দুটো দেশের প্রযোজক থাকলে বিষয়টা জটিল হয়ে যায় : ইরফান খান
নিউজ ওয়ান টুয়েন্টি ফোর ডেস্ক
ফাইল ছবি
ঢালিউডের অন্যতম আলোচিত ছবি `ডুব` মুক্তি পাচ্ছে আজ শুক্রবার। ভারত-বাংলাদেশ যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত এ ছবিতে অভিনয় করেছেন বলিউড অভিনেতা ইরফান খান, বাংলাদেশের নুসরাত ইমরোজ তিশা, রোকেয়া প্রাচী ও কলকাতার অভিনেত্রী পার্ণো মিত্র।
চলচ্চিত্রটি যৌথভাবে প্রযোজনা করেছে জাজ মাল্টিমিডিয়া, এসকে মুভিজ ও ইরফান খান। মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত এ ছবিতে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা, হলিউড এবং তার ঘরানার ছবিসহ নানা খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে আনন্দ প্লাসকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন বলিউড অভিনেতা ইরফান খান। পাঠকদের জন্য সাক্ষাৎকারটি হুবুহু তুলে ধরা হলো।
জাভেদ হাসানের চরিত্রটার জন্য কীভাবে নিজেকে তৈরি করেছিলেন?
ইরফান খান : আমার কাছে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল বাংলায় কথা বলা। তার সঙ্গে বাংলাদেশি কথা বলার কায়দা রপ্ত করা। ভাষাটার জন্যই অনেকটা নিজেকে তৈরি করতে হয়েছে। বাকিটা তো আবেগনির্ভর।
এই চরিত্রটা করতে গিয়ে কোনো নতুন উপলদ্ধি?
ইরফান খান : ছবির মূল বিষয়টা কিন্তু চিরন্তন। একটি সম্পর্কে থেকে অন্য কারও প্রতি আকৃষ্ট হওয়া এবং পারস্পরিক সম্পর্কে জটিলতা তৈরি হওয়া। সম্পর্কের সমীকরণ যত না বেশি এলোমেলো হয়, সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি বিষয়টাকে আরও জটিল করে তোলে।
মোস্তফা সারওয়ার ফারুকির সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা কেমন?
ইরফান খান : এই ছবিটা করার পিছনে একমাত্র কারণ ফারুকি। ওর একটা ছবি দেখেছিলাম, ‘অ্যান্ট স্টোরি’। সেটা দেখেই স্থির করেছিলাম, ওর সঙ্গে কাজ করতেই হবে। ফারুকির সততা, এনার্জি, ছবি বানানোর প্যাশন দেখে আমি মুগ্ধ।
আপনি কি ‘ডিরেক্টরস অ্যাক্টর’?
ইরফান খান : পরিচালকের একটা দৃষ্টিভঙ্গি থাকে গল্প বলার সময়ে। গল্পটাকে তার চেয়ে ভালো করে কেউ বোঝেন না। আমি সেটা অনুসরণেই বিশ্বাসী।
আপনি তো এই ছবির অন্যতম প্রযোজকও...
ইরফান খান : আমি ক্রিয়েটিভ প্রযোজক। এই ছবিতে বাংলাদেশের প্রযোজকও আছেন। দুটো দেশের প্রযোজক থাকলে, বিষয়টা একটু জটিল হয়ে যায়। আর এই ব্যাপারগুলো আমি এখনও শিখছি।
এই বছরে আপনি যে ছবিগুলো করেছেন, তাতে অভিনেত্রীরা কেউ পাকিস্তানি, কেউ বাংলাদেশি, কেউ বা মালয়ালি...
ইরফান খান : শিল্পীর কাছে এই অভিজ্ঞতাটা খুব দামি। বিভিন্ন দেশের মানুষকে কাছ থেকে দেখার সুযোগ, তাদের ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতি জানার সুযোগ ব্যক্তি হিসেবেও আমাকে সমৃদ্ধ করেছে। আমিও যখন ট্র্যাভেল করি, এই অভিজ্ঞতাগুলো সঞ্চয় করার চেষ্টা করি।
ভারতীয় ছবির প্রতি পাশ্চাত্যের চিন্তাভাবনা কি আদৌ বদলাচ্ছে?
ইরফান খান : না, ভারতীয় ছবি বলতে এখনও সেই নাচ-গানের ছবিই বোঝানো হয়। আসলে কী জানেন, ভারতীয় প্রতিভা হলিউডে কাজ করছে। কিন্তু ভারতীয় ছবি এখনও সেখানে পৌঁছতে পারেনি। প্রতিভা কিন্তু দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে পারে না। অনেক বিদেশি কলাকুশলীও তো হিন্দি ছবিতে কাজ করেন। তাতে কি আমাদের চিন্তা-ভাবনায় খুব একটা বদল আসে? আর আমরা তো এখনও আন্তর্জাতিক দর্শকের জন্য ছবি বানাই না।
আপনি একবার বলেছিলেন, মিডিয়া আপনার ছবির সংজ্ঞা খুঁজে পায় না...
ইরফান খান : আমার কাছে ছবির কোনও ভেদাভেদ নেই। কমার্শিয়াল ছবি কি প্যারালাল ছবি, এটা মিডিয়া বলে। আর আমি ছবির সংজ্ঞা খোঁজার চেষ্টাই করি না। দর্শক ছবি দেখবেন, আনন্দ পাবেন, সেটাই আমার প্রাপ্তি। আর সময়ই ছবির মূল্যায়ন করে, তার সংজ্ঞা নয়।
- ভাষা আন্দোলনের আদ্যেপান্ত
- সেনা কল্যাণ সংস্থার শিক্ষামূলক বৃত্তির চেক পেল ২৯৩ শিক্ষার্থী
- মহান বিজয় দিবস আজ
- বারবার ধর্ষন করা হয়েছে: সুকির দেশ থেকে পালিয়ে আসা নারীদের আর্তনাদ
- পিলখানা হত্যাকাণ্ড: বিজিবির সব ইউনিট শাহাদাত বার্ষিকী পালন করবে
- সেনাকল্যাণের ৪৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে দরবার অনুষ্ঠিত
- ‘বাড়াবাড়ি করছে, দিছি...সরাইয়া’
- কুয়েতের সঙ্গে তিনটি নয়, চারটি চুক্তি স্বাক্ষর
- ট্রেনের টিকিট কাটতে লাগবে এনআইডি নম্বর
- খালেদার আপিল শুনানির সময় ইসিতে যা ঘটেছে
- পাকিস্তানি স্কুলের মতে ‘পাঞ্জাবি অশ্লীল ভাষা’!
- আসল নকল থেকে সাবধান: ভয়াবহ বিপদ ঘটে যেতে পারে!
- অনিরুদ্ধ অপহৃত নাকি আত্মগোপনে!
- বাংলাদেশের রাজনৈতিক জরিপ ও সত্য-মিথ্যা
- এমপি মাশরাফির ‘বাউন্সারে’ ওএসডি ৪ ফাঁকিবাজ ডাক্তার