ঢাকা, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪
সর্বশেষ:

যে ‘তুচ্ছ খড়-কুটো’র বোঝা পাকিস্তান নামক ‘উটের’ মেরুদণ্ড ভেঙে দেয়

আব্দুল মাজিদ, পাকিস্তানি সাংবাদিক

প্রকাশিত: ১২:৫২, ৩ ডিসেম্বর ২০১৬   আপডেট: ২৩:৪৮, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৬

একাত্তর সালে বাংলাদেশে কী ঘটছিল তা পশ্চিম পাকিস্তানে খুব একটা প্রকাশ হতে দেয়নি হানাদার-জান্তা নিয়ন্ত্রিত মিডিয়া ও তাদের বশংবদ অন্যান্য সূত্র। কষ্ট এবং হতাশার ব্যাপার হলো, এতকাল পরেও পাকিস্তানের রাজনৈতিক নেতা থেকে আমজনতা- সবার কাছেই একাত্তরের ভয়াবহতা আর নির্মমতা নিয়ে ধারণা অস্পষ্ট। তারা জানেন না পাকিস্তানি সেনাবাহিনী কী ভয়াবহ পৈশাচিক উন্মত্ততায় মেতে উঠেছিল তদানিন্তন পূর্ব পাকিস্তানে। তবে ওই সময়েও পাকিস্তানের কিছু লোক, যদিও হাতে গোণা- ‘অপারেশন সার্চ লাইটের’ প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন। সেই ধারাবাহিকতা ধরে পাকিস্তানের পরবর্তী প্রজন্মেরও অনেকে এ বিষয়ে আত্মসমালোচনামূলক মত প্রকাশ করেছেন, করছেন। এদের মধ্যে আছেন সুপরিচিত সাংবাদিক ও গবেষক তাহির মেহেদি। প্রভাবশালী পাকিস্তানি মিডিয়া দ্য ডনে তার লেখা ৪ পর্বের ‘দ্য ক্রো ইজ হোয়াইট, বেঙ্গল ইজ পাকিস্তান’- নামে এ ধরনের একটি অসাধারণ লেখা আছে (যা আমি বাংলায় অনুবাদ করেছিলাম, ২০১২ সালে)। এখানে তাহির মেহেদির মতো পরবর্তী প্রজন্মের আরও এক পাকিস্তানি তরুণ সাংবাদিক আব্দুল মাজিদ কলম ধরেছেন আত্মসমালোচনার, আত্মশোধন-বোধনের চেষ্টায়। ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে আমার অনুরোধে লেখাটি পাঠিয়েছিলেন তিনি। ‘রক্তের ছোপ মুছতে কতগুলো বর্ষার প্রয়োজন পাকিস্তানের!’ শিরোনামে আমার অনুবাদে লেখাটি আগে প্রকাশিত হয়েছিল একটি পোর্টালে। সম্প্রতি বাংলাদেশের কাছে পাকিস্তানের ভিত্তিহীন ‘পাওনা দাবির’ পটভূমিতে লেখাটি প্রাসঙ্গিক বিধায় নিউজওয়ান২৪.কম-এর পাঠকদের জন্য পুনঃপ্রকাশ করা হলো মহান মুক্তিযুদ্ধ বিজয়ের মাসে

রক্তের ছোপ মুছতে কতগুলো বর্ষার প্রয়োজন পাকিস্তানের!
গণহত্যা এবং এ ধরনের অন্যান্য গণসন্ত্রাসের ভীতিকর ঘটনাগুলোর যথাযথ আর কার্যকর ফয়সালায় সাধারণত দুটি প্রজন্মের সময়ক্রম লেগে যায়। ‘দ্য মেকিং অব একজাইল’- এ কথাগুলো লিখেছেন নন্দিতা ভবানী। আর পাকিস্তানের প্রগতিশীল কবিদের অন্যতম পুরোধা ফয়েজ আহমেদ ফয়েজ বাংলাদেশে পাকিস্তানি সশস্ত্রবাহিনী ও তাদের দেশীয় দালাল-দোসরদের চালানো গণহত্যার গভীরতর প্রভাবকে তার বিখ্যাত পঙক্তিতে এভাবে ব্যাখা করেছেন- খুন কে ধাব্বে ধো লেঙ্গে কিতনি বারসাতোন কি বাদ! অর্থাৎ রক্তের ছোপ ধুয়ে মুছে ফেলতে কতগুলো বর্ষার প্রয়োজন তোমার (হে পাকিস্তান)!

বিশাল ভারতীয় উপমহাদেশের দেশগুলোর জন্য এটা হয়তো এক ট্রাজেডি যে এ অঞ্চলের মানুষগুলো তাদের নিজেদের ইতিহাসের শৃঙ্খলেই বন্দি হয়ে আছে। দেশভাগের ক্ষতই যখন শুকায়নি- সেই সময়ে সেখানে দেখা দিল পশ্চিম পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বাংলাদেশের অভ্যুদয়।

বলা যায়, এর শুরুটাই হয়তো ছিল বৈসাদৃশ্যকর। অল ইন্ডিয়া মুসলিম লিগের জন্ম ঢাকায়, ১৯০৬ সালে। তবে দলটি তার সব সক্ষমতা দেশভাগ পরবর্তী পশ্চিম পাকিস্তানেই ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেয়।

ব্রিটিশরা যখন দেশভাগ নিয়ে আলোচনা-পর্যালোচনা করছিল, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও শরৎ চন্দ্র বসু একটি স্বাধীন বাংলা প্রজাতন্ত্রের প্রস্তাব করেন। তাদের এই পরিকল্পনার সিদ্ধি কখনোই সাধন হয়নি- যদিও এটা ছিল তাদের সময়ের বিবেচনায় অনেক অগ্রসর এক চিন্তা।

অবিভক্ত পাকিস্তানে বাঙালি জাতীয়তাবাদের বীজটা বপন করা হয়েছিল পূর্ব পাকিস্তানের সংখ্যাগুরু জনগণের ওপর জোর করে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে উর্দুকে চাপিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টার মাধ্যমে। এর সূত্র ধরে ১৯৫০ সালের ২০ দফা ষাটের দশকে রূপ নেয় ছয় দফায়। আর অবিভক্ত পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অসাম্য-অব্যবস্থাপনা দেশটির ঐক্য ধরে রাখার কোনো যৌক্তিকতাকেই আর টিকে থাকতে দেয়নি। ভারতের বিরুদ্ধে ১৯৬৫ সালের যুদ্ধের সময়ে ‘পূর্বাঞ্চলের প্রতিরক্ষা পশ্চিমে নিহিত’ শীর্ষক আজগুবি নীতিগ্রহণ বাঙালিদের আরও দূরে সরিয়ে দেয়।

সেই ‘তুচ্ছ খড়-কুটো’র বোঝা...

একটি প্রলয়ঙ্করী বন্যা (১৯৭০ সালে)- এ সময়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সীমাহীন ঔদাসীন্য-অবজ্ঞা-অবহেলার ঘটনা বাঙালি জাতীয়তাবাদীদের আশঙ্কাকে বাস্তবে রূপ দিল- আপাত এই ‘তুচ্ছ খড়-কুটো’র বোঝাটিই আসলে পাকিস্তান নামক উটের মেরুদণ্ডটি ভেঙে দেয়। সত্তরের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়। কিন্তু পশ্চিম পাকিস্তানের অভিজাতরা (এদের মধ্যে ছিল সামরিক সরকার এবং পাকিস্তান পিপলস পার্টি প্রধান জুলফিকার আলী ভুট্টো) আওয়ামী লীগের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরে অস্বীকৃতি জানায়। একের পর এক আলোচনার পরও নয়া পার্লামেন্টের কোনো অধিবেশনই আর বসেনি।

এরপর ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তান সেনাবাহিনী এবং তাদের বেসামরিক মিত্ররা ‘অপারেশন সার্চলাইট’ অভিযানে নামে। এই মিত্রদের মধ্যে ছিল ১৯৪১ সালে প্রতিষ্ঠিত ইসলামী সংগঠন জামায়াতে ইসলামী। শুরুর দিকে কিন্তু জামায়াত ‘পাকিস্তান তত্ত্বের’ কঠোর বিরোধীতায় অবতীর্ণ হয়। জামায়াতের প্রতিষ্ঠাতা আবুল আলা মওদুদী একজন প্রখ্যাত ইসলামী চিন্তাবিদ ছিলেন যিনি ‘জাতীয়তাবাদ’- তা যে কোনো বর্ণ বা মতেরই হোক না কেন- একে মনে করতেন ‘ইসলামী রাষ্ট্র’ তথা মুসলিম উম্মাহর বিরুদ্ধে অভিশাপ স্বরূপ।

তবে যখন ১৯৪৭ সালের আগস্টে ভারত ভাগ হলো- মওদুদী সপরিবারে পাকিস্তানের লাহোরে চলে এলেন এবং তার মতবাদে পরিবর্তন আনলেন। আর দেশভাগের পরও জামায়াত ক্ষমতাসীন মুসলিম লিগের বিরুদ্ধাচরণ বজায় রাখলো। পরবর্তীতে অনেকগুলো ঘটনায় মাখামাখি-মিত্রতা-সমঝোতা আর মওদুদীর মৃত্যুদণ্ড রহিতকরণের সূত্রে- ১৯৬০ সালে জামায়াতে ইসলামী তার পথ বদলে ফেললো এবং (সামরিক সরকারের সুতোর টানে) সর্বান্তকরণে পাকিস্তানি জাতীয়তাবাদে মতান্তরিত হলো।

এরপর উর্দু, ইসলাম আর ভারতকে ঘৃণার মতবাদের ওপর জোটবদ্ধ একটি রাষ্ট্রীয় ধারণাকে জোরজবরদস্তিমূলকভাবে প্রয়োগে সরকারের সহযোগী হয়ে উঠলো জামায়াত ও তার ছাত্র সংঘ।

পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সহযোগী হয়ে লড়ার জন্য জামায়াতের ছাত্র সংগঠন ও স্বেচ্ছাসেবীদের দিয়ে গঠন করা হলো ‘আল-বদর’ ও ‘আল-শামস’ নামের আধাসামরিক বাহিনীর। ১৯৭১ সালের মার্চ থেকে শুরু- এক আতঙ্ক প্রবাহ বয়ে গেল বঙ্গীয় ব-দ্বীপের ওপর দিয়ে যার রূপকার ছিল এমন একটি সেনাবাহিনী যারা নিজেরা নিজেদের জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে বিজয় অর্জন করতে চাইছিল।

ওই সময়টায়, সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রিত পাকিস্তানি প্রপাগাণ্ডা-যন্ত্র (প্রচারমাধ্যম) পূর্ব পাকিস্তানে চালানো তাদের ‘অপারেশন’- এর যে কোনো নেতিবাচক প্রচার-প্রকাশ ঠেকাতে পূর্ণশক্তি প্রয়োগ করলো। সেই ১৯৬০-এর দশকে ভারত কর্তৃক পূর্বপাকিস্তানে হামলা-পরিকল্পনা- সবই তারা করছিল শুধু আমাদেরই শরীরে করা আমাদেরই ঘা আর আমাদের ধারাবাহিক ভুলগুলোর সুযোগ গ্রহণ করে।

পূর্ব পাকিস্তানের জমিনে আর্মি কী করছিল- সে সম্পর্কে পশ্চিম পাকিস্তানের খুব কম মানুষই ওয়াকিবহাল ছিল। যে অল্প কয়েকজন বিষয়টি বুঝতে পেরেছিলেন- তাদের মধ্যেও হাতে গোনা দু’একজন সাহসী মানুষ যেমন সমাজতন্ত্রবাদী মহীরুহ নারী তাহিরা মাজহার আলী ও নন্দিত কবি হাবিব জালিব প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন।

সে সময় জামায়াত একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিল এবং সামরিক বাহিনীর পক্ষে তাদের জুয়ার দান ধরে বসলো। এর ফলশ্রুতিতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর আত্মসমর্পণ এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ হয়ে যায়। তবে এরপর ক্ষমতায় এসে একজন সামরিক স্বৈরাচার অল্প সময়েই এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেন।

নিকট অতীতে, হাসিনা ওয়াজেদের আওয়ামী লীগ ১৯৭১ এর যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় আসে। স্মর্তব্য, ১৯৭২ সালের শিমলা চুক্তিতে ছিল যে, গণহত্যায় জড়িত দুর্বৃত্তদের বিচার ভারত বা বাংলাদেশে হবে না।

হাসিনা ওয়াজেদ সরকার যুদ্ধপরাধীদের বিচারে একটি বিশেষ আদালত স্থাপন করে। এই আদালত একাত্তরের খুনি আর ধর্ষকদের মধ্যে যারা এখনো পর্যন্ত বেঁচে আছে- সেইসব অভিযুক্তদের কয়েকজনকে মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবনদণ্ড দেন। এটা একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্তও ছিল। ‘যথাযথ প্রক্রিয়া’ মেনে চলার নীতি অনুসৃত হয়নি এসব মামলায় এবং এতে জামায়াতে ইসলামী ও ডানপন্থি বিএনপির লোকজনকেই লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে বিশেষভাবে।

জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের ফাঁসিতে ঝোলানোর ঘটনা পাকিস্তানে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে। সরকারি প্রতিক্রিয়াটা আসে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছ থেকে পার্লামেন্ট অধিবেশন চলাকালে। তিনি এই বিচার প্রক্রিয়ার নিন্দা করেন এবং একে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে অভিহিত করেন।

পাকিস্তানের বিরোধী দলীয় নেতা ইমরান খান একজন জামায়াত নেতাকে ক্ষমা করে দেওয়ার অনুরোধ করে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছিলেন। এমনকি জুলফিকার আলী ভুট্টোর দল, পাকিস্তান পিপলস পার্টি পার্লামেন্টে একটি প্রস্তাব পেশ করে ওই ফাঁসিদণ্ড কার্যকরের বিরুদ্ধে- তারা একে ‘বৈচারিক হত্যাকাণ্ড’ বলে অভিহিত করে।

নিউজওওয়ান২৪.কম-এ এ ধরনের তথ্যসমৃদ্ধ আরও লেখার জন্য ক্লিক করুন ‘দ্য ক্রো ইজ হোয়াইট, বেঙ্গল ইজ পাকিস্তান’- প্রথম পর্ব

পাকিস্তানের প্রখ্যাত মানবাধিকারকর্মী আসমা জাহাঙ্গীর বিএনপি নেতার মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের নিন্দা করেন এবং বলেন, এই পদক্ষেপ বাংলাদেশের রাজনৈতিক বিভেদকে প্রশস্ত করবে। তবে তিনি এই ইস্যুতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চৌধুরী নিসার আলী খানের বক্তব্যেরও সমালোচনা করেন। নিসারের প্রতিক্রিয়াকে পাকিস্তান সুপ্রিমকোর্ট বারের সাবেক সভাপতি ও দেশটির মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারপারসন আসমা জাহাঙ্গীর দায়িত্বজ্ঞানহীন বলে অভিহিত করেন। অপরদিকে, গত এক বছরে দেশের বিভিন্ন স্থানে জামায়াতে ইসলামী এসব দণ্ড কার্যকরের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ করে আসছে।

১৯৭১ সালে ঘটানো যুদ্ধপরাধের বিষয়ে নিজেদের ভূমিকা বিষয়ে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে আত্মদর্শন খুব একটা হয়নি। পূর্ব পাকিস্তানের বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার মূল কারণ হিসেবে পাকিস্তানি পাঠ্যপুস্তক আর জনপ্রিয় মিডিয়াগুলোয় দায়ী করা হয় ভারত আর হিন্দুদের প্রভাবকে। সশস্ত্র বাহিনীর ঘনিষ্ঠ কিছু নিরাপত্তা বিশ্লেষক এখনো বাংলাদেশকে ‘পূর্ব পাকিস্তান’ বলে উল্লেখ করে সুখভোগ করেন। এই ক্ষেত্র থেকে পাকিস্তানের ‘পরিত্রাণের’ রাস্তা নেই এবং সম্ভবত গুটিকয়েক মোল্লাকে ঝুলিয়ে দিয়ে তার লক্ষণীয় পরিবর্তন আনা সম্ভব না।

রাজনীতি হচ্ছে আপসরফার এক শিল্প- এটা প্রতিশোধ চরিতার্থ আর এর সূত্রে পরস্পরের লাশ গণনা করে তৃপ্তিলাভের কোনো রাস্তা না। অতীত ভুল থেকে অর্জিত শিক্ষা হতে পারে- একই ধরনের ‘অপরিণামদর্শী-কাণ্ড’ যাতে আর না ঘটে সে ব্যাপারে তৎপর হওয়া। ইতিহাসের পরীক্ষার মুখে ‘পরস্পরের রক্তঝরানো’ কখনোই সঠিক উত্তর হতে পারে না। ফয়েজ আহমেদ ফয়েজের সেই কথা আবারো বলতে হয়- খুন কে ধাব্বে ধো লেঙ্গে কিতনি বারসাতোন কি বাদ! অর্থাৎ রক্তের ছোপ ধুয়ে মুছে ফেলতে কতগুলো বর্ষার প্রয়োজন তোমার (হে পাকিস্তান)! [email protected]

(ভাষান্তর: আহ্‌সান কবীর)

নিউজওয়ান২৪.কম/এসএ

ইত্যাদি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত