ঢাকা, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪
সর্বশেষ:

সুস্থ থাকতে হলে ত্যাগ করুন এই অভ্যাসগুলো

লাইফস্টাইল ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৫:২৯, ২৮ অক্টোবর ২০১৭  

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

শরীর ভালো রাখতে সব কিছুই করেন আপনি। খাবার খাওয়া, জিম বা ব্যায়াম, সাঁতার কিছুই বাদ দেন না। তবুও আপনার শরীর কিছুতেই ভালো থাকে না। আসলে আপনার কিছু বদভ্যাস আপনাকে সুস্থ হতে দেয় না।


কিরকম সেই বদভ্যাসগুলি? এই প্রশ্নের উত্তর জানতে যে পড়তেই হবে আজকের এই বিশেষ প্রতিবেদনটি।

১. ভালো করে হাত না ধোয়ার অভ্যাস
সারাদিন ল্যাপটপ, মোবাইল, টিভির রিমোট নিয়ে নাড়াচাড়া করছেন। আমাদের ঘর যতই পরিষ্কার থাকুক না কেন, এমন কিছু জীবাণু আমাদের চারপাশে সবসময় থাকে, যা আমরা খালি চোখে দেখতে পারি না। এছাড়াও আমাদের চামড়ায় প্রচুর পরিমাণে জীবাণু থাকে। সেগুলি ল্যাপটপ, মোবাইল এবং রিমোটে জমতে থাকে। তারপর হাত হয়ে শরীরে ভেতরে প্রবেশ করে নিজেদের ক্ষমতা দেখাতে শুরু করে। ফলে অসুস্থ হয়ে যাই।

এমনটা হওয়া থেকে আটকাতে পারে হাত ধোয়ার অভ্যাস, যা আমাদের অনেকেই নেই। হাত ঠিক মতো না ধোয়ার কারণে ঠাণ্ডা লাগা, সর্দি, গলা বসে যাওয়া, চোখ লাল হয়ে ওঠা, খাবার থেকে বিষক্রিয়া এবং ডায়রিয়ার মতো রোগগুলি হয়। তাই খেতে বসার আগে হোক বা গোসল করার সময় ভাল করে হাত ধুয়ে নিতে ভুলবেন না। এক্ষেত্রে সাবান, হ্যান্ড ওয়াশ ইত্যাদি ব্যবহার করুন। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা জানিয়েছেন যে, যত বেশিক্ষণ এবং বেশিদিন আপনি হাত না ধুয়ে থাকবেন, ব্যাকটেরিয়া তত বেশি পরিমাণে কলোনি তৈরি করতে পারবে।

২. অনেক রাত অবধি জেগে থাকা
ন্যাশানাল স্লিপ ফাউন্ডেশনের-এর জরিপে জানানো হচ্ছে যে, যারা বেশি রাত অবধি জেগে থাকেন, তাদের শরীরে শ্বেত রক্তকণিকার পরিমাণ কমতে থাকে। এমনকি এদের মধ্যে দুশ্চিন্তার প্রকোপও বেশি দেখা যায়। গবেষণায় বলে হচ্ছে যে, ঘুমের সামান্য পরিমাণে ঘাটতিও শরীরে নানারকম রোগের জন্ম দেয়।

৩. দাঁত দিয়ে নখ কাটা
অনেকেই আছেন, যারা দাঁত দিয়ে নখ কাটেন। এমনটা করা একেবারেই উচিত নয়। কারণ আমাদের সব কাজই হাত দিয়ে করতে হয়, তাই নখের মধ্যে নানা ক্ষতিকারক উপাদান জমে থাকে। আর যখন দাঁত দিয়ে নখ কাটা হয়, তখন এই ক্ষতিকারক উপাদান আমাদের পেটের ভেতর প্রবেশ করে। ফলে পেটের রোগ, বমি, ডায়রিয়া, ইকোলাই প্রভৃতি রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। প্রসঙ্গত, গবেষণায় প্রকাশিত হয়েছে যারা দাঁত দিয়ে নখ কাটেন, তাদের এই সমস্ত রোগ হওয়ার সম্ভাবনা ৭৬ শতাংশ বৃদ্ধি পায়।

৪. ডেস্কে বসেই খাবার খাওয়া
কাজের চাপে বাইরে গিয়ে খাবার খাওয়ার সময় নেই? ডেস্কে বসেই তাই খাবার খেতে বাধ্য হচ্ছেন? গবেষণায় জানা যাচ্ছে যে, অফিসে সব থেকে বেশি জীবাণু থাকে কফিপট এবং কি- বোর্ডে। কারণ এই জিনিসগুলি অনেক লোক একসঙ্গে ব্যবহার করেন। অন্যদিকে সবার হাতেই কিছু না কিছু নোংড়া লেগে থাকে। ফলে সেগুলি ব্যবহার করা বা সেগুলির পাশে বসে খাওয়াও শরীরের জন্য খারাপ। অন্যদিকে ডেস্কে বসে খেলে খাবারের অল্প পরিমাণ টুকরো হলেও ডেস্কে পড়ে। ফলে সেখানে ব্যাকটেরিয়া বাসা বাঁধে এবং রোগ ছড়িয়ে পরে।

৫. বাড়িতে জুতো পরে থাকা
ঘরের ভেতর বাইরের জুতো পরে ঢুকে যান? এমনটা করলে কিন্তু বিপদ। কারণ আপনি জানেন না, রাস্তায় কি ধরণের বিষাক্ত এবং নোংরা পদার্থ পড়ে থাকে। ফলে সেইসব নোংরা এবং বিষাক্ত পদার্থ জুতোর নীচে লেগে যায়। গবেষণায় প্রকাশিত হয়েছে ক্লসট্রিডিয়াম ডিফিসিল নামক এক ধরণের ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া প্রায় সব জুতোর নীচে পাওয়া যায়, যা পেটের রোগ, কৃমি, বমি, ডায়রিয়া ইত্যাদির সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

৬.বাথরুমে ফোন নিয়ে ঢোকা
বাথরুম আমরা ব্যবহার করি শরীরের ক্ষতিকারক এবং অপ্রয়োজনীয় বর্জ্য বের করার জন্য। ঠিক এই কারণেই বাথরুমে প্রচুর পরিমাণে ব্যাকটেরিয়া থাকে। ফলে রোগভোগের আঁতুড় ঘরের মতো কাজ করে বাথরুম। তাই সুস্থ থাকতে হলে বাথরুমে ফোন নিয়ে কখনোই যাওয়া চলবে না।

৭. দীর্ঘদিন বিছানার চাদর না বদলানো
বিছানার চাদর কতদিন অন্তর পাল্টান? এক মাস, দু মাস কেটে যায়? জানেন কি এই বদভ্যাসের কারণে কি মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে আপনার শরীরের? আসলে বিছানার চাদর এবং তার নীচে এক ধরনের আণুবীক্ষণিক ব্যাকটেরিয়া বাসা বাঁধে। যা আমাদের পেটের রোগ, ইকোলাই সহ শ্বাসকষ্ট, অ্যালার্জির মতো নানা রোগে আক্রান্ত করে তোলে। তাই সুস্থ থাকতে প্রতি সপ্তাহে বিছানার চাদর বদলানো উচিত।

লাইফস্টাইল বিভাগের সর্বাধিক পঠিত