ঢাকা, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪
সর্বশেষ:

৪ বছরের শিশুকে যৌন নির্যাতন শিক্ষকের!

নিউজওয়ান ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৫:২৬, ১ ডিসেম্বর ২০১৭  

৪ বছরের শিশুকন্যাকে স্কুলের মধ্যে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ। ঘটনায় অভিযুক্ত স্কুলেরই এক পুরুষ শিক্ষক। তিনি স্কুলের ফিজিক্যাল এডুকেশনের শিক্ষক বলে জানা গিয়েছে। ঘটনায় যাদবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের নির্যাতিতার পরিবারের।তদন্তে নেমে অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করে জেরা শুরু করেছে পুলিশ। গোটা ঘটনায় আতঙ্কিত এবং মানসিকভাবে বিপর্যস্ত শিশুটি এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

দক্ষিণ কলকাতার রিজেন্ট পার্ক এলাকার এক নামী ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের লোয়ার নার্সারির ছাত্রী ছিল ওই শিশুটি। ওই স্কুলটি মেয়েদেরই। বৃহস্পতিবার স্কুল ছুটির পরে বাড়ি এসে শিশুটি কাঁদতে শুরু করে। মায়ের নজরে আসে এই ঘটনা। তার যৌনাঙ্গে ও জামাপ্যান্টে রক্ত দেখতে পাওয়া যায় বলে শিশুটির পরিবারের। শিশুটি তখন বেশ আতঙ্কের মধ্যে ছিল।

এই ঘটনায় পুলিশে অভিযোগ জানাতে গিয়েও পরিবারটিকে হয়রানির মুখে পড়তে হয়েছে বলে অভিযোগ। যৌন নির্যাতনের ঘটনা আন্দাজ করে প্রথমে শিশুটির পরিবার নেতাজিনগর থানায় অভিযোগ জানাতে যায় যায়। সেখান থেকে তাঁদের যাদবপুর থানায় পাঠানো হয়। যাদবপুর থানায় গিয়ে তারা অভিযোগ জানাতে গেলে তাদের অভিযোগ না নিয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয়।

চিকিৎসকরা প্রাথমিক পরীক্ষার পরেই বুঝতে পারেন যৌন নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। ওই শীতের রাতে যন্ত্রণাকাতর শিশুটিকে ফের থানায় নিয়ে আসার পর অভিযোগ দায়ের হয়। তার পর তাকে ভর্তি করা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। সেখানেই আপাতত চিকিৎসাধীন ওই নির্যাতিতা।

এই খবর ছড়িয়ে পড়ার পরেই এ দিন সকাল থেকে স্কুলের বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন ছাত্রীদের অভিভাবকরা। স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তাঁরা। অভিযোগ, তিন বছর আগেও ওই স্কুলেরই এক ছাত্রীর সঙ্গে একই ঘটনা ঘটেছিল। অভিভাবকরা প্রশ্ন তোলেন, মেয়েদের স্কুলে কেন পুরুষ শিক্ষক, সাফাইকর্মী নিয়োগ করা হয়?

যদিও, স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, তাঁরা এই ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানে না। শিশুটির পরিবারের পক্ষ থেকেও তাদের কাছে কোনও অভিযোগ জানানো হয়নি। বৃহস্পতিবার স্বাভাবিক অবস্থাতেই স্কুল ছুটির পরে শিশুটির মা এসে তাকে নিয়ে গিয়েছিল। স্কুলের পক্ষ থেকে ঘটনা তদন্ত করে দেখার আশ্বাসও দেওয়া হয়। যদিও, তাতেও ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা শান্ত হননি। বিক্ষোভ সামাল দিতে স্কুলে পুলিশও পৌঁছয়।

নির্যাতিতা শিশুটির বাবা জানিয়েছেন, ‘‘মেয়ে বেঁচে ফিরেছে, এখন মনে হচ্ছে এটাই অনেক। এত টাকা ডোনেশন দিয়ে স্কুলে ভর্তি করে মেয়ে বেঁচে ফিরবে কি না তাই যদি চিন্তা করতে হয়, তা হলে আর কী বলব। পুলিশ যেভাবে আমাদের পরামর্শ দিচ্ছে, আমরা তাই মেনে চলব।’’ যদিও তিনি জানিয়েছেন, দ্রুত চিকিৎসার ফলে শুক্রবার সকালেই শিশুটি অনেকটা সুস্থ হয়ে উঠেছে। মেয়েকে সুস্থ হয়ে বাড়ি নিয়ে যাওয়াই লক্ষ্য বাবা-মায়ের।

ভবিষ্যতে অন্য কোনও শিশুর সঙ্গে যাতে এমন ঘটনা না ঘটে, তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন শিশুটির বাবা। তাঁর দাবি, স্কুল কর্তৃপক্ষ তাঁদের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করেনি। শিশুটির বাবার অভিযোগ, স্কুল কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবারই গোটা ঘটনা জানত, তার পরেও তারা চুপ করে ছিল।

নিউজওয়ান২৪.কম

আরও পড়ুন
অপরাধ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত