ঢাকা, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪
সর্বশেষ:

`নয়নমণির` গৃহপ্রবেশের আয়োজন, হারিয়ে দিলো কোটিপতিদের!

নিউজ ওয়ান টুয়েন্টি ফোর

প্রকাশিত: ১১:২২, ৩ নভেম্বর ২০১৭  

ছবি সংগৃহীত

ছবি সংগৃহীত

যাকে নিজেকেই বেঁচে থাকার জন্য প্রতিনিয়ত লড়াই করতে হয়, তিনিই অন্যদেরও বেঁচে থাকার পথ দেখালেন। আলিপুরদুয়ারের ভ্যানচালক শ্যামাপ্রসাদ দত্ত রায়ের আদর্শ, জলপাইগুড়ির মালবাজারের পদ্মশ্রী করিমূল হক। যিনি বাইক-অ্যাম্বুল্যান্স চালিয়ে প্রত্যন্ত এলাকার মানুষের প্রাণ বাঁচাতে দিনরাত পরিষেবা দেন।
 
শ্যামাপ্রসাদবাবুর সেভাবে শিক্ষাগত কোনও যোগ্যতা নেই। কিন্তু বছর ১৮ আগে কোনও এক রক্তদান শিবিরে শুনেছিলেন ‘রক্তদান মহৎ দান’। রক্তদানে মানুষের প্রাণ বাঁচে। সেই থেকে এই ভ্যানচালকের পথ চলার শুরু। একদিকে চরম অনটন, অন্যদিকে মানুষ বাঁচানোর পণ। দুই প্রতিকূলতাকে একসঙ্গে মোকাবিলা করার চ্যালেঞ্জ।

আলিপুরদুয়ারের কুমারগ্রাম ব্লকের কামাখ্যাগুড়ির সুপারমার্কেট পাড়ার বাসিন্দা শ্যামাপ্রসাদবাবুর বয়স প্রায় ৫১। ইতিমধ্যেই নিজে ৫০-৫৫ বার রক্তদান করেছেন। পাশাপাশি ৪০-৪৫ বার তার সহকর্মী ভ্যানচালকদের নিয়েও রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছেন। দুঃস্থ মানুষের পাশে থাকা তার দৈনিক রোজনামচা। এলাকার মানুষের নয়নমণি তিনি।

নিজের বাড়ির রক্তদান শিবিরে শ্যামাপ্রসাদবাবু

দীর্ঘদিন ধরে এই ভ্যানচালক মনের মধ্যে লালিত এক স্বপ্ন বৃহস্পতিবার বাস্তব রূপ পেল। দীর্ঘ ১০ বছরের প্রচেষ্টায় বিন্দু, বিন্দু জমানো অর্থে নিজেই তৈরি করলেন দুটো পাকা ঘর। তবে গৃহপ্রবেশ করতে হবে তো।‘আমার এই স্বল্প পুঁজিতে যে বাড়ি তৈরি করেছি, সেখানেই আমার নতুন জীবন আমি শুরু করছি। এমন দিনে রক্তদানের কথা ভুলি কী করে। এই বাড়ি থেকেই আমি সকলকে নিয়ে সমাজের জন্য কাজ করতে চাই।’

গৃহপ্রবেশে রক্তদান

গৃহপ্রবেশেও সেই রক্তদান। বাড়ির প্রবেশ পথেও সেই চেনা ছবি। রয়েছে রক্তদানের রকমারি পোস্টার। রক্তদাতারাও উৎসাহিত। বাস্তবিকই শ্যামাপ্রসাদ বাবু যেন পদ্মশ্রী করিমূল হকের যোগ্য উত্তরসূরী।