ঢাকা, ২৯ মার্চ, ২০২৪
সর্বশেষ:

রাজাকার সামাদের মৃত্যুদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১২:৪১, ২৭ আগস্ট ২০১৯  

রাজাকার মো. সামাদ (মুসা) ওরফে ফিরোজ খাঁ (ফাইল ফটো)

রাজাকার মো. সামাদ (মুসা) ওরফে ফিরোজ খাঁ (ফাইল ফটো)

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রাজশাহীর পুঠিয়ার মো. আব্দুস সামাদ (মুসা) ওরফে ফিরোজ খাঁ’র মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। 

মঙ্গলবার বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ রায় দেন।

এর আগে, এ মামলায় উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে গত ৮ জুলাই মামলাটি অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখেন ট্রাইব্যুনাল। ওইদিন ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর ঋষিকেশ সাহা ও জাহিদ ইমাম। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুস সাত্তার পালোয়ন।

মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ মোট ১৫ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। আসামির পক্ষে কোনো সাক্ষী ছিল না। প্রথম অভিযোগে তিনজন চাক্ষুষ সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন। এর মধ্যে দুজন সরাসরি ভিকটিম ও একজন ভিকটিম পরিবারের সদস্য। এছাড়া দ্বিতীয় অভিযোগে মোট সাক্ষী তিনজন। তিনজনই ভিকটিম পরিবারের চাক্ষুষ সাক্ষী। তৃতীয় অভিযোগে চাক্ষুষ সাক্ষী চারজন। চারজনই ভিকটিম পরিবারের সদস্য। চতুর্থ অভিযোগেও সাক্ষী চারজন। এর মধ্যে তিনজনই সরাসরি ভিকটিম এবং একজন ভিকটিম পরিবারের।

চলতি বছরের ১৪ এপ্রিল এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার জেরা শেষ হয়। চার সাঁওতালসহ ১৫ জনকে হত্যা, ২১ জনকে নির্যাতন ছাড়াও অপহরণ, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগের অভিযোগে আসামির বিরুদ্ধে গত বছরের ১৪ জানিুয়ারি তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। এরপর ওই বছরের ১২ এপ্রিল তার বিরুদ্ধে পাঁচ অভিযোগে ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগপত্র দাখিল করে প্রসিকিউশন।

২০১৬ সালের ১১ ডিসেম্বর মালাটির তদন্ত শুরু হয়। তখন এ মামলায় আসামি করা হয়েছিল ছয়জনকে। কিন্তু তদন্ত চলার সময়ই বাকি পাঁচ আসামির মৃত্যু হলে একমাত্র আসামি হিসেবে মো. আব্দুস সামাদ (মুসা) ওরফে ফিরোজ থাকেন। তদন্ত চলার সময় নাশকতার মামলায় গ্রেফতার হন এই আসামি। পরে ২০১৭ সালে ২৪ জানুয়ারি তাকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হলে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়া হয়।

নিউজওয়ান২৪.কম/এমজেড

আরও পড়ুন
আইন আদালত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত