ঢাকা, ২০ এপ্রিল, ২০২৪
সর্বশেষ:

গর্ভবতীর প্রেগন্যান্সি হওয়ার টের না পাওয়ার কারণ জেনে নিন

স্বাস্থ্য ডেস্ক

প্রকাশিত: ২১:৪৮, ২৩ জানুয়ারি ২০১৮  

প্রতি ২,৫০০ অন্তঃসত্ত্বা নারীদের মধ্যে একজন এমন থাকেন, যিনি তাঁর সন্তানসম্ভবা হওয়ার কথা অনেকদিন পর্যন্ত বুঝতে পারেন না। প্রায়-ই শুনতে পাওয়া যায় এমন খবর। কিন্তু কী করে সম্ভব এই ঘটনা? সে বিষয়ে উত্তর দিলেন বিশেষজ্ঞরা।

গবেষণায় জানা গিয়েছে যে, এই ঘটনার মূল কারণ হতে পারে অনিয়মিত ঋতু। প্রায় ২৫ শতাংশ মহিলা এই সমস্যায় ভুক্তভোগী। এর জন্য তাঁদের ‘পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম’-এর সমস্যা হতে পারে। এতে ডিম্বাশয়ের আকার বৃদ্ধি পায় এবং সিস্ট হওয়ার সম্ভবনাও দেখা দেয়। ফলে দেরিতে মাসিক হলেও তাঁরা প্রায় অনেক মাস পর্যন্ত বুঝতে পারেন না যে তাঁরা সন্তানসম্ভবা।

নারীদেহে উপস্থিত প্লাসেনটা গর্ভজাত শিশুর অক্সিজেন এবং পুষ্টি যোগান দেয়। কিন্তু চিকিৎসকদের মতে, অনেক সময় প্লাসেনটার অবস্থান ডিম্বাশয়ের পিছনে হওয়ায় বাচ্চার অবস্থানের গণ্ডগোল হয়ে যায়। এক্ষেত্রে অনেক সময়ে মা-এর ওজনও তেমন বৃদ্ধি পায় না। এমনকী, বাচ্চার নড়াচড়াও বুঝতে পারেন না সেই সমস্ত মহিলারা অনেকদিন পর্যন্ত।

এইচসিজি বা হিউম্যান কোরিওনিক গোনাডোট্রফিন হরমোনের জন্য বোঝা যায় কোনও নারী সন্তানসম্ভবা কি না। অধিকাংশ মহিলা ডাক্তারের কাছে না গিয়ে আগে বাড়িতেই প্রেগনেন্সি টেস্ট করেন। তবে অনেক সময়ে হরমোনের পরিবর্তনজনিত কারণে এই টেস্টের উত্তর নেগেটিভ আসে। ফলে তাঁরা দীর্ঘদিন পর্যন্ত বুঝতে পারেন না তাঁদের সন্তানসম্ভবা হওয়ার কথা। অতিরিক্ত চিন্তার বা টেস্টের কারণেও অনেক সময়ে এই রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে।

প্রেগনেন্সি টেস্টের ফল নেগেটিভ এলে, দীর্ঘদিন ব্যাপী গ্যাসের সমস্যা, অনিয়মিত মাসিক, দুর্বলতা, মানসিক চিন্তা বা ওজন বৃদ্ধি না পাওয়া সত্ত্বেও শারীরিক অস্বস্তি হলে সবার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া খুবই প্রয়োজনীয়। ফল হয়তো আপনার প্রত্যাশার বিপরীতও হতে পারে।

এমন অবস্থায় অন্তঃসন্তা নারীদের মেটারনিটি কেয়ারের প্রয়োজন হয়।

নিউজওয়ান২৪.কম

লাইফস্টাইল বিভাগের সর্বাধিক পঠিত