ঢাকা, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪
সর্বশেষ:

যেদিন হজযাত্রায় উটের স্থান দখল করলো বাস

অটোমোবাইল ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:৪৭, ২০ জুন ২০১৬   আপডেট: ১১:১০, ২৫ জুলাই ২০১৬

৮৬ বছরে আগের হজযাত্রী বোঝাই সেই মোটরগাড়ি

৮৬ বছরে আগের হজযাত্রী বোঝাই সেই মোটরগাড়ি

একটা সময় ছিল যখন আরব এবং আরবের বাইরের মুসলমানদের হজযাত্রায় চতুষ্পদ জন্তু বিশেষ করে উটই ছিল ভরসা।

মক্কার পশ্চিমে এবং অপর শহর মদিনা এলাকায় কাবা ঘর ও মসজিদে নববীসহ ইসলামের ইতিহাস-ঐতিহ্যের গুরুত্বপূর্ন স্থানগুলো রয়েছে। হজের আনুষ্ঠানিকতা পালনে এসব স্থানে হজযাত্রীদের গমনাগমনের মূল বাহনই ছিল উট, গাধা, খচ্চর বা ঘোড়া।

দূর প্রাচ্য তথা এশিয়ার অন্যান্য অংশ এবং আফ্রিকার কথা বাদ দিলেও আশপাশের আরব দেশ সিরিয়া-লেবানন থেকে মক্কা-মদিনায় হজ পালনে আসতেও পথেই কয়েক মাস লেগে যেতো।

এই দূরত্ব সময়ের বিচারে কমে আসতে শুরু করে আরবে মোটরহগাড়ি চলাচল শুরুর মাধ্যমে।

সম্প্রতি সৌদি পত্রপত্রিকা ও সামাজিক মাধ্যমে হজযাত্রী বোঝাই একটি মোটরগাড়ির (বাস) ছবি প্রকাশ করা হয়েছে (নির্দিষ্ট দিন তারিখ বলা হয়নি)। পত্রিকার প্রতিবেদন মোতাবেক, ছবিটি ৮৬ বছর আগের। ছবির এই  বাহনটি ‘ইতিহাসের প্রথম মোটরগাড়ি যাতে চড়ে হজযাত্রীরা মক্কা যান’।

এই গাড়িটি দিয়ে শুরু। এরপর এইজাতীয় বা অন্য ধরনের মোটরগাড়ি বা বাসই হয়ে পড়ে আরব দেশ ও দূরবর্তী অঞ্চলের মুসলমানদের হজযাত্রার মূল বাহন।

আরবে, বিশেষ করে সৌদি আরবে সময়ের ধারাবাহিকতায় ক্রমশ উটঘোড়া-গাধাকে সরিয়ে মোটরযানই হয়ে পড়ে হাজি সাবেহবদের মূলবাহন।

আর দূরবর্তী অঞ্চলগুলো থেকে একসময়ে প্রথমে ছয়মাস বা বছর খানেকের জলপথ পাড়ি দিয়ে জেদ্দা বা অন্যান্য আরব বন্দরে ভিড়ত হজযাত্রীদের জাহাজ। সেখান থেকে উট বা ঘোড়ার যাত্রা শুরু হতো আল্লাহর ঘর কাবায় বা নবীর (সা.) রওজায়।
এরপর উড়োজাহাজ এসে সময়ের সেই দূরত্ব অনেক কমিয়ে দিয়েছে। হজযাত্রায় ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের পথের সময় কমানোর পেছনে ট্রেনও বড় ভূমিকা রেখেছে।

নিউজওয়ান২৪.কম/একে

মোবাইল-পিসি-টেক বিভাগের সর্বাধিক পঠিত