ঢাকা, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
সর্বশেষ:

ফরজ নামাজের পর প্রয়োজনীয় কিছু আমল

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৫:১৮, ১৬ নভেম্বর ২০১৮  

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

 

প্রতি ওয়াক্তের ফরজ নামাজের পর বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গুরুত্বপূর্ণ জিকির ও দোয়া পড়তেন। 

বিশ্বনবী (সা.) এর পঠিত দোয়াগুলো তুলে ধরা হলো-

(১) রাসূলুল্লাহ সাঃ প্রত্যেক ফরজ নামাজ শেষে ৩ বার আসতাগফিরুল্লাহ্‌ বলতেন। (মুসলিম, ১২২২)

(২) তারপর “আল্লাহুম্মা আনতাস সালাম ওয়া মিনকাস সালাম, তাবারকতা ইয়া যাল-জালা-লী ওয়াল ইকরাম” – এটি পরতেন । (মুসলিম, ১২২১)

(৩) সুবহা-নাল্লা-হ (৩৩ বার) । আলহাম্দুলিল্লা-হ (৩৩ বার) । আল্লাহু-আকবার (৩৩ বার) । (লা-ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ওয়াহদাহু লা- শারীকা-লাহু লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুওয়া আলা- কুল্লি শাইয়িন ক্বদীর”) (১ বার) । এগুলো পাঠে গুনাহসমূহ সমুদ্রের ফেনারাশির মতো অসংখ্য হলেও ক্ষমা করে দেয়া হয়।)
(মুসলিম, ১২৪০)

(৪) আয়াতুল কুরসী (সূরা বাক্বারা আয়াত-২৫৫) ১ বার পড়া। ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পড়লে তার আর বেহেস্তের মধ্যে মৃত্যু ছাড়া আর কোনো দূরত্ব থাকেনা।
(নাসাঈ)

(৫) ﺃﻟﻠﻬﻢ ﺃﺟﺮﻧﻲ ﻣﻦ ﺍﻟﻨﺎﺭ “আল্লাহুম্মা আজিরনী মিনান নার” ৭ বার, ফজর ও মাগরিবের পর। সে দিন বা সে রাতে মারা গেলে আল্লাহ তাকে জাহান্নাম থেকে রক্ষা করবেন।

(৬) সূরা ইখলাস, ফালাক্ব ও সূরা নাস, প্রত্যেকটি ৩ বার করে, ফজর ও মাগরিবের পর। রাসূল (সা.) বলেন, সকাল- সন্ধ্যায় এগুলো পাঠ করলে তোমার আর কিছুরই দরকার হবে না।

(৭) দরুদ শরীফ ১০ বার, ফজর ও মাগরিবের পর। কেয়ামতের দিন রাসূলের শাফা'আত লাভ করবে।

(৮) ﺭﺿﻴﺖ ﺑﺎﻟﻠﻪ ﺭﺑﺎ ﻭﺑﺎﻹﺳﻼﻡ ﺩﻳﻨﺎ ﻭﺑﻤﺤﻤﺪ ﻧﺒﻴﺎ ("রাদ্বীতু বিল্লাহি রাব্বা, ওয়াবিল ইসলামি দ্বীনা, ওয়াবি মুহাম্মাদিন নাবিয়্যা") ৩ বার, ফজর ও মাগরিবের পর। রাসূলুল্লাহ (সা.) হাত ধরে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। আল্লাহ উক্ত ব্যক্তিকে সন্তুষ্ট করবেন।

(৯) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “যে ব্যক্তি দৈনিক ১০০ বার বলে,

«سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِهِ».

(সুব্‌হানাল্লা-হি ওয়াবিহামদিহী)

তার পাপসমূহ মুছে ফেলা হয়, যদিও তা সাগরের ফেনারাশির সমান হয়ে থাকে।

(বুখারী ৭/১৬৮, নং ৬৪০৫; মুসলিম ৪/২০৭১, নং ২৬৯১)

নিউজওয়ান২৪/আরএডব্লিউ