ঢাকা, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪
সর্বশেষ:

গণধর্ষণ: ভারতে ১০০০ দলিত পরিবারের ইসলাম গ্রহণের হুমকি

বিলাতি নিউজ

প্রকাশিত: ১২:২৮, ১১ এপ্রিল ২০১৬   আপডেট: ১২:৫৭, ১৭ এপ্রিল ২০১৬

গত মার্চের শেষদিকে ভারতের উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদ জেলায় দলিত সম্প্রদায়ের এক স্কুলছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হয়। পরে ক্ষোভে-অপমানে ৮ম শ্রেণির ওই কিশোরী আত্মহত্যা করে।

গাজিয়াবাদের বামহেটা গ্রামের ওই ন্যাক্কারজনকক ঘটনার প্রতিবাদে চরম বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে দলিত সম্প্রদায়। তারা হুমকি দিয়েছে, উপযুক্ত বিচার না পেলে এ ঘটনার প্রতিবাদে এক হাজার দলিত পরিবার ইসলাম কবুল করবে।

সোমবার হিন্দি নবভারত টাইমস জানায়, ধর্ষণে অভিযুক্ত দুই যুবক বাবলু ও রাঞ্চো যাদবের লোকজন মামলা তুলে নিতে মেয়েটির পরিবারের ওপর প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করেছে। তাদের হুমকি-ধামকিতে সন্তানহারা পরিবারটি চোখেমুখে অন্ধকার দেখছে। এমন অবস্থায় দলিত সম্প্রদায়ের লোকজন শেষপর্যন্ত ফুঁসে উঠেছে প্রভাবশালী ধর্ষকদের বিরুদ্ধে। গত রবিবার মেয়েটির আত্মহননের চতুর্থদিনে এলাকার পরিস্থিতি বিস্ফোরণোম্মুখ হয়ে পড়ে।

অভিযোগে জানা গেছে, ওইদিন মেয়েটির আত্মার শান্তির জন্য শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠান চলার সময় সাবেক গ্রাম প্রধান লীলা ধর অভিযুক্তদের স্বজনদের সঙ্গে নিয়ে বাড়িতে এসে মেয়েটির পরিবারের সদস্যদের মারপিট করে। এ ঘটনার পর গ্রামের ১০০০ দলিত পরিবার সম্মিলিতভাবে ধর্মান্তরের মাধ্যমে মুসলমান হয়ে যাবার ঘোষণা দেয়।

গ্রামের বাসিন্দা দলিত সম্প্রদায়ের সদস্য প্রদীপ সংবাদ মাধ্যমের কাছে অভিযোগ করেন, “২৯ মার্চ সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে বাবলু ও রাঞ্চো মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। তারা এই সাহস পায় মেয়েটি দলিত সম্প্রদায়ের বলেই। ধর্ষকরা ভেবেছে মেয়েটি দলিত সম্প্রদায়ের, এই অপকর্ম করে তারা সহজেই পার পেয়ে যাবে। ৬ এপ্রিল মেয়েটি শরীরে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করে। রবিবার মেয়েটির বাড়িতে চৌথির অনুষ্ঠান (মৃতের আত্মার শান্তির জন্য ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান)ছিল। এসময় ধর্ষকদের পরিবারের লোকজন এসে তাদের মারপিট করে। তাদের সঙ্গে গ্রামের সাবেক প্রধান লীলা ধরও ছিল।”

সংক্ষুব্ধ প্রদীপ আরও বলেন, “এই গ্রামে আমরা সংখ্যালঘু কিন্তু পরস্পর সংগঠিত অবস্থায় আছি। এখানে দলিতদের প্রায় এক হাজার পরিবার বাস করে। গ্রামের অন্য সম্প্রদায়ের কিছু লোক আমাদের শোষণ করছে। এই বলাৎকারের ঘটনা তো স্রেফ এসবের একটা নমুনা। এখানে পুলিশও ঘুষ খেয়ে অন্য সম্প্রদায়ের পক্ষ নেয়। রবিবারের ঘটনার পর এখন সম্ববত আমরা ধর্ম পরিবর্তন করে ইসলাম কবুল করবো। সেখানে আমাদের কথা পক্ষপাতহীনভাবে শোনা হবে।”

তবে গাজিয়াবাদের এসএসপি ধর্মেন্দ্র সিং বলেন, “ঘটনা সম্পর্কে আমি অবগত। এ মামলায় পুলিশ শুরুতেই তৎপর হয়েছে। প্রধান দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠানো হয়েছে। রবিবারের ঘটনার পর আমরা আরও একটি মামলা রুজু করেছি। ভিক্টিমের পরিবার পুলিশের কর্মকাণ্ডে সন্থুষ্ট। বামহেটা গ্রামের পরিস্থিতি এখন শান্ত।”

নিউজওয়ান২৪.কম/একে

 

 

ইত্যাদি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত