ঢাকা, ২৯ মার্চ, ২০২৪
সর্বশেষ:

‘ঘরের ছেলে’ ঘরেই ফিরেছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ০০:৩৬, ১২ জুন ২০২১  

তৃণমূলে ফিরলেন মুকুল রায়

তৃণমূলে ফিরলেন মুকুল রায়

বিজেপি ছেড়ে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল কংগ্রেসে প্রত্যাবর্তন করেছেন মুকুল রায়। সাড়ে তিন বছর পর আবার আগের দলেই ফিরে এলেন তৃণমূলের তৎকালীন এই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা। ২০১৭ সালের অক্টোবরে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন মুকুল। ২০২১ সালের জুনে আবার প্রত্যাবর্তন। মাঝখানের এই সাড়ে তিন বছর তিনি বিজেপিতে খুব স্বস্তিতে ছিলেন এমনটা বলা যায়না। বিজেপি তাকে যোগ্য সম্মান দিয়েছে কিনা তা নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন।

মুকুল রায়ের অনুপস্থিতিতে ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলকেও বড়সড় ধাক্কা খেতে হয়েছে। তবে অতীতের সব তিক্ততা ভুলে তৃণমূল ‘ঘরের ছেলে’কে ঘরেই ফিরিয়ে নিল। তবে মুকুলকে ছাড়াই চলতি বছরের বিধানসভা নির্বাচনে দুর্দান্ত ফল করল শাসকদল। তাই তাকে কেন দলে আবার গ্রহণ করা হলো তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন কেউ কেউ।

তৃণমূল থেকে বিজেপিতে গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের যাওয়া শুরু হয়েছিল মুকুল রায়কে দিয়েই। এরপর একে একে অর্জুন সিং থেকে শুরু করে শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়রাও গেরুয়া শিবিরে ভিড়েছেন। মুকুলের বিজেপিতে যোগদানের পর পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে একটা ধারণা তৈরি হয়েছিল যে তৃণমূলের ভাঙন বোধহয় আসন্ন। বিজেপির সমর্থকরা স্বপ্নও দেখতে শুরু করেন মুকুলই ধীরে ধীরে তৃণমূলকে শেষ করে দেবেন। কিন্তু বিধানসভা ভোটের পর পালটা একটি ধারণা অর্থাৎ আবহ তৈরি করতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। এবার তারা বার্তা দিতে চাচ্ছে, বিজেপিই ভাঙনের মুখে। মুকুলের হাত ধরে একে একে নেতারা বিজেপির ছেড়ে তৃণমূলে নাম লেখাবেন, এমনটাই হয়তো আশা করছে তৃণমূল।

পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে অন্যতম দক্ষ সংগঠক মুকুল রায়। ২০১৯ এর লোকসভায় বিজেপির অবিশ্বাস্য সাফল্য এবং তৃণমূলের ধাক্কার নেপথ্যের আসল কারিগরই ছিলেন ভারতের প্রাক্তন এই রেলমন্ত্রী।

মুকুলের প্রত্যাবর্তন প্রসঙ্গে তৃণমূলনেত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেন, আমাদের দল আগেই শক্তিশালী ছিল। আমরা নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছি। তবে আমি মনে করি মুকুল এখানে এলো, ও একটু শান্তি পাবে।

ধারণা করা হচ্ছে, ২০২৪ এ ভারতে লোকসভা নির্বাচনে মমতা ব্যানার্জির অন্যতম শক্তিশালি হাতিয়ার হবেন মুকুল রায়। মোদির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মুকুলের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে চাইবে তৃণমূল।

নিউজওয়ান২৪/এসআর

বিশ্ব সংবাদ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত