকে ইঙ্গিত করে একটি পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। এটা আমার ইমেজ নষ্ট করা ছাড়া আর কিছুই নয়। আর এই শামীমের সঙ্গে আমার কোনও পরিচয় নেই। অনেকেই বলেছেন আমাকে বিষয়টি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত বলার জন্য। দেখুন, আমি কেন সংবাদ সম্মেলন করতে যাব! আমি তো কোনও অপরাধ করিনি। আর অপরাধের সঙ্গে জড়িতও নই।
প্রসঙ্গত, ঢালিউডের এই নায়িকা ভারতের ভোজপুরি একটি ছবিতে অভিনয় করেছেন। গেল কয়েক মাস ধরে মুম্বাইয়ে অবস্থান করতে দেখা গেছে তাকে। এদিকে, এসব অভিযোগ সম্পর্কে শিরিন শিলা ও রাহা তানহা খানের বক্তব্য জানার জন্য তাদের সেলফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি। নায়িকা রত্না জি কে শামীমের দরবারে তার চলাফেরার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। 
এ বিষয়টিতে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানের মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, দেখুন একজন শিল্পী হওয়া সাধনার ব্যাপার। একটি গণমাধ্যমে আমি সংবাদ পড়েছি। সেখানে কোনও শিল্পীর নাম সরাসরি বলা হয়নি। আমার কথা হলো উপযুক্ত প্রমাণ ছাড়া আমাদের কোনও শিল্পীকে হেয় করবেন না। আর কেউ যদি সত্যি অপরাধী হয়ে থাকে সেক্ষেত্রেও শিল্পী সমিতির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।  সূত্র: বাংলাদেশপ্রতিদিন, আরটিভিঅনলাইন, সময়নিউজ.টিভি 
নিউজওয়ান২৪.কম/এসএস