ঢাকা, ২০ এপ্রিল, ২০২৪
সর্বশেষ:

নভেম্বরে ১৩২ কোটি টাকার চোরাচালান-মাদক পণ্য জব্দ করেছে বিজিবি

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ২২:৩৮, ১ ডিসেম্বর ২০১৬   আপডেট: ১২:৫২, ৩ ডিসেম্বর ২০১৬

পাঁচবিবিতে বিজিবি’র উদ্ধার করা কিছু চোরাচালান পণ্য           -ফাইল ফটো

পাঁচবিবিতে বিজিবি’র উদ্ধার করা কিছু চোরাচালান পণ্য -ফাইল ফটো

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) চলতি বছরের নভেম্বর মাসে দেশের সীমান্ত এলাকাসহ অন্যান্য স্থানে অভিযান চালিয়ে সর্বমোট ১৩২ কোটি ৭৭ লাখ ১২ হাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রকারের চোরাচালান ও মাদক দ্রব্য আটক করতে সক্ষম হয়েছে।

আটক মাদকের মধ্যে রয়েছে ১৮ লাখ ৫৪ হাজার ২৬ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ২১ হাজার ৭৫৭ বোতল ফেনসিডিল, ৮৭১ কেজি গাঁজা, ১৫ হাজার ৬৯৪ বোতল বিদেশি মদ, ৮ কেজি হেরোইন এবং ৭১ লাখ ৭৮ হাজার ৯৩০ পিস বিভিন্ন প্রকারের অবৈধ ট্যাবলেট।

এছাড়া আটক অন্যান্য চোরাচালান দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ১৫ হাজার ৯৭০টি শাড়ি, ৪ হাজার ৭৪টি থ্রিপিস/শার্টপিস, ৯ হাজর ৭৯৩ মিটার থান কাপড়, ১১ হাজার ২৩৭টি তৈরি পোশাক, ২৩ হাজার ৭৩৯ সিএফটি কাঠ ও ৯টি তক্ষক। এছাড়া একই মাসে বিজিবির উদ্ধার করেছে ৬টি পিস্তল, ৭টি বিভিন্ন প্রকারের বন্দুক, ৩৬ রাউন্ড গুলি ও ৭টি ম্যাগজিন।

বিজিবি থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, এছাড়াও নভেম্বরে বিজিবির অভিযানে মাদক পাচারসহ অন্যান্য চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৪২ জন এবং অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ১৯৪ জন বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
এর বিপরীতে ভারত থেকে বাংলাদেশে অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ৯ জন ভারতীয় নাগরিককে আটক করে ৮ জনকে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর ও ১ জনকে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। একই সময়ে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে ২ হাজার ৩২০ জন মিয়ানমার নাগরিকের অবৈধ অনুপ্রবেশ প্রতিহত করা হয়েছে।

উল্লেখ্য চলতি বছরের প্রথম ১১ মাসে (জানুয়ারি হতে নভেম্বর-২০১৬) বিজিবি সর্বমোট ৯২৯ কোটি ৪৫ লাখ ১ হাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রকারের চোরাচালান ও মাদক পণ্য আটক করে। গত ১১ মাসে আটক করা ভায়বহ ক্ষতিকারক মাদকের মধ্যে রয়েছে ৭৬ লাখ ১৮ হাজার ১৯৩ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ২ লাখ ৩৬ হাজার ৯৫৩ বোতল ফেনসিডিল, ১৬ হাজার ৪৯২ কেজি গাঁজা, ২ লাখ ৩৭ হাজার ৫৫৪ বোতল বিদেশি মদ, ৩২ কেজি ৫৮ গ্রাম হেরোইন, ৫৮ হাজার ৬৫টি নেশাজাতীয় ইনজেকশন ও ২ কোটি ১৪ লাখ ২৯ হাজার ৫১৯ পিস বিভিন্ন প্রকারের অবৈধ ট্যাবলেট।

এছাড়া আটক অন্যান্য চোরাচালান দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ১ লাখ ৫৫ হাজার ৬৪৩টি শাড়ি, ৪৪ হাজার ৬৫৮টি থ্রিপিস/শার্টপিস, ৯ লাখ ৩১ হাজার ৬১৭ মিটার থান কাপড়, ৭৪ হাজার ২৪৯ সিএফটি কাঠ, ২৫ কেজি ৯১২ গ্রাম স্বর্ণ এবং ৫টি কষ্টি পাথরের মূর্তি।

একই সময়ে (১১ মাসে) উদ্ধার করা আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরক সংশ্লিষ্ঠ দ্রব্যের মধ্যে ছিল ৬২টি পিস্তল, ৪৪টি বিভিন্ন প্রকারের বন্দুক, ২৪৬ রাউন্ড গুলি, ৬৫টি ম্যাগজিন, ৭টি ইলেকট্রনিক ডেটনেটর এবং ৫৫২ কেজি ৭০০ গ্রাম গান পাউডার।

এছাড়া গত ১১ মাসে বিজিবির অভিযানে মাদক পাচারসহ অন্যান্য চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে ১ হাজার ৬১০ জন এবং অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ১ হাজার ৬০৬ জন বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। একই সময়ে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে ৫ হাজার ৭১৬ জন মিয়ানমার নাগরিকের অবৈধ অনুপ্রবেশ প্রতিহত করা হয়েছে।

নিউজওয়ান২৪.কম/আরকে

আরও পড়ুন
অপরাধ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত